রিমাল
ঘূর্ণিঝড় রিমালের পর স্বাভাবিক হচ্ছে সুন্দরবন
গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিভিন্ন উদ্ভিদ প্রজাতি নতুন করে অঙ্কুরিত হতে শুরু করায় বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন তার স্বাভাবিক রূপ ফিরে পেতে শুরু করেছে।
বর্ষার প্রভাবে বন ও এর আশপাশের সুন্দরী, গরান, গোলপাতাসহ নানা গাছে ভরে উঠেছে এ বন।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় জলোচ্ছ্বাসের কারণে লবণাক্ত হয়ে যাওয়া মিঠা পানির পুকুরগুলো সম্প্রতি মৌসুমি বৃষ্টির কারণে আবারও মিঠা পানিতে ভরে গেছে। ফলে সুন্দরবন পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে মৌয়ালের মৃত্যু
পর্যটক, জেলে, কাঠুরে ও মধু সংগ্রহকারীদের প্রবেশ বিধিনিষেধের কারণে, সুন্দরবনে অনেকটা নীরবতা বিরাজ করছে। এতে মাছ ও বন্যপ্রাণী উৎপাদন বৃদ্ধি, তাদের অবাধ চলাচল, প্রজনন কার্যক্রম এবং নতুন উদ্ভিদের বৃদ্ধি সহজ হচ্ছে।
ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি বর্ণনা করে সুন্দরবনের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো ইউএনবিকে বলেন, ২৬ মে রিমালের ক্ষয়ক্ষতি আগের ঘূর্ণিঝড় আইলা ও সিডরকে ছাড়িয়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় শতাধিক মিঠা পানির পুকুর লবণাক্ত পানিতে তলিয়ে যায়, যার ফলে শতাধিক হরিণ ও বিভিন্ন প্রাণী মারা যায়।
এছাড়া অসংখ্য সুন্দরী, গরান ও গোলপাতাসহ অন্যান্য উদ্ভিদ প্রজাতির গাছ ধ্বংস হয়ে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য কেড়ে নিয়েছে।
পূর্ববর্তী অনুষ্ঠানগুলোর মতো, বন বিভাগ এরই মধ্যে নতুন করে গাছপালা জন্মানো এবং মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজননের জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণ এবং জেলে, কাঠুরে ও মধু সংগ্রহকারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
ফলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার এক মাসের মধ্যেই সুন্দরবন তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরে পেতে শুরু করেছে।
এই ম্যানগ্রোভ বনে ৩৫০ প্রজাতির পাখি, ২৯০ প্রজাতির প্রাণী, ৩০-৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৮-১০ প্রজাতির উভচর এবং ২০০ প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন সংলগ্ন ৫২টি নদী ও খালের তীরে পুনরুদ্ধার করা হবে ম্যানগ্রোভ বন
`সুন্দরবনের মধু' বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে
৫ মাস আগে
মেরামতের অপেক্ষায় ‘রিমালে’ ক্ষতিগ্রস্ত ভোলার ১১২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলার বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ১১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও মেরামত না হওয়ায় শিক্ষাদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামত করা হবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ।
ভোলা জেলা শিক্ষা অফিসারের দেওয়া তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ভোলার ১১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৩৭টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১১টি, তজুমদ্দিন উপজেলায় ১৮টি, লালমোহন উপজেলায় ১৯টি, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৭টি ও মনপুরা উপজেলায় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
সরেজমিন দেখা যায়, দক্ষিণ দিঘদী ইউনিয়নের মধ্য পশ্চিম বালিয়া দাখিল মাদরাসার শ্রেণিকক্ষগুলো হেলে পড়েছে। কয়েকটি স্থানে টিনের ছাউনি নেই।
মাদরাসার শিক্ষকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে মাদরাসাটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। টিনের ছাউনি না থাকায় বৃষ্টি ও রোদের তাপে বিধ্বস্ত শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অন্য শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মেরামত না করায় ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি অনেক কমে যাচ্ছে। এখানকার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিত্র একই। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মেরামত ও পুনর্নির্মাণ করে পাঠদানের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা শিক্ষা অফিসার দীপক হালদার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে মাদরাসা ও মাধ্যমিক অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০ জেলার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পেয়েছি। সেখানে দেখা যাচ্ছে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহকে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (২ জুন) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এসব এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ে ১৮ জন মারা যায়। বেশকিছু রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি, ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ পর্যন্ত ১৯টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণ হিসেবে নগদ পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫ হাজার ৫০০ টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো-খাদ্যের জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশুখাদ্য কেনার জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের জন্য সিলেট জেলায় ২০ লাখ টাকা নগদ টাকা, ৫০০ টন চাল, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় নগদ ১৫ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ৫ লাখ টাকার শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
