নির্যাতন
গণতন্ত্র, নির্যাতনের শিকারদের পুনর্বাসনে সহায়তায় আগ্রহী ডেনমার্ক
বাংলাদেশে সুশাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বিনির্মাণের পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে ডেনমার্কের সহযোগিতা বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতাকে ব্যাপক বলেও স্বীকার করেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে তার নতুন কার্যভারের জন্য অভিনন্দন জানান। এসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেনের মূল অভিনন্দন বার্তা হস্তান্তর করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করা হবে: ফখরুল
উপদেষ্টা আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় সংস্কারসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকারগুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ডেনমার্কের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্য দেয় এবং গুরুত্ব দেয়।
উপদেষ্টা বিশেষ করে তরুণদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা উল্লেখ করেন, যার ফলে রাজনৈতিক ও নির্বাচনি ব্যবস্থা এবং অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রয়োজন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে ডেনমার্কের সম্পৃক্ততার অগ্রাধিকার বিশেষ করে সবুজ রূপান্তরের বিষয়ে বিস্তারিত জানান এবং ডেনমার্কের দুটি অগ্রাধিকার প্রকল্প- এপিএম টার্মিনাল কোম্পানির মাধ্যমে চট্টগ্রামের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা এবং ৫০০ মেগাওয়াট অফশোর বায়ু শক্তি উৎপাদনের বিষয়ে উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
উপদেষ্টা বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য ডেনমার্কের কোম্পানিগুলোর ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে স্বাগত জানান।
উভয় পক্ষই ২০২৫-২০২৬ সালের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের ডেনমার্কের অস্থায়ী সদস্যপদ লাভের জন্য বহুপক্ষীয় ফোরামে আরও বেশি করে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে ততদিন সমর্থন করবে বিএনপি
দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলেই শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন: জয়
৩ মাস আগে
সালিশে নারী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, ২ ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
চুরির অপবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে শারমীন আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতনের অভিযোগে দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় শারমীন শনিবার রাতেই চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং রবিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইসহাক মোল্লা ও একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন: যশোরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
মামলার সূত্রে জানা যায়, মোবাইল চুরির অপবাদে বৃহস্পতিবার অভিযুক্তরা শারমীন আক্তারকে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামের হুমায়ুনের বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে উপস্থিত হওয়ার পরই শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। এসময় ইসহাক মোল্লা তার নাক, মুখ ও চোখে গামছা বেঁধে শরীরের বিভিন্ন অংশে গরম পানি ঢেলে দেন। লাঠি দিয়ে হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে জখম করেন।
শারমীন আক্তার বলেন, ‘ইউপি সদস্য ইসহাক মোল্লা ও সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেন প্রায় সময়ই কুপ্রস্তাব দিতেন। চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার জন্য বলতেন। তাদের সঙ্গে দেখা না করায় চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। মামলা করার পর হুমকি দিচ্ছেন তারা। আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।’
বিজয়নগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জামিল খান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে বিষ্ণুপুরের এক চৌকিদারের স্ত্রীকে চুরির অপবাদ দেওয়া হয়। পরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়ার নির্দেশে বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন ওই নারীকে ব্যাপক মারধর করে। চৌকিদারের স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতনের ভিডিও শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিও ফুটেজ দেখে সাবেক ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।’
অভিযুক্ত বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইসহাক মোল্লা বলেন, ‘একটি বাড়িতে স্বর্ণালংকার চুরি হয়। এই ঘটনায় সালিসি সভা হয়। সালিসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই নারীকে মারধর করা হয়েছে।’
অভিযুক্ত বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়ার ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি এই বিষয়ে বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় ৯ হাজার ৮০০ ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
