ধর্মঘট
তৃতীয় দিনের ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
তৃতীয় দিনের মতো বেনাপোলে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। কোনো সমঝোতা না হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অনেকে অতিরিক্ত খরচ করে বাড়ি ফিরছেন।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। এছাড়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বাস মালিকদের আলোচনা সভা হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তারা কেন যে ধর্মঘট ডেকেছে সে বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি।
পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা জানান, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সকল পরিবহনের বাসগুলো পৌরসভার নির্দেশনা মতো চলছিল। ঢাকা থেকে রাতে ছেড়ে আসা বাসগুলো যাত্রীদের বেনাপোল চেকপোস্টে নামিয়ে দিয়ে পৌর বাস টার্মিনালে চলে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে শুক্রবার রাত তিনটার দিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দূরপাল্লার বাসগুলো যাত্রীদের জোরপূর্বক পৌর টার্মিনালে নামিয়ে দেয়। এ সময় যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন এবং নানা ধরনের হয়রানি শিকার হন। পরে তাদের লোকাল বাসে করে চেকপোস্টে পাঠান টার্মিনালের থাকা পৌরসভার লোকজন।
প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে পরিবহন মালিক সমিতি তিনদিন ধরে পরিবহন ও দূরপাল্লার বাস বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে ফের ধর্মঘটে শ্রমিকরা, পণ্য পরিবহন বন্ধ
এদিকে রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুই পক্ষই তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় কোনো সমঝোতা হয়নি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যানজট নিরসনে নৌপরিবহন উপদেষ্টার নির্দেশে এটা করা হয়েছে। উপদেষ্টার নির্দেশ ব্যতিত আমাদের পক্ষে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। পৌর টার্মিনাল থেকেই যাত্রী ওঠাতে এবং নামাতে হবে।
অপরদিকে পরিবহন মালিক সমিতি থেকে বলা হয়েছে, আগের নিয়মে বাস চলাচল করতে হবে। তা না হলে তারা বাস চলাচল বন্ধ রাখবেন।
পরিবহন মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, কয়েকদিন আগে শার্শা ইউএনও ও সুধী সমাজের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সেখানে যানজট নিরসনে নতুন পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী আমরা এই টার্মিনাল ব্যবহার করছি। তবে, যাত্রী হয়রানি ও নিরাপত্তার জন্য শেষ রাতের দূরপাল্লার পরিবহনগুলো যেন সীমান্ত ঘেঁষা পুরোনো টার্মিনালটি ব্যবহার করতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
যশোরের শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজীব হাসান বলেন, কী কারণে তারা (পরিবহন মালিক-শ্রমিক) ধর্মঘট ডেকেছে, আমরা সে বিষয়ে অবগত নই। তাদের কোনো কিছু বলার থাকলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে পারে।
বেনাপোল পরিবহন সমিতির সভাপতি বাবলুর রহমান বাবু বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর কোনো সমঝোতা হয়নি। যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ হয়রানির হাত থেকে রক্ষার জন্য আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছি।
আরও পড়ুন: ফুটবলাররা ধর্মঘটে নামতে বেশি দেরি নেই: ঠাঁসা সূচি প্রসঙ্গে রদ্রি
৩ সপ্তাহ আগে
ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে পাসপোর্ট যাত্রীরা
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বেনাপোলে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এতে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াতকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো শনিবার দিবাগত রাতে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।
যাত্রীদের দ্রুত ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কাজ শেষ করে ভারত যাতায়াতে সুবিধার জন্য বেনাপোল চেকপোস্টে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিবহন টার্মিনাল নির্মাণ করে সরকার। তবে হঠাৎ করেই চেকপোস্ট টার্মিনালে ভারতগামী যাত্রীদের না নামিয়ে দুই কিলোমিটার দূরে কাগজপুকুর পৌর বাস টার্মিনালে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