একইভাবে দিনাজপুর জেলায় নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং ৩ লাখ টাকার শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছেন সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ৬ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা
ভারী বর্ষণের কারণে প্রধান প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বেড়ে যাওয়ায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
এক বুলেটিনে এফএফডব্লিউসি জানিয়েছে, বুধবার (২৯ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, সারিগোয়াইন নদীর তীরবর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত আশঙ্কাজনক হারে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বিদেশি আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তার কাছাকাছি উজান অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘রিমালের’ তাণ্ডবে খুলনার মাছচাষীদের ২৪৫ কোটি টাকার ক্ষতি
যার ফলে উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি ধীরে ধীরে বাড়তে পারে এবং সময়ের ওপর নির্ভর করে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পানি দ্রুত বাড়তে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র ১১০টি নদীর পানির স্তর নির্ণয় স্টেশন পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩টি নদ-নদীর পানি বেড়ে গিয়েছে।
একদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে যাচ্ছে অন্যদিকে যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি কমছে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পানির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া যমুনা নদীর পানির স্তরও ধীর গতিতে বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: সুন্দরবন থেকে ৪০টি প্রাণীর মরদেহ উদ্ধার
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: সিলেটে বিদ্যুৎহীন সাড়ে ৩ লাখ গ্রাহক
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ গ্রাহক সোমবার রাত থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছেন। তবে মঙ্গলবার দুপুরে বৃষ্টি থামার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
এদিকে, বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কও ব্যাহত হচ্ছে। নেটওয়ার্ক না থাকায় জরুরি প্রয়োজনেও মোবাইলে কল করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গ্রাহকরা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ২ দিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন মেহেরপুরের অনেক মানুষ
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এর আগে সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৯ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে নগরীর অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ারও খবর পাওয়া গেছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে সিলেট বিভাগে গ্রাহক আছেন প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। এর মধ্যে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ গ্রাহক।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বয়ে যাওয়া ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের তার ও খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামতের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের গ্রাহকদের চাহিদা ছিল ১৯৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে বিদ্যুতের সরবরাহ ছিল ৭৫ মেগাওয়াট।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিম্নচাপ সিলেটে অবস্থান করছিল। এ কারণে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। তবে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি কমেছে।
তবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বর্ষণের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে সিলেটের জনজীবন। মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর সড়কগুলোতে যানবাহনের সংকট দেখা দেয়। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষজন। তবে চাকরিজীবীদের নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, স্কুল কলেজ খোলা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। তবে পরীক্ষা থাকায় অনেক শিক্ষার্থীকে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও বিদ্যালয়ে যেতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব: শরীয়তপুরে বিদ্যুৎহীন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
ঘূর্ণিঝড় রিমালে বিদ্যুৎহীন ২ কোটি ২২ লাখ মানুষ
৬ মাস আগে
‘রিমালের’ আঘাতে সুন্দরবনে প্রাণ হারিয়েছে ২৬ হরিণ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সুন্দরবনে প্রাণ হারিয়েছে ২৬টি হরিণ। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১৩টি হরিণ। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালার যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমনি জলোচ্ছ্বাসে বহু বন্যপ্রাণীও ভেসে গেছে। দুইদিন ধরে জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ ডুবে যাওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে বন্যপ্রাণীরা এদিক থেকে সেদিকে ছুটাছুটি করতে থাকে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের কটকা জামতলা এলাকা থেকে ২৬টি মৃত হরিণ উদ্ধারের পাশাপাশি আরও ১৩টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় ৪টি হরিণের মৃত্যু
