চট্টগ্রাম বন্দর
চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে ৩০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
আমদানি-রপ্তানিতে ৩০ শতাংশ শুল্ক (ট্যারিফ) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আন্তঃমন্ত্রণালয় ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই শুল্ক বাড়ানো হয়েছে বলে জানান নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. এম শাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে আন্তর্জাতিক অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হবে। এ নিয়ে প্রচারণা (প্রোপাগান্ডা) চালানোর কিছু নেই।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল-এনসিটিতে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘১৯৮৬ সালের পর এবারই প্রথম ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে। এতে রাজস্ব আয় বাড়বে, তবে আমদানি-রপ্তানিতে খরচ বাড়বে ব্যবসায়ীদের।’
নৌ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়াতে চায়। এ বন্দরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যেতে হলে বিদেশি অপারেটরকে পরিচালনার ভার দিতে হবে। এ নিয়ে প্রোপাগান্ডা না ছড়াতে সবাইকে পরামর্শ দেন তিনি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিদেশিদের হাতে বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে, বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ও নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে। গত ৭ জুলাই সাইপ পাওয়ার টেক থেকে নিয়ে বন্দরের এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব নৌবাহিনীকে দেওয়া হয়।’
এরপর নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার ২০০ একক কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর
১৬ বছর পর চলতি বছরে ৭ জুলাই থেকে এনসিটিতে পরিচালনা করছে নতুন অপারেটর চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড।
মূলত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বন্দরের অত্যাধুনিক নিউমুরিং টার্মিনালটি সুপার স্ট্রাকচার সমৃদ্ধ একটি আন্তর্জাতিকমানের এ টার্মিনালে এসেছে ব্যাপক অগ্রগতি।
তবে আগে যে প্রতিষ্ঠান এনসিটি পরিচালনা করেছে তারাও ভালোভাবে কাজ করেছে বলে জানান নৌ পরিবহন উপদেষ্টা।
চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এনসিটিতে জাহাজে কন্টেইনার উঠা নামা কার্যক্রম পরিদর্শন এবং এর অগ্রগতি বিষয়ে অবগত হন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে বর্তমান সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
নৌবাহিনী চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার রিয়াল অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, আগের অপারেটরের তুলনায় ড্রাইডক পরিচালিত এনসিটিতে ৭ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ১৭ দিনে বিশ ফুট সমতুল্য কন্টেইনার দৈনিক গড় হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ২৫০ টিইইউএস, যা পূর্ববর্তী মাসে একই সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
একই সময়ে মোট ৩০টি জাহাজের কনটেইনার লোডিং ও আনলোডিং সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। ১০ ঘণ্টা জাহাজের সময় কমিয়ে আনা হযেছে। বর্তমানে এনসিটির ২, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর জেটিতে একযোগে ৪টি জাহাজে পণ্য ওঠানামার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম ড্রাই ডকের এ কার্যকর ভূমিকা বন্দরের সার্বিক কর্মকাণ্ডে গতি এনেছে, যা দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারী ও ব্যবসায়ীরা।
১৩৩ দিন আগে
ড্রাইডক দায়িত্ব গ্রহণের পর চট্টগ্রাম বন্দরে দৈনিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে
চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেডের পরিচালনার প্রথম সাত দিনে (৭ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই) কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা গেছে।
প্রতিদিন গড়ে ২২৫ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেশি হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। রবিবার (১৩ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি টার্মিনালটি দীর্ঘদিন সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছিল। ৬ জুলাই তাদের সঙ্গে বন্দরের চুক্তি মেয়াদ শেষ হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৭ জুলাই থেকে এনসিটি টার্মিনালের দায়িত্ব গ্রহণ করে চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড।
আরও পড়ুন: ডলারের দাম কমেছে প্রায় ৩ টাকা
৭ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত ৭ দিনে চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড কর্তৃক ১০টি জাহাজের কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে এনসিটি’র ৪টি জেটিতে একযোগে ৪টি জাহাজে অপারেশন চলছে।
পূর্ববর্তী ৭ দিনে (১ থেকে ৬ জুলাই), সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার ৯৫৬ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। এর পরের ৭ দিনে (৭ থেকে ১৩ জুলাই) চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড কর্তৃক প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার ১৮১ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সম্পন্ন হয়েছে।
১৪৫ দিন আগে
চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর
চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) আজ সোমবার থেকে পরিচালনা করছে চট্টগ্রাম ড্রাইডক কর্তৃপক্ষ। রবিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে এনসিটি হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চুক্তি শেষ হওয়ায় ১৭ বছর পর এনসিটি ছেড়েছেন সাইফ পাওয়ার টেক। আজ সোমবার থেকে টার্মিনাল পরিচালনা শুরু করেছে নৌবাহিনীর মাধ্যমে ড্রাইডক। তবে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় সরাসরি নৌবাহিনীকে না দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ড্রাইডকের সঙ্গে এনসিটি পরিচালনার চুক্তি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত একটি সামরিক জাহাজ মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দরের সীমানার মধ্যেই এটির অবস্থান।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর ড্রাইডকের সঙ্গে এনসিটি পরিচালনার চুক্তির বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় অনুমোদন হয়েছে। সোমবার ড্রাইডকের সঙ্গে ছয় মাসের জন্য এনসিটি পরিচালনার চুক্তি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই দিন সাইফ পাওয়ার টেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে। আজ সোমবার থেকে নৌবাহিনীর মাধ্যমে এটি পরিচালনা করছে চিটাগাং ড্রাইডক।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টেকনিক্যাল কারণে নৌবাহিনী সরাসরি টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারেনি। তবে ড্রাইডকের মাধ্যমে তারা এটি পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালের দায়িত্ব নিচ্ছে ড্রাইডক
সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমীন গণমাধ্যমকে জানান, নৌবাহিনীকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন তারা। এনসিটি ছাড়লেও তাদের কার্যক্রম চুক্তি অনুযায়ী বহাল আছে সিসিটিতে।
চট্টগ্রাম বন্দরে চারটি কনটেইনার টার্মিনাল আছে। এগুলো হলো– চিটাগং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি), নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), জেনারেল কার্গো বার্থ (কনটেইনার ও বাল্ক-জিসিবি) এবং পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)। চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হ্যান্ডলিং হওয়া ৩২ লাখ টিইইউস কনটেইনারের মধ্যে ৪৪ শতাংশ এককভাবে পরিচালনা হয়েছে এনসিটি থেকেই।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সাল থেকে এনসিটি পরিচালনা করছিল সাইফ পাওয়ারটেক।
১৫২ দিন আগে
‘দেশীয় ব্যবস্থাপনায়ই’ থাকা উচিত চট্টগ্রাম বন্দর: জিওসি
চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর না করে দেশীয় সম্পদ ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার দাবি জানিয়েছে বামধারার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোট গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি (জিওসি)।
শনিবার (২১ জুন) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বিদেশি কোম্পানির কাছে চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়া কেন ঝুঁকিপূর্ণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান দেশীয় ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট কার্যকরভাবে কাজ করছে। তাই এর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারকে বিনিয়োগ করতে হবে এবং যন্ত্রপাতি আধুনিকায়নের মাধ্যমে কার্যক্রম আরও দক্ষ করা উচিত।’
আন্তর্জাতিক উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের মতো মডেল অনুসরণ করে বাংলাদেশ জাতীয় সক্ষমতা দিয়ে একটি প্রতিযোগিতামূলক বন্দর গড়ে তুলতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে দক্ষ জনবল থাকার পরও তা উপেক্ষিত হচ্ছে। এই জনবলকে আন্তর্জাতিক মানে দক্ষ করে গড়ে তোলা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের অঙ্গীকার
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে গেলে তা জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্তমান অবকাঠামো ব্যবহার করেই বাংলাদেশ সহজেই রপ্তানি চারগুণ বাড়াতে পারে।’
লেখক ও প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা বলেন, ‘বন্দরের বিভিন্ন সেবা প্রদানেও দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত।’
তিনি দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির সব শর্ত জনসমক্ষে প্রকাশের আহ্বান জানান। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক কর্মকর্তা জাফর আলম বন্দরের কার্যক্রমের ওপর একটি বিশদ উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
অন্যান্য বক্তার মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার ও মাহা মির্জা।
আলোচনা সভা শেষে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আগামী ২৮ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে লংমার্চ করার ঘোষণা দেয়।
১৬৭ দিন আগে
চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্ব মানের সমুদ্রবন্দরে রূপান্তরিত করার আশাবাদ প্রধান উপদেষ্টার
চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র বলে অভিহিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সমুদ্রবন্দরে রূপান্তরিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন শেষে নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি-৫) প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব উপেক্ষা করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন অধ্যায় শুরু করা সম্ভব নয়। এই বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার ওপর জোর দিতে হবে।’
বন্দর সেরা না হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও সেরা বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেন ড. ইউনূস।
দ্রুততার সঙ্গে বন্দরের সমস্যা সমাধানে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি জানান, বিশ্বের সেরা বন্দরের পরিচালনায় অভিজ্ঞ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছে সরকার।
বন্দরের সুবিধা বাড়লে বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবেন, এতে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাপকভাবে ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: সরকারপ্রধান হিসেবে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফরে ড. ইউনূস
২০৫ দিন আগে
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্দর ব্যবস্থাপনায় এমন অপারেটরদের সম্পৃক্ত করতে হবে, যেন আমাদের বন্দরগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।’
এছাড়া আমরা যে ইনভেস্টমেন্ট হাবের কথা বলছি—তা বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের বন্দরগুলোকে বিশ্বমানের করতে হবে বলেও জানান অধ্যাপক ইউনূস।
বৈঠকে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘দেশের নৌবন্দরগুলোর বর্তমান হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি বছরে ১ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ইউনিট, যা সঠিক পরিকল্পনা ও কর্মপন্থার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ৭ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ইউনিটে উন্নীত করা সম্ভব। এছাড়া বর্তমানে চালু থাকা চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বছরে ১ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ইউনিট ও মোংলা বন্দর শূন্য দশমিক ১ মিলিয়ন ইউনিট হ্যান্ডেলিং করতে সক্ষম। এগুলোর সক্ষমতা যথাক্রমে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ও শূন্য দশমিক ৬৩ মিলিয়নে উন্নীত করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের প্রস্তুতির পাশাপাশি শান্তির প্রতিও হাত বাড়াতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, লালদীয়া কনটেইনার টার্মিনাল, বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হয়ে গেলে পাঁচ মিলিয়নের বেশি ইউনিট হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি তৈরি হবে বাংলাদেশের। বিদেশি বিনিয়োগে লালদীয়া বন্দরের কাজ দ্রুত শেষ কারার ক্ষেত্রে সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ আগস্টের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দেন।’
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান।
২১৯ দিন আগে
চট্টগ্রামে এনসিটি বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার বিরোধী জামায়াত
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে না দিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর শাখা।
আরও পড়ুন: জামাতে নামাজ আদায়, ৩০০ শিশু-কিশোর পেল বাইসাইকেল
এ সময় সংগঠনের নগর শাখার আমির আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এর মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির ৯২ শতাংশ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।’
‘এনসিটি টার্মিনাল বর্তমানে বন্দরের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ের উৎস। এই স্বয়ংসম্পূর্ণ টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হলে তা হবে জাতীয় অর্থনীতির ওপর সরাসরি আঘাত।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রায় ২০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এনসিটি থেকে গত অর্থবছরে ১ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা আয় হয়েছে। বন্দরের মোট হ্যান্ডলিংয়ের ৫৫ শতাংশ হয় এই টার্মিনালে। এখানে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত আছেন, যাদের জীবিকার নিরাপত্তা এই টার্মিনালের সঙ্গে জড়িত।
এ সময় জামায়াত নেতার বলেন, ‘সাবেক সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এনসিটি টার্মিনাল বিদেশিদের কাছে হস্তান্তরের পেছনে সক্রিয় ছিলেন। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে, শেখ পরিবারের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মাওলানা সাদ কান্ধলভীর নিরাপদ আগমনের দাবি তাবলিগ জামাতের কিছু অনুসারীর
‘এছাড়া পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির কাছে তুলে দেওয়ার মতো চক্রান্তের পুনরাবৃত্তি এনসিটির ক্ষেত্রেও হচ্ছে। অথচ এনসিটি এখনও লাভজনক, প্রযুক্তিনির্ভর ও উন্নত একটি টার্মিনাল। নতুন কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই এটি পরিচালনা সম্ভব। বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতা নয়, বরং সেটি হওয়া উচিত নতুন প্রকল্প ও গ্রীনফিল্ডে— যেমন ইকোনমিক জোন ও বে-টার্মিনাল এলাকায়,’ বলেন তিনি।
এদিকে নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি ও সফলভাবে পরিচালিত এনসিটি টার্মিনাল কেনো বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হবে, সে প্রশ্ন তোলে জামায়াত। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
২২৯ দিন আগে
ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার টন চাল নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে
ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার ৭০০ টন চাল নিয়ে এমভি এমডি সি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
এতে বলা হয়েছে, ৩ ফেব্রুয়ারি সম্পাদিত জি টু জি চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-১) ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার ৭০০ টন আতপ চাল নিয়ে এমভি এমডি সি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