বেনাপোল চেকপোস্টের যানজট নিরসনে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে চেকেপাস্ট টার্মিনালেই যাত্রী নামানোর দাবিতে শনিবার দিবাগত রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো।
এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। পরিবহন বন্ধ থাকায় আশপাশে আত্মীয়-স্বজন থাকলে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন যাত্রীদের অনেকে। অনেকে আবার বেনাপোল থেকে ইজিবাইক ও লোকাল বাসে করে যশোর যাচ্ছেন। সেখান থেকে বাসে বা ট্রেনে করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর-বেনাপোল রুটে ২ ডিসেম্বর থেকে চলবে ট্রেন
এ ব্যাপারে পরিবহন সমিতির সভাপতি বাবলুর রহমান বাবু বলেন, চেকপোস্টের যানজট নিরসনে কয়েকদিন আগে স্থানীয় সুধী সমাজের উপস্থিতিতে যশোর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ঢাকা থেকে রাতে ছেড়ে আসা বাসগুলো চেকপোস্টে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে পৌর বাস টার্মিনালে চলে যাবে।
সেভাবেই সবকিছু চলছিল জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু হঠাৎ করে শুক্রবার রাত তিনটার দিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দূরপাল্লার বাসগুলো যাত্রীদের জোরপূর্বক পৌর টার্মিনালে নামিয়ে দেয়। এ সময় যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন এবং নানা ধরনের হয়রানি শিকার হন। পরে তাদের লোকাল বাসে করে চেকপোস্টে পাঠান টার্মিনালের থাকা পৌরসভার লোকজন।
৩ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রাইমমুভার ট্রেইলার শ্রমিকদের ধর্মঘট, বন্ধ রয়েছে বন্দরে কনটেইনার আনা-নেওয়া
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহনকারী প্রাইমমুভার ট্রেইলার শ্রমিকদের ধর্মঘটে বন্ধ রয়েছে বন্দরে কনটেইনার আনা-নেওয়া।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) গাড়ি বন্ধ রেখে বন্দরে জড়ো হতে থকে শ্রমিকেরা। বেসরকারি ডিপোগুলো থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দরে নেওয়া যাচ্ছে না। একইভাবে আমদানি কনটেইনার বন্দর থেকে ডিপো বা কারখানায় নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে বন্দরে কন্টেইনার জট দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
চাকরির নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র এবং সরকার ঘোষিত মজুরির দাবিতে দুই দিনব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রাইমমুভার ট্রেইলার, কংক্রিট মিক্সচার, ফ্ল্যাটবেড ও ডাম্প ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন।
ধর্মঘটের ফলে বন্দর থেকে অনচেসিস ডেলিভারির রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনারগুলো বেসরকারি অফডক থেকে জাহাজীকরণের জন্য বন্দরে আনা ও বন্দর থেকে আমদানি কনটেইনার ডিপোতে নেওয়া বন্ধ ছিল।
ধর্মঘটে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে পণ্য রপ্তানিতে। রপ্তানি পণ্য প্রথমে কারখানা থেকে চট্টগ্রামের ডিপোতে নেওয়া হয়। বেসরকারি ডিপোগুলোতে সব প্রক্রিয়া শেষ করে এসব কনটেইনার জাহাজে তুলে দেওয়ার জন্য বন্দরে পাঠানো হয় প্রাইমমুভার ট্রেইলারে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার একক কনটেইনার পণ্য রপ্তানি হয়।
বেসরকারি ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, ধর্মঘটের কারণে ডিপোগুলো থেকে পণ্যের কনটেইনার বন্দরে পাঠানো যাচ্ছে না। ধর্মঘট চলতে থাকলে নির্ধারিত সময়ে পণ্য রপ্তানি সম্ভব হবে না।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, প্রাইমমুভার ট্রেইলার শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে ডিপো থেকে রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার আসতে পারেনি বন্দরে। জেটি, ইয়ার্ড ও টার্মিনালের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।
তিনি বলেন, প্রাইমমুভার ট্রেইলার শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের মালিকপক্ষের সমঝোতা বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশাকরি, দ্রুত সমাধান হবে।
জানা গেছে, সারা দেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ৯৯ শতাংশ পরিবহন হয় কনটেইনারে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে ৪ দিন বন্ধ আমদানি-রপ্তানি
১ মাস আগে
ফুটবলাররা ধর্মঘটে নামতে বেশি দেরি নেই: ঠাঁসা সূচি প্রসঙ্গে রদ্রি
