ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো বাতাসে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত ইউএনবির জেলা সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, রবিবার রাতে ও সোমবার পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা ও সাতক্ষীরায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
ঝড়ে উপকূলীয় জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় রবিবার রাত থেকে দুই কোটির বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) ৩ কোটি ৫৮ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ২ কোটি ২২ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরইবির এক কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিতে কর্মজীবী-শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যাহত
তিনি বলেন, মূলত ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাগেরহাট থেকে পাওয়া প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া গাছ উপড়ে গেছে, বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে এবং বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রবিবার রাত থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে প্রায় পাঁচ লাখ বাসিন্দা।
রবিবার রাতে বেশ কিছু এলাকার বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়।
প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন জানান, ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং ৪৫ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
খুলনার কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় শতাধিক চিংড়ি ঘের জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে।
এছাড়া এসব উপজেলার ৯টি স্থানে বাঁধ ভেঙে অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ভোলায় ঢালচর, চর কুকরি মুকরি ও মনপুরা ৪-৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ২৫ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। উপকূলীয় এলাকা থেকে আট লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি