চুরি
‘কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়’ চুরির অপবাদ দিয়ে গৃহবধূকে মারধর
পটুয়াখালীর দুমকিতে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে এক গৃহবধূ ও তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী দম্পতি।
রবিবার (২২ মার্চ) রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
জিয়াউর রহমান আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রূপাসিয়া গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চুরির অপবাদ দিয়ে ওই দম্পতিকে মারধর করেন জিয়াউর রহমান, তার বউ ও ছেলেমেয়েরা। এর আগেও মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে ওই গৃহবধূর পরিবারের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জিয়াউরের একটি অডিও কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে অভিযোগকারী গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিতে শোনা যায় জিয়াউর রহমানকে।
ওই গৃহবধূ বলেন, ‘বেশকিছু দিন আগে জিয়াউর রহমান ফোন করে আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। আর তার সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বর্তমানে একটি মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে আর আমার স্বামীকে মারধর করেন।’
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, ‘এই জিয়াউর রহমান খারাপ চরিত্রের লোক। বেশকিছু দিন আগে তার খারাপ চরিত্রের কারণে অন্য একটা সংসার ভাঙ্গে। এছাড়া দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে সে। মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে আমাদের মারধর করা হয়েছে। আমার এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাই।’
তবে জিয়াউর রহমানের দাবি, ‘চুরির কারণেই তাদের মারধর করা হয়েছে।’ ভুক্তভোগী গৃহবধূকে কল দিয়ে কুপ্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওটা তো প্রায় ছয় মাস আগের কথা। ওরা খারাপ বলেই এখন সেই রেকর্ড ভাইরাল করছে।’
পটুয়াখালী জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান মিলন বলেন, ‘ব্যক্তির কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। তাই এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘চুরির অপবাদ দিয়ে নাকি মারধর করা হয়েছে এবং সে বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাবের বিষয়ে কিছু জানা নেই।
ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দিলে তা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
চুরির অভিযোগে ২ যুবকের হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, দোকান মালিক আটক
বরিশালের বাবুগঞ্জে দোকান থেকে লোহার পাত চুরির অভিযোগে দুই যুবককে হাত-পা বেঁধে প্রকাশ্যে নির্যাতনের ঘটনা ঘটনায় অভিযুক্ত এক দোকানের মালিককে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— বাবুগঞ্জ উপজেলার দোয়ারিকা গ্রামের চান মুন্সির ছেলে মিঠুন (২০) ও একই গ্রামের বাবুল বেপারীর ছেলে লিংকন (২৩)। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটক হওয়া মো. হাসান রহমতপুর ব্রিজ এলাকার সেবা ইঞ্জিনিয়ারিং নামের দোকানের মালিক ও দোয়ারিকা গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দিবাগত রাতে রহমতপুর ব্রিজের উত্তর পাশের ঢালে সেবা ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি দোকান থেকে বেশ কিছু লোহার পাত চুরি হয়। আজ (রবিবার) সকালে দোকান মালিক হাসান খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, পাশের ভাঙারি ব্যবসায়ী সাইদুল চোরাই লোহার পাত কিনেছেন। পরে সাইদুলের স্বীকারক্তি অনুযায়ী মিঠুন ও লিংকনকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করেন দোকান মালিক হাসান ও স্থানীয় কিছু লোকজন।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবককে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে হাত-পা বেঁধে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। এরপর পেছনে ঘুরে ঘুরে তার পায়ে লোহার রড দিয়ে পেটাচ্ছেন এ ব্যক্তি (হাসান)। অপর যুবককে মারধর করে পাশেই একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। স্থানীয় আরও কয়েকজন লোক দুই যুবককে মারধরে সহযোগিতা করছে। উৎসুক জনতা চারপাশে দাঁড়িয়ে তা দেখছে।
ভিডিওর ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে আজ (রবিবার) বিকালে অভিযুক্ত দোকান মালিক হাসানকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাবার বিরুদ্ধে চুরির অপবাদের প্রতিবাদ করায় কিশোরীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
এ প্রসঙ্গে মো. হাসান বলেন, ‘আমার দোকানের মালামাল চুরি করে পাশের ভাঙারি দোকানে ৪-৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। ভাঙারি দোকান মালিক ও অভিযুক্ত দুই যুবকও চুরির কথা স্বীকার করেছে।’