এছাড়া বনের মধ্যে থাকা ৮০টি পুকুরে লবণ পানি ঢোকায় স্বাদু পানির উৎস নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে বন বিভাগের বিভিন্ন কার্যালয়ের অবকাঠামো।
বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানতে বন বিভাগের সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান করছে। তবে সুন্দরবন বিভাগ এখনও পর্যন্ত জানাতে পারেনি রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রবিবার ও সোমবার দিনে ও রাতে নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারে চেয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হয়। বনের মধ্যে দিয়ে ৬ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়।
তিনি বলেন, পানিতে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীরা ছুটাছুটি করতে থাকে। পানিতে ভেসে যাওয়ার সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৩টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
মিহির কুমার দো আরও বলেন, বন বিভাগের সদস্যরা মৃত হরিণগুলোকে মাটিচাপা দিয়েছে। বনজ সম্পদ এবং বন্যপ্রাণীর কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানতে বন বিভাগের সদস্যরা কাজ করছেন। তবে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কা ওই বন কর্মকর্তার।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, পানির কারণে বনের বিভিন্ন এলাকায় হরিণ শাবক মারা গেছে। বন বিভাগের সদস্যরা বনের বিভিন্ন এলাকায় মৃত অবস্থায় হরিণ শাবক দেখতে পাচ্ছে। হরিণ মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাগর এখনও উত্তাল থাকায় বন বিভাগের সদস্যরা ঠিকভাবে সব কাজ করতে পারছেন না বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২৯ কেজি হরিণের মাংসসহ গ্রেপ্তার ১
খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব: শরীয়তপুরে বিদ্যুৎহীন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছপালা ভেঙে পড়ে জেলার সাড়ে ৩ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
এছাড়া গাছপালা ভেঙে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও কিছু কাঁচা ঘরের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে ফসল-ফসলি জমিরও।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিতে কর্মজীবী-শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যাহত
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জেলার বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছন্ন হয়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সখিপুর এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, রবিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছি। সখিপুরের হাজী শরীয়তুল্লাহ কলেজ এলাকায় বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ ভেঙে পড়েছে। এখনো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোনো লোক এসে গাছগুলো সরিয়ে দেয়নি।
গোসাইরহাটের কুচাইপট্টি ইউনিয়নের মাইজারি গ্রামের বাসিন্দা শামিম আহমেদ বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তারের উপর গাছ পড়ে আছে। এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আমাদের কারও মোবাইলে চার্জ নেই। যার কারণে দূরে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজখবরও নিতে পারছি না।
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (তথ্য ও প্রযুক্তি) মো. নাজমুল হাসান বলেন, সকাল থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ত্রুটিপূর্ণ। যার কারণে এখনো পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্য আমরা হাতে পাইনি।
তিনি আরও বলেন, যে তথ্য পেয়েছি, তাতে সাড়ে ৩ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। ৫০০ থেকে ৬০০ স্থানে বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটির উপরে গাছ পড়ে রয়েছে। লোকবল সংকট থাকার কারণে দ্রুত এসব গাছ সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশা করছি দ্রুত লাইনগুলো ঠিক করে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে নিহত ৭
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: সাতক্ষীরায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮ শতাধিক ঘরবাড়ি, মৃত্যু ১
সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকায় ৮ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় বয়োবৃদ্ধ একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার(২৭ মে) সকাল থেকে জেলার সর্বত্র ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। প্রবল বেগে থেমে থেমে বইছে দমকা হাওয়া। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড়েরর কারণে মারা যাওয়া শওকত হোসেন মোড়ল জেলার শ্যামনগর গাবুরা এলাকার বাসিন্দা।
