চট্টগ্রাম বন্দর
ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার টন চাল নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে
ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার ৭০০ টন চাল নিয়ে এমভি এমডি সি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
এতে বলা হয়েছে, ৩ ফেব্রুয়ারি সম্পাদিত জি টু জি চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-১) ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার ৭০০ টন আতপ চাল নিয়ে এমভি এমডি সি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
ভিয়েতনাম থেকে জি টু জি ভিত্তিতে মোট ১ লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে চুক্তি মোতাবেক ৬০ হাজার টন চাল দেশে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে।এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
১০ দিন আগে
৫৩ বছর পর মোংলা বন্দরে আসছে পাকিস্তানের চাল
স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান থেকে চাল বহনকারী একটি জাহাজ ২৫ হাজার মেট্রিকটন চাল নিয়ে ভেড়বে মোংলা সমুদ্রবন্দরে। এটি প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দর এবং পরবর্তীতে মোংলা বন্দরে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর চাল আমদানির জন্য বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে জি-টু সই করা হয়। বাসমতি নামের চাল সরবরাহ করেছে পাকিস্তানি ট্রেডিং কর্পোরেশন। ২৫ হাজার মেট্রিকটন চাল নিয়ে করাচির পোর্ট কাসিম থেকে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। পাকিস্তানের দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সরকারি পর্যায়ে সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু করেছে। পাকিস্তান সরকার অনুমোদিত প্রথম কার্গো বন্দর কাসিম ছেড়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দর থেকে প্রথমবারের মতো পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। কারণ ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ পাকিস্তানের (টিসিপি) মাধ্যমে ৫০ হাজার টন চাল কিনতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। চুক্তিটি ফেব্রুয়ারির শুরুতে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
চালের চালানটি দুটি ধাপে সরবরাহ করা হবে। প্রথম ২৫ হাজার টনের চালানটি এখন বাংলাদেশে পৌঁছে যাচ্ছে। দ্বিতীয় চালানটি মার্চের শুরুতে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। এই বাণিজ্য চুক্তি দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সরাসরি জাহাজ চলাচল সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথমবারের মতো সরকারি পণ্য বহনকারী পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং কর্পোরেশনের (পিএনএসসি) একটি জাহাজ বাংলাদেশের একটি বন্দরে নোঙর করবে, যা সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই উন্নয়নকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কয়েক দশক ধরে সুপ্ত থাকা বাণিজ্য চ্যানেলগুলো পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রকের খুলনা কার্যালয়ের উপ-নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রোজিত সরকার জানান, চালের সংকট মেটাতে পাকিস্তান থেকে চাল আসছে। তার আগে মিয়ানমারের চাল পৌঁছাবে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের হলদিয়া স্থলবন্দর থেকে ১১ হাজার মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল মোংলা বন্দরে ভেড়ে। পাকিস্তান থেকে আসা চাল প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দরে এবং পরবর্তীতে ৪০ শতাংশ মোংলা বন্দরে খালাস হবে।
খুলনা জেলা সহকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) তৈয়েবুর রহমান জানান, বয়রা ও মহেশ্বরপাশা কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদামে ৪৭ হাজার মেট্রিকটন চাল মজুদ আছে। উল্লিখিত দুই গুদামের ধারণক্ষমতা এক লাখ মেট্রিকটন। মজুদ করা চালের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয়।
৪৬ দিন আগে
পণ্যবোঝাই জাহাজকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগের নির্দেশ