সেক্ষেত্রে পুলিশে না দিয়ে কেন আইন হাতে তুলে নেওয়া হলো? এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন শিকদার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই যুবককে ছেড়ে দেয় তারা। চুরি করা যেমন অপরাধ, চোর ধরে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া আরেকটি অপরাধ।’
‘এ কারণে দোকান মালিক হাসানকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
৭ দিন আগে
অবশেষে গাজীপুর থেকে উদ্ধার হলো চুরি হওয়া শিশু, গ্রেপ্তার ৪
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে চুরি যাওয়া আড়াই মাস বয়সি সায়ামকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) জেলা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনায় গাজীপুর বড়বাড়ি নুরলতলা গোবিন্দগঞ্জ এলাকার সামসুদ্দিন ও তার মেয়ে সোনালী আক্তারসহ (২০) ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, শ্বাসকষ্ট নিয়ে রবিবার (৯ মার্চ) শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করান তার বাবা-মা। সারাদিন শিশুটির পরিবারের কাছে অপরিচিত সোনালী আক্তার নামে ওই নারী পাশে থেকে শিশুটির যত্ন নেয় ও সহযোগিতা করে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি, শহরে উত্তেজনা
সোমবার সন্ধ্যায় শিশুটির মা হাসি ও নানি পাশের ওয়ার্ডে অন্য এক রোগীকে দেখতে গেলে ওই নারী শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটির বাবা সদর উপজেলার মুজাবর্নি গ্রামের মো. শিমুল ইসলাম সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুর রহমান বলেন, ‘সোনালী শিশুটিকে নিয়ে গাজীপুরে গেছেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাই। এর পর গাজীপুর র্যাব-১ এর সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় এবং রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
১১ দিন আগে
রিজার্ভ চুরির ঘটনা পর্যালোচনায় আইন উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা সংক্রান্ত বিষয় পর্যালোচনা করতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে সভাপতি করে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি করেছে সরকার।
বুধবার (১২ মার্চ) ছয় সদস্যের এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কমিটিতে তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক আলী আশফাক এবং রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদাকে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে।
কমিটিকে ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তকাজের অগ্রগতি ও এ সংক্রান্ত গৃহীত সরকারি অন্যান্য পদক্ষেপ পর্যালোচনা, এ ঘটনার দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার বাড়ায় রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণ ব্যয়বহুল হচ্ছে
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কমিটি প্রয়োজন অনুসারে সভা করতে পারবে।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।
১১ দিন আগে
বাবার বিরুদ্ধে চুরির অপবাদের প্রতিবাদ করায় কিশোরীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
কুড়িগ্রামে বাবার বিরুদ্ধে চুরির অপবাদের প্রতিবাদ করায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে টানা ৬ ঘণ্টা গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের কিতাবখা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাজারহাট থানা পুলিশের সদস্যরা বেলা ৩টার দিকে সেখানে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় কিশোরীকে ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, অপবাদের প্রতিবাদ ও দাদির সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ায় দাদা আব্দুল কাদের কয়েকজনের সহায়তায় সকাল ৯টার দিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ ও মারধর করে হাঁটু, গলায়, পিঠে জখম করে।
ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় বাসিন্দা খন্দকার আরিফ বলেন, ‘তিনি গিয়ে ওই কিশোরীকে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। তার উপস্থিতিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় জড়িতদের নামও জানিয়েছে ওই ভুক্তভোগী কিশোরী।’
স্থানীরা জানান, ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর ছোটবোন বেশ কিছুদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিল। তার দাদি নাতনির চিকিৎসার খরচের জন্য ওই কিশোরীর বাবাকে একটি গরু দেন। পরে ওই কিশোরীর দুঃসম্পর্কের দাদা আব্দুল কাদের (সাবেক মেম্বর) ওই কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ আনেন ও চৌকিদার পাঠিয়ে হুমকি দেন। বাবাকে দেওয়া অপবাদের প্রতিবাদ করলে আব্দুল কাদেরের উঠানেই কিশোরীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে সাবেক ওই মেম্বর।
রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তছলিম উদ্দিন বলেন, ‘ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবার থানায় এসেছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া মাত্র আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৩২ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে পরিত্যক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব চুরির পর ভেঙে নিচ্ছে দেয়ালও
