চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘গতবার ঢাকার সাথে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও মেয়াদ শেষ না হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পিছিয়েছে। মার্চে এ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হবে ৩০ জানুয়ারি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের সিইসি বলেন, ‘ভোটার হওয়ার জন্য জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক। এটা মূলত ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা ওয়ার্ড কার্যালয় থেকে নিতে হয়। অনেকে রোহিঙ্গা হওয়া সত্ত্বেও এ সনদ পেয়েছেন। এ কাজে কিছু জনপ্রতিনিধি জড়িত। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে রোহিঙ্গাদের সনদ দিয়েছেন।’
রোহিঙ্গাদের ভোটার করা নির্বাচন কমিশনের কর্মীদের সম্পর্কে তিনি জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া। তারা ইসির ল্যাপটপসহ অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করে এ জালিয়াতি করেছেন। ‘এ ছাড়া ইসির কিছু কর্মচারী এ কাজে জড়িত। তবে যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেগুলো এখনো প্রমাণিত হয়নি।’
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নূরুল হুদা বলেন, ‘এতে নির্বাচন হলে সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন ভোটাররা। ইতিমধ্যে যেসব জায়গায় ইভিএমে ভোট হয়েছে সেখান থেকে এ ফলাফল পাওয়া গেছে। ইভিএমের ওপর সবার আস্থা আছে। এ জন্য এখন থেকে এ পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।’
আসন্ন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে দাবি করে সিইসি বলেন, ‘আশা করি সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন আমরা উপহার দিতে পারব।’