ফুটবলের ঠাঁসা সূচির কারণে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে খেলোয়াড়দের। অতিরিক্ত পরিশ্রমের প্রভাব পড়ছে তাদের শরীরেও, একের পর এক চোটে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন খেলোয়াড় থেকে কোচ- সবাই। এবার এ প্রসঙ্গে কার্যত হুমকি দিলেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড রদ্রি।
কাজের চাপ যে হারে বাড়ছে, তাতে ফুটবলারদের ধর্মঘটে নামতে বেশি দেরি নেই বলে মনে করেন সিটি ও স্পেন জাতীয় দলের এই অধিনায়ক।
সব মিলিয়ে ৬৩টি ম্যাচ খেলে ১৪ জুলাই ইউরোর ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে গত মৌসুম শেষ করেছেন রদ্রি।
চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাটের কারণে ম্যাচ আরও বেড়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে পরিবর্তিত ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা নেশন্স লিগ ও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। সব মিলিয়ে গত মৌসুমের চেয়ে এ মৌসুমে ফুটবলারদের ব্যস্ততা আরও বেশি।
আরও পড়ুন: রদ্রির ব্যালন দ’র নিশ্চিত হয়ে গেছে
এর ফলে ফুটবলাররা কি তাহলে ধর্মঘটে নামতে পারে- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে রদ্রি বলেন, ‘আসলে আমরা এর থেকে (ধর্মঘট) বেশি দূরে নেই। এটা বুঝতে তো সমস্যা হওয়ার কথা নয়! আমার মনে হয়, যেকোনো ফুটবলারকে আপনি এই প্রশ্ন করলে একই উত্তর পাবেন।’
‘এটি রদ্রির মন্তব্য নয়, সব ফুটবলারদের সাধারণ মতামত এটি। আর যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের (ধর্মঘটে নামা ছাড়া) আর কোনো উপায় থাকবে না। আমার সত্যিই তাই মনে হয়।’
২৮ বছর বয়সী এই কন্ট্রোলিং মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমি জানি না, (এ বিষয়ে ভবিষ্যতে) কী হতে চলেছে, তবে এর ভুক্তভোগী তো হচ্ছি আমরাই।’
২০১৯ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে ক্লাব ফুটবলের প্রায় সব প্রতিযোগিতায় খেলার কারণে রদ্রির গেম টাইম এমনিতেই বেড়ে গেছে। ক্লাব বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ঘরোয়া লিগ মিলিয়ে একেক মৌসুমে গড়ে অর্ধশতাধিক ম্যাচ খেলে থাকেন তিনি। চলতি মৌসুমে তা বেড়ে সর্বোচ্চ ৮৫টি ম্যাচ খেলতে হতে পারে তার।
আরও পড়ুন: রেকর্ড চতুর্থবার শিরোপা জিতে নবযুগের সূচনা করল স্পেন
অর্ধশতাধিক ম্যাচই একজন ফুটবলারের জন্য বেশি বলে মনে করেন রদ্রি, সেখানে ৮০টির বেশি ম্যাচ খেলা একেবারেই অমানবিক বলে মনে করেন তিনি।
‘দেখুন, ৪০-৫০টি ম্যাচে একজন খেলোয়াড় তার সেরাটা দিতে পারে। এরপর তার পারফরম্যান্স ধরে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেখানে আমাদের প্রতি মৌসুমে ৬০-৭০টি করে ম্যাচ খেলা লাগে। আর এ বছর তা ৭০-৮০ ম্যাচে গিয়ে দাঁড়াবে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় (একটি ক্লাব) কতদূর যাবে, তার ওপর নির্ভর করছে ফুটবলারদের খেলার পরিমাণ। আমার কাছে এটি অত্যন্ত বেশি বলে মনে হয়।’
উল্লেখ্য, ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পর স্পেনের হয়ে ইউরো জিতে এবারের ব্যালন দ’র জয়ের অন্যতম ফেভারিট হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন রদ্রি।
৩ মাস আগে
কানাডায় ধর্মঘটে ওয়েস্টজেটের আরও ফ্লাইট বাতিল, দুর্ভোগে লক্ষাধিক যাত্রী
কানাডায় উড়োজাহাজ মেকানিকদের ধর্মঘটের কারণে রবিবার শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম উড়োজাহাজ সংস্থা ওয়েস্টজেট। একারণে কানাডার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ভ্রমণকারী তাদের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ফেডারেল সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিষয়টির মিমংসার জন্য শ্রমমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশ সত্ত্বেও প্রায় ৬৮০ জন কর্মী শুক্রবার কাজ ছেড়ে চলে যান। এসব কর্মী প্রতিদিন উড়োজাহাজ পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় মেরামত করেন।
ওয়েস্টজেট এয়ারলাইন্সের প্রেসিডেন্ট ডিডেরিক পেন রবিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিষয়টি মিমাংসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ওয়েস্টজেটকে আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ধর্মঘট ও শালিসি বৈঠক একই সঙ্গে চলতে পারে না। তাই এবিষয়ে সরকারের অবস্থানের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। এটি এমন একটি বিষয় যা তারা সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং অন্যান্য কানাডিয়ানের মতো আমরাও অপেক্ষা করছি।’