ভিয়েতনাম থেকে জি টু জি ভিত্তিতে মোট ১ লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে চুক্তি মোতাবেক ৬০ হাজার টন চাল দেশে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে।এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২৪২ দিন আগে
৫৩ বছর পর মোংলা বন্দরে আসছে পাকিস্তানের চাল
স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান থেকে চাল বহনকারী একটি জাহাজ ২৫ হাজার মেট্রিকটন চাল নিয়ে ভেড়বে মোংলা সমুদ্রবন্দরে। এটি প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দর এবং পরবর্তীতে মোংলা বন্দরে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর চাল আমদানির জন্য বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে জি-টু সই করা হয়। বাসমতি নামের চাল সরবরাহ করেছে পাকিস্তানি ট্রেডিং কর্পোরেশন। ২৫ হাজার মেট্রিকটন চাল নিয়ে করাচির পোর্ট কাসিম থেকে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। পাকিস্তানের দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সরকারি পর্যায়ে সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু করেছে। পাকিস্তান সরকার অনুমোদিত প্রথম কার্গো বন্দর কাসিম ছেড়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দর থেকে প্রথমবারের মতো পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। কারণ ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ পাকিস্তানের (টিসিপি) মাধ্যমে ৫০ হাজার টন চাল কিনতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। চুক্তিটি ফেব্রুয়ারির শুরুতে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
চালের চালানটি দুটি ধাপে সরবরাহ করা হবে। প্রথম ২৫ হাজার টনের চালানটি এখন বাংলাদেশে পৌঁছে যাচ্ছে। দ্বিতীয় চালানটি মার্চের শুরুতে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। এই বাণিজ্য চুক্তি দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সরাসরি জাহাজ চলাচল সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথমবারের মতো সরকারি পণ্য বহনকারী পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং কর্পোরেশনের (পিএনএসসি) একটি জাহাজ বাংলাদেশের একটি বন্দরে নোঙর করবে, যা সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই উন্নয়নকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কয়েক দশক ধরে সুপ্ত থাকা বাণিজ্য চ্যানেলগুলো পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রকের খুলনা কার্যালয়ের উপ-নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রোজিত সরকার জানান, চালের সংকট মেটাতে পাকিস্তান থেকে চাল আসছে। তার আগে মিয়ানমারের চাল পৌঁছাবে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের হলদিয়া স্থলবন্দর থেকে ১১ হাজার মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল মোংলা বন্দরে ভেড়ে। পাকিস্তান থেকে আসা চাল প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দরে এবং পরবর্তীতে ৪০ শতাংশ মোংলা বন্দরে খালাস হবে।
খুলনা জেলা সহকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) তৈয়েবুর রহমান জানান, বয়রা ও মহেশ্বরপাশা কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদামে ৪৭ হাজার মেট্রিকটন চাল মজুদ আছে। উল্লিখিত দুই গুদামের ধারণক্ষমতা এক লাখ মেট্রিকটন। মজুদ করা চালের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয়।
২৭৮ দিন আগে
পণ্যবোঝাই জাহাজকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগের নির্দেশ
রমজান মাসে নিত্যপণ্যের সাপ্লাই চেইন ও বাজারে মূল্য ঠিক রাখতে পণ্যবোঝাই লাইটার জাহাজ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দর সীমা ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে মাদার ভেসেল হতে লাইটার জাহাজে পণ্যবোঝাই করার পর লাইটার জাহাজসমূহ যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই পোর্ট লিমিটের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দিনের পর দিন অবস্থান করছে। যা পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় এবং সাধারণ জনগণের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। একই সঙ্গে বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ভোক্তাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এভাবে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধির অপচেষ্টা রাষ্ট্র এবং জনস্বার্থ বিরোধী।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা থেকে গম এলো চট্টগ্রাম বন্দরে
তিনি আরও বলেন, সীমিত এলাকায় এত অধিক সংখ্যক লাইটারের অবস্থানের কারণে নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সাপ্লাই চেইনও বিঘ্নিত হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজের নিরবচ্ছিন্ন চলাচলের জন্য পোর্ট লিমিট সবসময় প্রতিবন্ধকতা মুক্ত রাখা জরুরি।
লাইটার জাহাজগুলোর বন্দর সীমানায় এরূপ অনিরাপদ অবস্থান চট্টগ্রাম বন্দর আইন এবং আইএসপিএস কোডের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বন্দর চেয়ারম্যান জানান, পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব পণ্যের সাপ্লাই চেইন নিরবিচ্ছিন্ন রাখা, বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ নৌ চলাচলের স্বার্থে মালামাল লোড করার পর লাইটার জাহাজগুলোকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে পোর্ট লিমিট ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায়, চট্টগ্রাম বন্দর আইন এবং আইএসপিএস কোড অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৮১ দিন আগে