সিলেটে পৃথক অভিযানে ৭৯৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ৪
৫ মাস আগে
যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে
ফরিদপুরে বিয়ে বহির্ভূত প্রেমে বাধা দেওয়ায় এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
পরে গুরুতর আহত ওই যুবককে পুলিশ উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ১২ জুন রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বড় মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার খাঁনের ছেলে দেলোয়ার খাঁনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদ, শাহীনসহ তার সহযোগীরা।
দেলোয়ারকে নিয়ে যাওয়া হয় মাজেদ মল্লিকের বাড়িতে। সেখানে নিয়ে গাছের সঙ্গে দেলোয়ারকে বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ৩ শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা
পরে দেলোয়ারের পরিবারের সদস্যরা ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করে।
দেলোয়ার খাঁন বলেন, সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে শাহিন নামের এক যুবকের পরোকীয়ার সম্পর্কের কথা জেনে প্রতিবাদ করি। এরই জের ধরে আমার বাড়িতে এসে হাজির হয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদ, শাহিনসহ তাদের সহযোগীরা।
তিনি আরও বলেন, বাইরে থেকে আমাকে ডাকতে থাকে ও দরজা খুলতে বলে। আমি বলি সকালে শুনব। একপর্যায়ে আমি দরজা খুললে মেম্বারসহ সবাই আমাকে জোর করে ধরে নিয়ে যায় মাজেদ মল্লিকের বাড়িতে।
তিনি বলেন, এরপর ওই বাড়ির একটি গাছের সঙ্গে আমাকে বেঁধে বেদম মারধর করে। আমার দুই পা ও বাম হাত ভেঙে ফেলা হয়, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানেও আঘাত করা হয়েছে।
পরে পরিবারের সদস্যরা ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানান দেলোয়ার খাঁন।
দেলোয়ার খাঁন আরও বরেন, এ ঘটনায় শুক্রবার ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
দেলোয়ার খাঁনের স্ত্রী মিরা আক্তার বলেন, মেম্বার আবেদ রাতে যখন আমার স্বামীকে ডাকতে আসে তখন আমরা বাধা দিলে আমার ও বাড়িতে থাকা নারদের উপর হামলা চালায়। এসময় আমাদের বসতবাড়িতেও হামলা চালায় তারা। পরে আমার স্বামীকে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করে। আমরা হাসপাতালে থাকায় রাতে বাড়ির মোটর খুলে নিয়ে গেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
আরও পড়ুন: বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নারীকে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৪
এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম বাশারুল আলম বাদশা বলেন, দেলোয়ারের চুরি করার অভ্যাস আছে। দীর্ঘদিন সে স্থানীয়দের মালামাল চুরি করে।
তিনি আরও বলেন, সে একজন চোর। ঘটনার রাতেও সে চুরি করতে গিয়ে ধরা পরে এলাকাবাসীর হাতে, এরপর তাকে মারধর করে স্থানীয়রা।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. হুমায়ূন কবীরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছুটিতে আছেন জানিয়ে উপপরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
উপপরিচালক ডা. দীপক কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শৈলেন চাকমা বলেন, এঘটনায় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন দেলোয়ার খাঁন।
তিনি আরও বলেন, মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রেমিক যুগলকে নির্যাতন: ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
৬ মাস আগে
বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নারীকে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৪
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে উল্টো করে বেঁধে ছকিনা বেগম নামে এক নারীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার রাখালবুরুজ পচাঁরিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলী, একই গ্রামের চামেলী বেগম ও আব্দুল ছাত্তার এবং ছকিনা বেগমের প্রাক্তন স্বামী মোনারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় তিন ছাত্রলীগকর্মীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি
ভুক্তভোগী ছকিনা বেগম জানান, ওই গ্রামের শাহজাহান আলী, চামেলী বেগম, আব্দুল ছাত্তার, হারুন মিয়া, আইনুল ইসলাম ও দেলবর রহমানসহ ছয়জন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে বাড়ির পাশে বৈদ্যুতিক খুটির সঙ্গে উল্টো করে দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন এবং মাথার চুল কেটে দেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিত ছকিনাকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরে এ ঘটনায় মামলা করেন ছকিনা বেগম।
গ্রেপ্তার হওয়া চামেলী বেগম বলেন, ছকিনা সম্পর্কে আমার জা হয়। সে ঘরের ভেতরে প্রাক্তন স্বামীকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে নির্যাতন করে এবং মাথার চুল কেটে দেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: প্রেমিক যুগলকে নির্যাতন: ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
কুমিল্লায় ৩ শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা
৭ মাস আগে
প্রেমিক যুগলকে নির্যাতন: ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