আরও পড়ুন: চীনের সামরিক মহড়ার জেরে তাইওয়ানের বিমানের ফ্লাইট বাতিল
বৃহস্পতিবার থেকে ওয়েস্টজেট সোমবারের পর্যন্ত নির্ধারিত ৮২৯টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। অথচ এটি মৌসুমের ব্যস্ততম ভ্রমণ সপ্তাহ।
রবিবারের বেশিরভাগ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছিল কারণ ওয়েস্টজেটের ১৮০টি উড়োজাহাজের মধ্যে ৩২টি চালু রয়েছে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভিক্টোরিয়া বিমানবন্দরের পার্কিংয়ে স্ত্রী ও দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করে অপেক্ষা করছিলেন আলবার্টার লেথব্রিজের বাসিন্দা টেম্পল-মুরে। তিনি বলেন, 'আমাদের শুধু অপেক্ষা করতে হবে।’ তারা ক্যালগেরিতে যেতে একটি উড়োজাহাজের ফ্লাইটের চেষ্টা করছিলেন।
সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটের তাদের যে ফ্লাইট ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত জানতেন না, পরের দিন সকাল ৭টার নির্ধারিত ফ্লাইটটিও যাবে কি না।
টার্মিনালের দিকে আঙুল দেখিয়ে টেম্পল-মারে বলেন, 'ওখানে অনেক ক্ষুব্ধ মানুষ আছে।’
দশম গ্রেডের এক্সচেঞ্জের শিক্ষার্থী মেরিনা সেব্রিয়ান জানান, রবিবার ভোরে তার স্পেনে ফেরার কথা থাকলেও তিনটি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন না।
তিনি বলেন, এটা দুঃখজনক। সাত ঘণ্টা আগের মতো আজও আমার বাসায় থাকার কথা ছিল, কিন্তু আমি নেই।
ওয়েস্টজেট ও এয়ারপ্লেন মেকানিক্স ফ্র্যাটারনাল অ্যাসোসিয়েশন উভয়ই অন্য পক্ষকে বিশ্বাস করে আলোচনায় বসতে অস্বীকার করার অভিযোগ করেছে।
আরও পড়ুন: চীনে আঘাত হানছে টাইফুন ‘ইন-ফা’, বহু ফ্লাইট বাতিল
৫ মাস আগে
রবিবার থেকে চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৃহত্তর গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা এই ধর্মঘট চলবে।
সংগঠনের সদস্য সচিব মো. মুছা বলেন, শনিবার গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের জরুরি সভায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
তিনি গণমাধ্যমকে আরও বলেন, চুয়েটে দুই ছাত্রের মৃত্যুর পর বিষয়টি নিয়ে সমাধান হওয়ার পরও আমাদের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সম্পদ ও পরিবহন শ্রমিকদের নিরাপত্তা চাই। গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। যা রবিবার সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হন। এর জের ধরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন।
গত ২৪ এপ্রিল বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেন।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আগামী ৯ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিকালে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাবিজ-কবজ ও যাদু-টোনার অভিযোগে কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যা
সিলেটে সড়কে হঠাৎ রিকশাচালকের মৃত্যু
৭ মাস আগে
সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
সিলেটে গ্যাস সংকট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সিলেট জেলাজুড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমদ।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে প্রত্যেক মাসের ১৮ থেকে ২০ দিন পর থেকেই পেট্রোল পাম্পগুলোতে অনুমোদিত লোড শেষ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সিএনজিচালিত যানবাহনের চালকরা।
গত রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সিলেট জেলায় সিএনজি চালিত সব যানবাহনের সিএনজি লোডিংয়ে সব সংকট ও প্রতিবন্ধকতা দূর করার দাবিতে মানববন্ধন করে পরিবহন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ধর্মঘটে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সিলেটবাসী গ্যাস সংকটের কারণে দুর্ভোগে রয়েছে। বর্তমানে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। প্রতিদিন বিভিন্ন সিএনজি পাম্পে গ্যাস নেওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে গ্যাস পাচ্ছে না পরিবহন শ্রমিকরা। বিগত কয়েক বছর থেকে গ্যাস সংকট সমাধানের লক্ষ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক, স্থানীয় মন্ত্রী ও এমপিদের অবহিত করার পরও সমাধান হচ্ছে না। এসময় মঙ্গলবারের (২৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে গ্যাসের লোড বৃদ্ধি ও সংকট সমাধান না হলে আজ বুধবার থেকে সিলেটের সব সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে জানান পরিবহন নেতারা।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, ৫ দাবিতে বুধবার ভোর থেকে সিলেটের পরিবহন শ্রমিকরা অনিদিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করবেন। প্রয়োজনে পুরো সিলেট বিভাগ অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের ৩ জেলার ২৬ রুটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে, ভোগান্তিতে মানুষ