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় নিহত শওকত মোড়লের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপকূলবর্তী এলাকায় একাধিক স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে নদীর জোয়ারের পানি বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করেছে। বিশেষ করে শ্যামগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনি, দাঁদিনাখালী , মুন্সিগঞ্জ, আশাশুনির প্রতাপনগর, দুর্গাবাটি, ঝাপাসহ আশপাশের এলাকায় বেশকিছু চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, রবিবার রাত ১২টার দিকে সাতক্ষীরা উপকূল অতিক্রম করেছে রিমাল। কিন্তু এখনো সুন্দরবন উপকূলবর্তী নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ। দমকা হাওয়া যেভাবে বেঁড়িবাধে আঘাত করছে, তাতে বেড়িবাঁধ ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাঁধ ধসে পড়লে বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যাবে। স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও জানান, ঝড়ের কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়েছে। ফলে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ছোট-বড় বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, রিমালের আঘাতে সাতক্ষীরায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ৮ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমের বড় ক্ষতি হয়েছে।
তিনি জানান, বেড়িবাঁধের কোথাও ধসে পড়েনি। তবে নদীর জোয়ারের পানি উপচে বেশ কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। বাঁধের বেশ কিছু এলাকা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সেগুলো সংস্কারের কাজ চলছে।
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ৬ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ৬ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে আংশিক এবং সম্পূর্ণ মিলে এক লাখ ৫০ হাজার ৪৭৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমাল পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে উচ্চতর মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে মোট ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হলো- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং যশোর। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭টি এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভার সংখ্যা ৯১৪টি।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আট লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়াসহ আশ্রিত পশুর সংখ্যা ৫২ হাজার ১৪৬টি।
তিনি বলেন, দুর্গত লোকজনকে চিকিৎসা সেবা দিতে মোট এক হাজার ৪৭১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে চালু আছে এক হাজার ৪০০টি টিম।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১৫ জেলায় জিআর (ক্যাশ) তিন কোটি ৮৫ লাখ নগদ টাকা, ৫ হাজার ৫০০ টন চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য এক কোটি ৫০ লাখ টাকা, গোখাদ্য কেনার জন্য দেড় কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহকে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড়ের সময় বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা এড়াতে মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা পরামর্শ
বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এ প্রভাবে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বিদ্যুতের সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের সংযোগ থেকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও রয়েছে। তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখলে বিদ্যুৎ বিলের কাগজের পেছনে দেওয়া অভিযোগ কেন্দ্রগুলোর মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও সবাইকে নিরাপদ থাকার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে সবাইকে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে-
১. ছেঁড়া তার এড়িয়ে চলুন
কোনো ছেঁড়া তার চোখে পড়লে স্পর্শ করবেন না বা সরানোর চেষ্টা করবেন না। তাৎক্ষণিক নিকটবর্তী বিদ্যুৎ অফিসকে জানাবেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ঘূর্ণিঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে যুবকের মৃত্যু
২. বিদ্যুৎ লাইনের ওপর গাছ দেখলে ধরবেন না
বিদ্যুৎ লাইনের ওপর গাছ বা গাছের ডালপালা বা অন্য কোনো বস্তু পড়ে থাকতে দেখলে বিদ্যুৎ অফিসে জানান।
৩. ঝড়-বৃষ্টিকালে বৈদ্যুতিক খুঁটি বা তার ধরবেন না
ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত বা যে কোনো ভেজা বৈদ্যুতিক খুঁটি বা টানা তার স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
৪. মিটারের কভার তার পরীক্ষা
মিটারের কভার তার পরীক্ষা করে দেখবেন কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না। তার ছিঁড়ে বা কেটে গেলে নিজে ঠিক করার চেষ্টা না করে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করুন। কোনো কভার তারে কাপড় শুকাতে দিবেন না।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে নিহত ৭
৫. বিদ্যুৎ কর্মীদের সহযোগিতা করুন
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সবাইকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে। যেকোনো কাজে বিদ্যুৎ কর্মীরা সহযোগিতা চাইলে সহযোগিতা করতে চেষ্টা করুন।
বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনে ১৬৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করুন।
পল্লী এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যায় যোগাযোগের জন্য সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে যে নাম্বারগুলো-
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০১৭৯২-৬২৩৪৬৭, ০২-৮৯০০৫৭৫,
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি-
বরিশাল অঞ্চল- ০১৭১৩-৮৫০২১৮,
খুলনা অঞ্চল- ০১৭১৩-৮৫০২১১,
পটুয়াখালী অঞ্চল- ০১৭১৩-৮৫০২১৯
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে বিদ্যুৎহীন ২ কোটি ২২ লাখ মানুষ
৬ মাস আগে