চুয়াডাঙ্গায় বিয়ে বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগ তুলে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও এক পুরুষকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আলমডাঙ্গার খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লালের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা-১ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে এবং রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব আনিসুজ্জামান ওই আদেশে সই করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাতকড়াসহ ২ আসামির পলায়ন, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা খাসকররা ইউনিয়নের তিওরবিলা গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের অভিযোগ তুলে তাদের গলায় জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন করেন চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা আদালতে গৃহীত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান মল্লিককে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা ১ এ সংক্রান্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যেহেতু খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা আলমডাঙ্গা থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে। চুয়াডাঙার আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই মামলা আমলে নিয়েছেণ। একারণে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯- এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছেন জেলা প্রশাসক। ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতার অপ্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় বলে আদেশে বলা হয়েছে।
তাই চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসীর আহমেদ মল্লিক লাল যে অপরাধ করেছেন, তা ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী। এ বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ ও উন্নয়ন) শারমিন আক্তার বলেছেন, খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর জন্যও বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় কারণ দর্শানোর পর সন্তুষ্ট না হলে স্থায়ী বহিষ্কারও করতে পারেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
ফেনীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: দুই গেটম্যান বরখাস্ত
৭ মাস আগে
লালমনিরহাটে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে স্বামীর নির্যাতনে তাহমিনা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গৃহবধূ তাহমিনা কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের নিথক শিয়ালখোওয়া এলাকার তাহের আলীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগে সহকারী শিক্ষক বরখাস্ত
তাহমিনার স্বামী আলমগীর হোসেনে একই উপজেলার মহিশামুড়ি (মাস্টার মোড়) এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, তাহমিনা আলমগীরের তৃতীয় স্ত্রী। তাহমিনা তার বাবার বাড়িতে থাকায় আলমগীর শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আলমগীর গাছের ডাল দিয়ে তাহমিনাকে আঘাত করেন। এ সময় তার মাথা ফেটে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করেন। মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তখন থেকে আলমগীর হোসেন পলাতক রয়েছে।
কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাইকে ৭ মার্চের ভাষণ বন্ধ, কটূক্তির অভিযোগে শিক্ষক আটক
খুলনায় তরুণীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৯ মাস আগে
স্ত্রীকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগ, স্বামী আটক
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় স্বামীকে জমি লিখে না দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মছের সরকারকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যশোরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ফাগুয়ারদিয়াড় ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পপি খাতুন বলেন, ‘পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমি লিখে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন থেকে চাপ দিচ্ছিলেন আমার স্বামী। এ নিয়ে সোমবার দুপুরে কথা কাটাকাটি হলে মছের আমার হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার পর ব্লেড দিয়ে আমার মাথা ন্যাড়া করে দেন।’
খবর পেয়ে পপির পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পরিবার।
বাগাতিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা হয়েছে। মামলা নথিভুক্তির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের ৪ দিনের মাথায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
বগুড়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ
৯ মাস আগে
ইবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে আবারও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী
কুষ্টিয়ায় বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মার্কেটিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী আবু জাহেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে জাহেদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রতন রায় ও রিহাব রেদোয়ানের।
