ওই তিন জেলায় আগে থেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন মোট ৩ হাজার ১০ জন।
খুলনা: জেলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদেশফেরত ১ হাজার ৬৭৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া ৭৬ জনকে কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে জানানো হয়, বুধবার পর্যন্ত খুলনায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ১ হাজার ৫৪৮ জন। সেই হিসাবে গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে নতুন করে ১২৬ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
কোয়ারেন্টাইনে যাদের রাখা হয়েছে তারা সম্প্রতি ভারত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, ইতালি, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে দেশে ফিরেছেন।
এদের মধ্যে খুলনার দাকোপে ৯৩ জন, বটিয়াঘাটায় ৮১ জন, রূপসায় ১০৫ জন, তেরখাদায় ২৯ জন, দিঘলিয়ায় ৫২ জন, ফুলতলায় ৫৭ জন, ডুমুরিয়ায় ৭৬ জন, পাইকগাছায় ১১৭ জন, কয়রায় ১৯২ জন এবং খুলনা মহানগরীতে রয়েছেন ৮৭২ জন।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, বিদেশফেরত ব্যক্তিদের নিজ নিজ বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন।
বাগেরহাট: জেলার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ১ হাজার ২৯৭ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এরমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে গেছেন ৬৯ জন।
গত ১৬ দিনে বিভিন্ন দেশ থেকে মোট তিন হাজার ৮৩৩ জন প্রবাসী বাগেরহাটে ফিরেছেন।
জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে ৬৯ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বতর্মানে এক হাজার ২৯৭ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
তিনি আরও জানান, গত ১০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে তিন হাজার ৮৩৩ জন প্রবাসী বাগেরহাটে এসেছেণ। এরমধ্যে যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন, তাদের বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানান, বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ১০টি বেড এবং প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ বেড বিশিষ্টি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে। একই সাথে সদরে ২০০টি এবং উপজেলা পর্যায়ে ১০০টি করে কোয়ারেন্টাইন বেড রাখা হয়েছে।
করোনাভাইরাস সন্দেহে এপর্যন্ত বাগেরহাটে ৩ জনকে আইসোলেশনে ভর্তি করা হলেও, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন তিনি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কোন অবস্থাতেই হোম কোয়ারেন্টানের বাইরে থাকতে দেয়া হবে না। ঘরে থাকার জন্য মানুষকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
নাটোর: দেশের উত্তর-পশ্চিমের এ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে।
নাটোর সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, জেলায় বর্তমানে মোট ২৪৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য শহরতলীর একডালা এলাকায় ৪০০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তত করা হয়েছে।