৯ মাস আগে
বরগুনার সব রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট চলছে
বরগুনায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. ছগীরের ওপর হামলা এবং বাস মালিক সমিতির অফিস ভাঙচুর করার প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা পৌর বাস টার্মিনালে মালিক সমিতির অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সংগঠনটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা কিসলু জানান, একটি ফেস্টুন সাঁটানোকে কেন্দ্র করে বরগুনা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন তার লোকজন নিয়ে ছগীরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অফিস থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের ৩ জেলার ২৬ রুটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে, ভোগান্তিতে মানুষ
কিসলু বলেন, ‘এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা আর কখনও হইনি। আমাদের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। স্ত্রী সন্তানের সামনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (বশেমুক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। হামলার সময় অফিস থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এ দিকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার কারণে সোমবার সকাল থেকে জেলার সব সড়কে পরিবহন শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বরগুনা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার
১০ মাস আগে
শ্রমিকদের ধর্মঘটে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষের কারণে ৬ দিন থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক ও বাংলাদেশি ট্রাক মিলে বুড়িমারী স্থলবন্দরে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভারত থেকে মালামাল আসলেও তা খালাস হচ্ছে না। বুড়িমারী স্থলবন্দর অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টম্বর) দুপুরে বুড়িমারী স্থলবন্দরে শত শত ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। স্থল বন্দরের ইয়ার্ড এবং মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
এর আগে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সমস্যা নিরসনে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি বিকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
সরেজমিনে দেখা গেছে, বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রবেশের পথে মহাসড়কের একাধিক স্থানে লোড-আনলোড শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রাখায় স্থলবন্দরের শেড, মাঠ ও সড়ক জুড়ে শত শত পণ্যবাহী গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে।
স্থলবন্দরে লোড-আনলোড শ্রমিকেরা সারাদিন ধরে দলে দলে বসে আছেন। শ্রমিকদের দাবি মজুরির টাকা সর্দারের মাধ্যমে দিলে নিবে না। সরাসরি লেবার হ্যান্ডেলিং ঠিকাদার বা প্রতিনিধির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে, না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য লোড-আনলোড কাজ বন্ধ থাকবে।
এর আগে সঠিক মজুরি না দেওয়া, পারিশ্রমিকের কেটে নেওয়া টাকার হিসাব না দেওয়া, নির্বাচনের মাধ্যমে শ্রমিক সংগঠনের কমিটি গঠন না করে স্বজনপ্রীতিসহ নানা বৈষম্যের অভিযোগে শ্রমিক সরদারদের বিচার ও পদত্যাগের দাবিতে একাধিকবার লোড-আনলোড বন্ধ রেখে মহাসড়ক অবরোধ ও ধর্মঘট করে শ্রমিকরা।
গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্রমিকদের মজুরির টাকা না দেওয়া ও সাধারণ শ্রমিকদেরকে কাজের সিরিয়াল দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক ও সর্দার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে শ্রমিকদের হামলায় দুই সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলামকে প্রায় ৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে শ্রমিকরা।