তারা ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সমর্থক।
এ নিয়ে একপর্যায়ে তারা তাকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বসে থাকা অবস্থায় রতন ও রিহাব তাকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: অতিথি পাখির কলরবে মুখর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে রিহাব রেদোয়ান বলেন, এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ছাত্রলীগ কারো দায় নেয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের এক নবীনকে নির্যাতন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সমর্থক শারীরিক শিক্ষা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুদাসসির খান কাফি ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাগরের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী তাকে লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে য়ে নির্যাতন করে।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭৪৫ আসন খালি
৯ মাস আগে
লালমনিরহাটে চুরির অপবাদে নির্যাতন করায় যুবকের আত্নহত্যা
লালমনিরহাট কালীগঞ্জে মোটরসাইকেল চুরির অপবাদে নির্যাতনের শিকার হওয়ায় অভিমানে বিষপানে নুর আলম নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের কাঞ্চনশ্বর দুল্লার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুর আলম ওই এলাকার মৃত নওশের আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সেলুনের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির পাশে দুল্লারবাজারে একটি মোটরসাইকেল দেখতে পান। সেখানে কাউকে না পেয়ে গাড়িটি তার বাড়ির সামনে এনে রাখেন।
আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস দিয়ে রাজশাহীতে তরুণীর ‘আত্নহত্যা’
পরে রবিবার সকালে মোটরসাইকেলের মালিক আসাদুল মোটরসাইকেল রক্ষা করার জন্য তাকে মিষ্টি খেতে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল নেয়। মোটরসাইকেল পাওয়ার পর নুর আলমকে কৌশলে দুল্লারবাজার ক্লিনিকের সামনে নিয়ে মোটরসাইকেল চুরির অপবাদে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এসময় আসাদুলের পিতা আজিজুল, চাচা নাজুল্লা কিল-ঘুষিসহ বুকের উপর উঠে মারধর করেন। একপর্যায়ে অভিমানে ওই যুবক বাজার থেকে বিষ নিয়ে বাড়িতে এসে সবার অজান্তে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।
নিহত যুবকের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী রাতে মোটরসাইকেল বাজারে পেয়ে বাড়ির সামনে এনে রেখেছিল। সে মোটরসাইকেল চালাতেও পারে না। রবিবার সকালে তাকে টাকার লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে চুরির অপবাদে মারধর করে। সেই অভিমানে আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবীর বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আমাদের পুলিশ সেখানে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ শুনে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নানা-নানীর নির্যাতন সইতে না পেরে নাতনীর আত্নহত্যা!
নানা-নানীর নির্যাতন সইতে না পেরে নাতনীর আত্নহত্যা!
৯ মাস আগে
ভাইকে হাত পা বেঁধে নির্যাতন, মায়ের অভিযোগে তিন ভাই আটক
বগুড়ার শিবগঞ্জে বসতবাড়ির জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইকে আম গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বড় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার তেঘরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের মা জামিলা বেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- নির্যাতনের শিকার মিলন, ওই এলাকার জাহিদুল ইসলাম ও মিনহাজুল ইসলাম। তারা তেঘরী এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার তেঘরী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের মৃত্যুর পর থেকে বসত বাড়ির ২৭ শতক জায়গা নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধের জেরে সোমবার সকালে ছোট ভাই মিলন বাঁশের বেড়া দিয়ে তার সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে অপর সহদর ভাই জাহিদুল ইসলাম ও মিনহাজুল ইসলাম তাকে বাধা প্রদান করে ও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে হাতাহাতির একপর্যায়ে ছোট ভাই মিলনকে আম গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মা জামিলা বেওয়া ছেলের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মা জামিলা বেওয়া বলেন, বাড়ির পার্শ্বে ফাঁকা জায়গায় মিলন বেড়া দিতে গেলে আমার বড় দুই ছেলে তাকে বাধা দিয়ে ও ছোট ছেলেকে আম গাছের সঙ্গে হাত পা বেঁধে রেখে নির্যাতন করে।
এ ব্যাপারে বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছোট ভাই মিলন একজন মাদক সেবনকারী। সে যেকোনো সময় মারধরসহ খুন জখমের ঘটনা ঘটাতে পারে। সেজন্য তাকে আম গাছের সঙ্গে হাত, পা বেঁধে রাখা হয়েছিল।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল থেকে তিন ভাইকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: কেরানীগঞ্জে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
১০ মাস আগে