সন্দেহভাজন এসব রোগী পালিয়ে যাওয়ায় এলাকায় করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, খুমেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৭ এপ্রিল থেকে রোগী ভর্তি শুরু করে কর্তৃপক্ষ। জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে যেসব রোগী আসছেন তাদের মধ্যে কারও করোনা আক্রান্ত সন্দেহ হলে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য নবনির্মিত আইসিইউ ভবনের নিচ তলায় ফ্লু কর্নারের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে। কিন্তু গত কয়েক দিনে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ছয়জন পালিয়ে এবং দুজন স্বেচ্ছায় চলে গেছেন।
নড়াইলের লোহাগড়া এলাকার বাসিন্দা রোখসানা (২৫) গত ৯ এপ্রিল ভর্তি হয়ে ১০ এপ্রিল কিছু না বলে চলে যান। পরের দিন দুই মাস বয়সী শিশু আশিককে নিয়ে চলে যায় তার পরিবার। একই দিনে দৌলতপুরের মধ্যডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা শিরিন আক্তার (৫৮) হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। আর দিঘলিয়ার মর্জিনা (৪০) পালিয়ে যায় এর পরের দিন।
গত রবিবার পালিয়ে যায় বাগেরহাটের জাহানারা ও সোনাডাঙ্গা এলাকার জাকির হোসেন (৪০)। এছাড়া হাসপাতাল থেকে সেবা না নিয়ে আরও দুজন স্বেচ্ছায় চলে যায়।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসাদের দাবি, যাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি করা হয়েছিল তারা হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা আর চিকিৎসা না পাওয়ার অজুহাতে পালিয়ে গেছেন।
এদিকে, তারা পালিয়ে গিয়ে কোথায় ও কীভাবে আছেন তা জানে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে একজনও যদি করোনা পজেটিভ হন তাহলে তাকে আইসোলেশন করতে না পারার কারণে ইতোমধ্যে কত মানুষের মধ্যে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে তা সহজেই অনুমেয়।
সূত্র জানায়, হাসপাতালের নিয়মিত ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে শতাধিক কর্মচারী থাকলেও ফ্লু কর্নারে নিরাপত্তার দায়িত্বে কাউকে দেয়া হয়নি। ফলে যে সব রোগী বর্তমানে সেখানে ভর্তি আছেন তাদের আত্মীয় স্বজনরা অনায়াসে যাতায়াত করছেন ভেতরে। এরকম চরম অব্যবস্থাপনার এখনই কোনো সুরাহা না হলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী রেজা সেকেন্দার বলেন, ‘রোগী পালিয়ে যাওয়ার কোনো খবর আমাদের কাছে নেই। তারপরও এমন কোনো অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’