রমজান মাসে নিত্যপণ্যের সাপ্লাই চেইন ও বাজারে মূল্য ঠিক রাখতে পণ্যবোঝাই লাইটার জাহাজ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দর সীমা ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে মাদার ভেসেল হতে লাইটার জাহাজে পণ্যবোঝাই করার পর লাইটার জাহাজসমূহ যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই পোর্ট লিমিটের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দিনের পর দিন অবস্থান করছে। যা পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় এবং সাধারণ জনগণের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। একই সঙ্গে বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ভোক্তাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এভাবে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধির অপচেষ্টা রাষ্ট্র এবং জনস্বার্থ বিরোধী।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা থেকে গম এলো চট্টগ্রাম বন্দরে
তিনি আরও বলেন, সীমিত এলাকায় এত অধিক সংখ্যক লাইটারের অবস্থানের কারণে নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সাপ্লাই চেইনও বিঘ্নিত হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজের নিরবচ্ছিন্ন চলাচলের জন্য পোর্ট লিমিট সবসময় প্রতিবন্ধকতা মুক্ত রাখা জরুরি।
লাইটার জাহাজগুলোর বন্দর সীমানায় এরূপ অনিরাপদ অবস্থান চট্টগ্রাম বন্দর আইন এবং আইএসপিএস কোডের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বন্দর চেয়ারম্যান জানান, পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব পণ্যের সাপ্লাই চেইন নিরবিচ্ছিন্ন রাখা, বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ নৌ চলাচলের স্বার্থে মালামাল লোড করার পর লাইটার জাহাজগুলোকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে পোর্ট লিমিট ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায়, চট্টগ্রাম বন্দর আইন এবং আইএসপিএস কোড অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৪৯ দিন আগে
আর্জেন্টিনা থেকে গম এলো চট্টগ্রাম বন্দরে
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেটিনা থেকে আবারও ৫২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি ইন্ডিগো ওমেগা নামে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ইমদাদ ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা থেকে এলো ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম
এর আগে ৫ জানুয়ারি আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার ২০০ টন গম নিয়ে এসেছিল এমভি ইলপিডা জিআর নামে আরেকটি জাহাজ।
মন্ত্রণালয় জানায়, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা ৫২ হাজার ৫০০ টন গম নিয়ে এমভি ইন্ডিগো ওমেগা জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার গম খালাসের কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
৬৩ দিন আগে
মিয়ানমার থেকে এলো ২২ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল
জি টু জি ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে থেকে ২২ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি গোল্ডেন স্টার জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এটি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত চালের প্রথম চালান। জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা সংগ্রহপূর্বক ভৌত পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের কাজ শুরু হবে। এজন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এরআগে পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি করার কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ১৪ জানুয়ারি খাদ্য অধিদপ্তর ও ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তানের (টিসিপি) মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল খালেক ও টিসিপির চেয়ারম্যান সৈয়দ রাফিউ বশির শাহ নিজ নিজ পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারের ক্রয় কমিটির অনুমোদনের পর চাল আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হবে। ওই চাল আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশে আসতে শুরু করবে।
এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করতে এই সমঝোতা স্মারক এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৯০ দিন আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে ফের ধর্মঘটে শ্রমিকরা, পণ্য পরিবহন বন্ধ
নিয়োগপত্র ও কর্মঘণ্টা নির্ধারণসহ চার দফা দাবিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও ধর্মঘট শুরু করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরে প্রাইম মুভার ট্রেইলার (কন্টেইনার পরিবহন) শ্রমিকরা। এতে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানির কনটেইনার পরিবহন কার্যক্রম।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে ঊর্ধ্বমুখী সূচকে লেনদেন, দর বেড়েছে ৩৭৩ কোম্পানির
চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ট্রেইলার, কংক্রিট মিক্সচার, ফ্ল্যাটবেড ও ডাম্প ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান বলেন, ‘আগের ধর্মঘটের সময় তারা আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা, বিআরটিএ ও শ্রম অধিদপ্তর এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা দুই দফা বৈঠকে বসেন। বিভিন্ন সময় দাবি মানার আশ্বাস দিলেও আইনি জটিলতার কথা বলে নিয়োগপত্র দিতে অনীহা দেখান তারা। তাই আমরা মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে আবার কর্মবিরতি শুরু করেছি।’
এর আগে, চাকরির নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ ও সরকার ঘোষিত মজুরির দাবিতে গত ২১ অক্টোবর সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দেয় শ্রমিক সংগঠন। টানা ৩৪ ঘণ্টা কর্মবিরতির পর সমঝোতার আশ্বাস পেয়ে তারা কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে মালিক-শ্রমিক উভয়পক্ষ অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে বৈঠকের কথা থাকলেও সেটি সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে হয়।
সভায় মালিক পক্ষ ঘোষণা দেন পরদিন (মঙ্গলবার) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস কক্ষে শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালকের উপস্থিতিতে শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে নিয়োগপত্র দিতে মালিকপক্ষ আপত্তি জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টমস মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে অসুস্থ মাকে দেখে বাড়ি ফেরার পথে ছেলের মৃত্যু
১৬৮ দিন আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রাইমমুভার ট্রেইলার শ্রমিকদের ধর্মঘট, বন্ধ রয়েছে বন্দরে কনটেইনার আনা-নেওয়া
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহনকারী প্রাইমমুভার ট্রেইলার শ্রমিকদের ধর্মঘটে বন্ধ রয়েছে বন্দরে কনটেইনার আনা-নেওয়া।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) গাড়ি বন্ধ রেখে বন্দরে জড়ো হতে থকে শ্রমিকেরা। বেসরকারি ডিপোগুলো থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দরে নেওয়া যাচ্ছে না। একইভাবে আমদানি কনটেইনার বন্দর থেকে ডিপো বা কারখানায় নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে বন্দরে কন্টেইনার জট দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
চাকরির নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র এবং সরকার ঘোষিত মজুরির দাবিতে দুই দিনব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রাইমমুভার ট্রেইলার, কংক্রিট মিক্সচার, ফ্ল্যাটবেড ও ডাম্প ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন।
ধর্মঘটের ফলে বন্দর থেকে অনচেসিস ডেলিভারির রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনারগুলো বেসরকারি অফডক থেকে জাহাজীকরণের জন্য বন্দরে আনা ও বন্দর থেকে আমদানি কনটেইনার ডিপোতে নেওয়া বন্ধ ছিল।
ধর্মঘটে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে পণ্য রপ্তানিতে। রপ্তানি পণ্য প্রথমে কারখানা থেকে চট্টগ্রামের ডিপোতে নেওয়া হয়। বেসরকারি ডিপোগুলোতে সব প্রক্রিয়া শেষ করে এসব কনটেইনার জাহাজে তুলে দেওয়ার জন্য বন্দরে পাঠানো হয় প্রাইমমুভার ট্রেইলারে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার একক কনটেইনার পণ্য রপ্তানি হয়।
বেসরকারি ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, ধর্মঘটের কারণে ডিপোগুলো থেকে পণ্যের কনটেইনার বন্দরে পাঠানো যাচ্ছে না। ধর্মঘট চলতে থাকলে নির্ধারিত সময়ে পণ্য রপ্তানি সম্ভব হবে না।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, প্রাইমমুভার ট্রেইলার শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে ডিপো থেকে রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার আসতে পারেনি বন্দরে। জেটি, ইয়ার্ড ও টার্মিনালের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।
তিনি বলেন, প্রাইমমুভার ট্রেইলার শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের মালিকপক্ষের সমঝোতা বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশাকরি, দ্রুত সমাধান হবে।
জানা গেছে, সারা দেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ৯৯ শতাংশ পরিবহন হয় কনটেইনারে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে ৪ দিন বন্ধ আমদানি-রপ্তানি
