কুমিল্লার মুরাদনগরে এক কিশোরকে গাছের খুঁটির সাথে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠেছে।
নির্যাতনের শিকার সোহাগ (১৫) উপজেলার দক্ষিণ নোয়াগাঁও গ্রামের মুন্সী বাড়ির আল-আমীনের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আশিক, মতিন মোল্লার ছেলে রুবেল ও আছমত আলীর ছেলে কামাল।
আরও পড়ুন: চুরির অভিযোগে কুষ্টিয়ায় শিশু নির্যাতন
স্থানীয়রা জানায়, গত বুধবার রাতে নোয়াগাঁও গ্রামে কামারচর মোড় এলাকায় সজিবের দোকান থেকে একটি মোবাইল ফোন ও নগদ কিছু টাকা চুরি হয়। এই চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোহাগকে বুধবার সকাল ৬টায় আশিক, রুবেল ও কামালের নেতৃত্বে একদল যুবক মুকবল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। সোহাগকে সেখানে গাছের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চলায়। পরে একই এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে নজরুলের(১৫) কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে। নির্যাতনে ঘটনা কাউকে না বলা ও কিছুদিন গ্রাম ছেড়ে বাইরে থাকার হুমকি দিয়ে সোহাগকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সোহাগের বাবা আল-আমীন বলেন, আমি একজন প্রতিবন্ধী। ভিক্ষা করে সংসার চালাই। আমি গরিব বলেই আজ আমার ছেলে চুরি না করেও চোর হতে হয়েছে। আমার ছেলেকে আশিক, রুবেল, মুকবল, হোসেন, হান্নান, কামালসহ আরও অনেকে বেঁধে রেখে সারাদিন মারধর করেছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নির্যাতন: কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি, আরডিসির বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড
নির্যাতনের বিষয় অস্বীকার করে অভিযুক্ত মুকবল হোসেন বলেন, যার দোকানে চুরি হয়েছে তারাই সোহাগকে আটক করেছে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবহিত নই। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ভোলায় সাংবাদিক নির্যাতন, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার