ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় মারাত্মক আহত হওয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্র মাহাদি জে আকিব সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৩০ অক্টোবর আহত হওয়ার পর থেকে আকিব ১৯ দিন ধরে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। পরে স্বজনরা তাকে কুমিল্লার বুড়িচং থানার গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে যান।
কুমিল্লার বুড়িচং এলাকার গোলাম ফারুক মজুমদারের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট মাহাদি জে আকিব (২১) চমেক এর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ‘হাড় নেই চাপ দিবেন না’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আকিবকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। সে এখন অনেকটা ভালো হয়ে গেছে, বিকেলে তার বাবার ও ভাইয়ের সাথে বাড়ি চলে গেছে। তিনি বলেন, সুস্থ হলেও এক-দেড় মাস পরে আরেকটা ছোট অপারেশন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর শনিবার সকালে চমেক হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষকালে প্রতিপক্ষ গ্রুপের হাতে আহত হন চমেক ছাত্র আকিবসহ ৩ জন। এর মধ্যে আকিবের আঘাত ছিল মারাত্মক। ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করার কারণে তার মাথার হাড় ভেঙ্গে গুড়ো হয়ে যায়। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আকিবকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় ব্যান্ডেজে লেখা ‘হাঁড় নেই, চাপ দেবেন না’ এমন একটি ছবি প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে তার অপারেশন করা হয়।
আরও পড়ুন: চমেকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টা মামলা
চিকিৎসকরা জানান, আকিবের মাথায় আঘাত বেশি হওয়ায় আর্টিফিশিয়াল ডুরামেটার দিয়ে ব্রেইনের পর্দা তৈরি করেছেন চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, চমেক ছাত্রলীগের দীর্ঘদিনের বিবাদমান দুটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সাবেক মেয়র নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। আকিব শিক্ষা উপমন্ত্রীর পক্ষের অনুসারী।
সংঘর্ষের পর বিবাদমান দুই পক্ষ পরষ্পরের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ: চমেক বন্ধ, হল ছাড়ার নির্দেশ