এ ঘটনায় শ্রমিক অসন্তোষ ও স্থলবন্দরের কার্যক্রমে ব্যাঘাতের ঘটনায় শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ স্বাক্ষরিত একটি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
এ কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান। অন্যান্য সদস্যরা হলেন- লালমনিরহাট সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস, পাটগ্রাম উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ, বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিন।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টা হতে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত সাধারণ শ্রমিকদের ১০ জনের প্রতিনিধি দল ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুজ্জামান সায়েদকে নিয়ে বৈঠক করেন। শ্রমিকদের প্রতিনিধি দলের নের্তৃত্ব দেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক লীগ বুড়িমারী স্থলবন্দর শাখার সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন।
বৈঠক সূত্র জানা গেছে, সমস্যা নিরসনে সর্দার কুজিওমিনের পক্ষ, ঠিকাদার ও শ্রমিকপক্ষের মাধ্যমে লোড-আনলোড, মজুরি পরিশোধের কাজ করার প্রস্তাব করা হলে শ্রমিকেরা এ প্রস্তাবে রাজি হয়নি। ফলে কোনো প্রকার সুরাহা ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
শ্রমিক লীগ বুড়িমারী স্থলবন্দর শাখার সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বুড়িমারী স্থলবন্দরের সকল শ্রমিক ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করবে না। এই ঘটনায় বৈঠক হলেও তা এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘রবিবার সন্ধ্যায় গঠিত কমিটি ও শ্রমিক ও সর্দার প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এ তদন্ত কমিটির আহবায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান স্যার নোট করে নিয়ে গেছেন, এখন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফাইনাল সিদ্ধান্ত আসলে আমরা সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বুড়িমারী বন্দরের কাস্টমসের ডিপুটি কমিশনার আব্দুল আলিম বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে গতকাল ভারত থেকে ১১টি ট্রাক বাংলাদেশের প্রবেশ করলেও আজকে একটিও ট্রাক প্রবেশ করেনি। বিষয়টি সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসক ও ইউএনও মহোদয়গণ কাজ করছেন। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
১ বছর আগে
খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার
খুলনায় তিন দফা দাবিতে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের অনির্দিষ্টকালের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। রবিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে জ্বালানি তেল বিক্রির উপর কমিশন বাড়ানোসহ ৩ দফা দাবিতে রবিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন খুলনার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবি হচ্ছে— জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংক-লরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির উপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।
আরও পড়ুন: ফিলিং স্টেশন মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে সোমবার থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: বিপিসি
বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এই কর্মসূচি আহ্বান করে। ফলে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ৪ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ ছিল।
অপরদিকে সকালে খালিশপুর, দৌলতপুর, বয়রা, ফুলবাড়ী গেটের কয়েকটি পেট্রোল পাম্প ঘুরে দেখা যায় সেখানে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। খালিশপুরের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা যমুনা থেকে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। সেখানে কয়েক’শ ট্যাংক-লরি দাঁড়িয়ে ছিল।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট খুলনার নিউমার্কেট এলাকায় আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় জ্বালানি তেল বিক্রির উপর কমিশন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু
১ বছর আগে