১৭৬ দিন আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে অটোমেশন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে: উপদেষ্টা
নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম পোর্ট হচ্ছে বাংলাদেশের লাইফলাইন। তাই চট্টগ্রাম বন্দরে অটোমেশন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ পোর্ট যদি না চলে এবং যে অব্যবস্থাপনা ছিল সেটা যদি দূর না হয় আমাদের অর্থনীতির লাইফলাইনে অসুবিধা হবে। সে কারণে গত তিন দিন ধরে এ পোর্টের যাবতীয় কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বন্দর পরিদর্শন শেষে নিউমুরি কনটেইনার টার্মিনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ আইন উপদেষ্টার
তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যানুয়ালি থেকে যদি অটোমেশন করতে পারি তাহলে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সময় কমে যাবে। আগে একটি জাহাজ এলে ১০ থেকে ১৫ দিন লাগত পণ্য খালাসে। এখন সেটা অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা যে সন্তুষ্ট, তা একদম নয়। অটোমেশনের কাজ চলছে। সেটি হলে কনটেইনার লোডিং ও আনলোডিংয়ের সময় কমবে।’
তিন দিনের সফর শেষে চট্টগ্রাম বন্দর, নৌবাণিজ্য ও সুনীল অর্থনীতি নিয়ে কথা বলেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এখানে (চট্টগ্রাম বন্দর) অনেক অনিয়ম হয়েছে। সেগুলো বলতে গেলে সারাদিন লাগবে। অনেক লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করছে না। লাইসেন্স নিয়ে হয়তো আরেকজনের কাছে বিক্রি করেছে। আমাদের নজরে এসেছে। আমরা ব্যবস্হা নিচ্ছি।’
চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে (চট্টগ্রাম বন্দর) ২০ বছর আগের কনটেইনার পড়ে আছে। ১২ থেকে ১৪ বছর ধরে গাড়ি পড়ে আছে। এগুলো নিলাম করার কাজ এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। বন্দরের জায়গা যদি এভাবে ভর্তি হয়ে থাকে তাহলে কার্যক্রম কীভাবে বাড়বে। পোর্টের জায়গা যদি খালি না করে এত কনটেইনার আছে এগুলো আমরা রাখব কোথায়। ফিরে গিয়ে আমি এনবিআরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলব। শুধুমাত্র বন্দর নয়, আরও যেসব সংস্থা আছে তাদেরও কাজ করতে হবে। যদি কাজ না করে তাহলে বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজগুলো করতে পারবে না। আমাদের কাছে বিনিয়োগকারী আছে। পোর্ট অটরিটিই শুধু না, পোর্ট অথরীটির মধ্যে যেসব এজেন্সি আছে তাদেরও একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
বন্দরকে দুর্নীতিমুক্ত করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি থাকলে অবশ্যই বলবেন। এ বন্দরকে জঞ্জাল মুক্ত করতে হবে। আর এটা যাতে কুইক রেসপন্স করতে পারে সেটার জন্য কাজ করতে হবে।’
চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বে-টার্মিনালের জায়গাগুলোও দেখে আসছি। আমি আপাতদৃষ্টিতে বে টার্মিনালে কোনো সমস্যা দেখছি না। এখানে বিনিয়োগ করার জন্য অনেকে বিদেশি বিনিয়োগকারী বসে আছে। আগামী বেশ কিছু বছর পরে এ টার্মিনালের যে সম্ভাবনা সেটা দেখতে পাব। আমাদের দিনদিন আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে। সেগুলোও লোড-আনলোড করতে সমস্যা হবে না। এখানে সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ বিনিয়োগ করেছে। বিনিয়োগকে যদি আমরা নিরুৎসাহিত করি তাহলে আমাদের এখানে কিন্তু বাইরের কেউ আসবে না। সিঙ্গাপুরের পোর্ট আর আমাদের বন্দরের মধ্যে কিন্তু তফাত আছে। তারা উম্মুক্ত। তারা অনেক এগিয়ে। বন্দরগুলোকে আমরা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি, বন্দরের ভেতরে যে অরাজকতা ও চোরাচালান আছে সেগুলো যদি বন্ধ করতে পারি তাহলে আমরা আরও বেশি আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারব।’
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পোর্টের জন্য যেটা ভালো হবে সেটা করা হবে। টেন্ডার এখন আর ডিপিএম পদ্ধতিতে হবে না। এখন ওপেন দরপত্র আহ্বান করা হবে। সেটা আবার আমরা রিভিউ করব। যাতে লোকাল বা বিদেশির মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট লোক যাতে না আসে।’
এসমং উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেকসহ বন্দরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপদ করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর আহ্বান উপদেষ্টার
১৯০ দিন আগে
৯টি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা
