চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহনকারী প্রাইমমুভার ট্রেইলার শ্রমিকদের ধর্মঘটে বন্ধ রয়েছে বন্দরে কনটেইনার আনা-নেওয়া।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) গাড়ি বন্ধ রেখে বন্দরে জড়ো হতে থকে শ্রমিকেরা। বেসরকারি ডিপোগুলো থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দরে নেওয়া যাচ্ছে না। একইভাবে আমদানি কনটেইনার বন্দর থেকে ডিপো বা কারখানায় নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে বন্দরে কন্টেইনার জট দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
চাকরির নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র এবং সরকার ঘোষিত মজুরির দাবিতে দুই দিনব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রাইমমুভার ট্রেইলার, কংক্রিট মিক্সচার, ফ্ল্যাটবেড ও ডাম্প ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন।
ধর্মঘটের ফলে বন্দর থেকে অনচেসিস ডেলিভারির রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনারগুলো বেসরকারি অফডক থেকে জাহাজীকরণের জন্য বন্দরে আনা ও বন্দর থেকে আমদানি কনটেইনার ডিপোতে নেওয়া বন্ধ ছিল।
ধর্মঘটে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে পণ্য রপ্তানিতে। রপ্তানি পণ্য প্রথমে কারখানা থেকে চট্টগ্রামের ডিপোতে নেওয়া হয়। বেসরকারি ডিপোগুলোতে সব প্রক্রিয়া শেষ করে এসব কনটেইনার জাহাজে তুলে দেওয়ার জন্য বন্দরে পাঠানো হয় প্রাইমমুভার ট্রেইলারে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার একক কনটেইনার পণ্য রপ্তানি হয়।
বেসরকারি ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, ধর্মঘটের কারণে ডিপোগুলো থেকে পণ্যের কনটেইনার বন্দরে পাঠানো যাচ্ছে না। ধর্মঘট চলতে থাকলে নির্ধারিত সময়ে পণ্য রপ্তানি সম্ভব হবে না।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, প্রাইমমুভার ট্রেইলার শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে ডিপো থেকে রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার আসতে পারেনি বন্দরে। জেটি, ইয়ার্ড ও টার্মিনালের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।
তিনি বলেন, প্রাইমমুভার ট্রেইলার শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের মালিকপক্ষের সমঝোতা বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশাকরি, দ্রুত সমাধান হবে।
জানা গেছে, সারা দেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ৯৯ শতাংশ পরিবহন হয় কনটেইনারে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে ৪ দিন বন্ধ আমদানি-রপ্তানি