গাইবান্ধা শহর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তরে ভেড়ামারা রেল সেতুর পাশের গ্রামের নাম কিসামত বালুয়া। এ গ্রামের বুক চিরে বয়ে গেছে মরা ঘাঘট নদী। দীর্ঘদিন ধরে এ নদীর ওপর কোনো সড়ক সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল সেতু পার হয়েই জেলা শহরে যাওয়া-আসা করে আসছিলেন স্থানীয়রা। পরে মানুষের দুর্ভোগ ও যোগাযোগের সমস্যা সাময়িক দূর করতে চাঁদা তুলে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ঘাঘট নদীর ওপর রেল সেতুর পাশে একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করেন গ্রামবাসী।
ধর্ষণের অভিযোগে গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
গাইবান্ধা সদরের বল্লমঝাড়, কুপতরা, খোলাহাটি ও লক্ষীপুর, সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাংগা ও কামারপাড়া এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাংগা, রামজীবন ও শোভাগঞ্জসহ ১৭ ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এ সাঁকো। কিন্তু ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে কাঠের সাঁকোটির একটি অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। তারপর থেকে অস্থায়ীভাবে বাঁশ দিয়ে হাঁটা পথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।
সুন্দরগঞ্জের সোনারায় ইউনিয়নের আব্দুর রহমান মোটরসাইকেলে যাতায়াত করে চাকরি করেন সদরে। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন বাড়ি থেকে গিয়ে অফিস করি। কিন্তু এই কাঠের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ার ফলে এখন সাত কিলোমিটার পথ ঘুরে শহরে আসতে হয়।’
কিসামত বালুয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, ‘নিজেদের টাকা দিয়ে কাঠের সাঁকো তৈরি করে যোগাযোগ রক্ষা করেছি। বৃদ্ধ হলাম কিন্তু এখানে একটি ব্রিজের মুখ দেখা হলো না।’
গাইবান্ধায় আবারও বন্যা, বাঁধ ভেঙে নতুন এলাকা প্লাবিত
তিনি জানান, বর্তমানে এই পথে মানুষের চলাচল করা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাধ্য হয়ে অধিকাংশ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল সেতু দিয়ে চলাচল করেন, এমনকি মোটরসাইকেল পর্যন্ত রেল সেতু দিয়ে ঠেলে নিয়ে পার করেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাফিউল আলম বলেন, ‘এলজিইডির অর্থায়নে শিগগিরই এই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।’