এস আলম গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছয়টিসহ ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। নিষেধাজ্ঞায় এসব ব্যাংকের পে-অর্ডার, চেক ও ব্যাংক গ্যারান্টি না নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস শাকুর সই করা একটি অফিস আদেশ সংস্থাটির সব বিভাগের কাছে পাঠানো হয়। এ নির্দেশনার ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে সেবা নিতে কিংবা টেন্ডারসহ আনুষঙ্গিক কাজে কেউ ব্যাংকগুলো চেক বা পে-অর্ডার দিতে পারবেন না।
গত প্রায় ১৫ দিন ধরে শিপিং এজেন্টগুলো ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের পে-অর্ডার নেওয়া বন্ধ রেখেছিল। এবার ব্যাংকগুলোর পে–অর্ডার, চেক ও ব্যাংক গ্যারান্টি সেবা বন্ধের নির্দেশনা জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
এর মধ্যে প্রথম ছয়টি ব্যাংক চট্টগ্রামের আলোচিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা এসব ব্যাংকের চলতি হিসাবে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। আবার ব্যাংকগুলোতেও তারল্য সংকট রয়েছে। আগে তারল্য সংকট মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নগদ সহায়তা নিয়ে এলেও ঘাটতি থাকার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন নগদ সহায়তা দিচ্ছে না। এ কারণে এসব ব্যাংকের চেকের লেনদেন নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এ জন্য সতর্কতা হিসেবে এসব ব্যাংকের পে-অর্ডার ও চেকগুলো না নেওয়ার জন্য বন্দরের সব বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, সাধারণত দরপত্র দাখিলের সময় টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে জামানত হিসেবে পে–অর্ডার নেওয়া হয়। আবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি নেওয়া হয়। এসব পে-অর্ডার কিংবা ব্যাংক গ্যারান্টি নগদায়নের ক্ষেত্রে যাতে বন্দর কোনো সমস্যায় না পড়ে, সে জন্য সতর্কতাবশত এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ২৮ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
২২৮ দিন আগে
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর অন্য দেশেও এর কার্যক্রম চালাবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বন্দর পরিচালনাকারিরা বিনিয়োগ করছে। আমি সম্ভাবনা ও স্বপ্ন দেখি, সময় আসবে চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এর কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ সংক্রান্ত চট্টগ্রাম বন্দর ও আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা স্মারকপত্র (এমওইউ) স্বাক্ষর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা কাসিফ আল মৌদি, আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল অফিসের রিজিওনাল চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমেদ আল মুতায়া।
আরও পড়ুন: দেশে এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি হবে, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সমঝোতা স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাইফ আল মাজরুই। স্মারকপত্র অনুযায়ী আরব আমিরাতের আবুধাবী পোর্টস গ্রুপ বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগ করবে। তারা অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। মোংলা বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের মতো সক্ষমতা অর্জন করবে। পায়রা বন্দরে নির্মাণাধীন জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়েছে। এটা একটা নতুন অনুভূতি। আগে মাদার ভেসেলে পণ্য পরিবহনের জন্য আমাদের কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরের উপর নির্ভরশীল হতে হতো। বর্তমানে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে। এতে করে নির্ভরশীলতা কমে যাবে। মাতারবাড়ি বন্দর আঞ্চলিক হাবে পরিণত হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদিআরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। খুব শিগগিরই এর কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, বে টার্মিনাল নির্মিত হলে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ আসা যাওয়া করবে। জোয়ার ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর অন্য ধরনের উচ্চতায় চলে যাবে। বে টারমিনালের সঙ্গে রোড, রেলওয়ে কানেক্টিভিটি থাকবে। পণ্য পরিবহন সহজলভ্য হবে। শুধু আবুধাবী বন্দরের জন্য নয়, আমাদের জানালা খোলা আছে। দেশের যেকোনো বন্দরে বিনিয়োগের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেব। অল্প সময়ের মধ্যেই টার্মিনালের মাল্টিপারপাস টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু করতে চাই।
আরও পড়ুন: দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৩৩৫ দিন আগে