গাছ, বৈদ্যুতিক তার, মাটির নিচের এইচটি ক্যাবল, কাঠের দরজা জানালা, টিন, অফিস ঘর একে একে সব চুরি করে খাওয়া শেষ হয়েছে। এখন ধরেছে নিরাপত্তা দেয়ালে। তারপরও কর্তৃপক্ষের নেই কোনো খবর। একের পর এক সরকারি সম্পত্তি প্রকাশ্যে দিনের বেলাতেই লোপাট হলেও দেখার কেউ নেই।
এমনটি ঘটছে শহর থেকে ৬ কিলোমিটার পশ্চিমে ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশনের পাশে বন্ধ ঘোষিত পরিত্যক্ত ডিজেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বেসরকারি আর জেড পাওয়ার লিমিটেডের স্থাপনায়। প্রায় একযুগ আগে খুচরা যন্ত্রাংশের অভাবে এবং জ্বালানি তেল ‘লাইট ডিজেল অয়েল’ সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যায় উত্তরাঞ্চলের সর্বপ্রথম এবং বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র ঠাকুরগাঁও ডিজেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি। বন্ধ ঘোষণার পর এর ৭টি জেনারেটর, ২টি ১১/৩৩ কেভি ট্রান্সফরমার, ২টি ১১/৪ কেভি ট্রান্সফরমার, অসংখ্য যন্ত্রপাতি, অব্যবহৃত তেল নিলামের নামে সামান্য দামে হরিলুট হয়ে যায়।
এরপরেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যাবতীয় স্থাপনা, গাছ এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন মালামাল হস্তান্তর করা হয় ‘নেসকো লিমিটেড’ কর্তৃপক্ষের হাতে। প্রায় একই সময় বন্ধ হয় বেসরকারি মালিকানায় স্থাপিত কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ‘আর জেড পাওয়ার লিমিটেড’।
আরও পড়ুন: চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে ড্রোন হামলা, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
চুক্তি মোতাবেক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এর জেনারেটর, এইচটি ক্যাবল, সকল ট্রান্সফরমারসহ মূল্যবান মালামাল আর জেড কর্তৃপক্ষ নিয়ে যায়। এর ভূমি এবং সিকিউরিটি ক্যাম্প, ওয়ালসহ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এরপরই শুরু হয় লুটপাটের রাজত্ব। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশের ভাসমান বস্তিবাসীদের কেউ কেউ প্রকাশ্য দিবালোকে গাছ কেটে নেওয়া, মাটি খুড়ে এইট টি ক্যাবল তুলে নেওয়া, টিন ও দরজা জানালা ভেঙ্গে নেওয়ার পর অবশিষ্ট স্থাপনার ইট খুলে বিক্রি করা শুরু করে। এগুলো শেষ হওয়ার পর এখন এই চক্রটি নিরাপত্তা দেয়াল ভেঙ্গে নেওয়া শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে বাশের বস্তির বাসিন্দা মিন্টু বলেন ‘এই বস্তির সবাই তো আর এ কাজ করে না। মাত্র দু তিনজন মানুষ এসব চুরির সঙ্গে যুক্ত। পিডিবির লোক, পুলিশ কিছু বলে না বলেই এখন তারা দিনের বেলাতেই ইট খুলে বিক্রি করার সাহস দেখাচ্ছে। আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারিনা।’
স্থানীয়রা জানান, ‘সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে চলে মাদকের কেনা বেচা আর সেবন। আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারিনা।’ অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ২৪.৩ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘সেখানে আনসার পাহারাদার থাকার কথা। সবসময় সবকিছু দেখে রাখাও সম্ভব নয়।’
৩৩ দিন আগে
ধানমণ্ডি ৩২: সরঞ্জাম লুটতে ব্যস্ত অনেকে, কেউ করছে চুরি
শেখ মুজিবুর রহমানে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে গতকাল (বুধবার) রাতে শুরু হওয়া ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ কর্মকাণ্ড এখনও চলছে। তবে বৃহস্পতিবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লুটপাট।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভিড় একটুও কমেনি বরং বেড়েছে। এর মধ্যেই কেউ কেউ ইট, লোহার জিনিসপত্র খুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
এমনই একজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো খুলছি ভাঙারির দোকানে বিক্রি করব বলে।’
এ সময় ইট হাতে চলে যেতে দেখা যায় অনেককে। ইট সংগ্রহ করতে ভাঙনের কাজে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। আরও দেখা যায়, একটি পোড়া গাড়ি ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছে কিছু মানুষ।
আগুনে দেওয়াল পুড়ছে, তবু তারা লোহা ও বিক্রয়যোগ্য যা কিছু আছে, লুট করতে ব্যস্ত।
মাইকিং করে ভবনটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করে সবাইকে সরে আসতে বললেও অনেকেই পরোয়া করছেন না।
এর মধ্যে সেখানে আবার খাবারের দোকান বসিয়েছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
হায়দার আলী নামে এক দই বিক্রেতা বলেন, ‘আজকেই এখানে প্রথম আসছি। আগে টাউনহলে বিক্রি করতাম। এখানে ভাঙচুরের জন্য মানুষ বেশি, তাই বিক্রিও বেশি হচ্ছে।’
শুধু দই নয়, এই ঘটনা ঘিরে গড়ে ওঠা অন্য খাবারের দোকানগুলোতে ভীড় লক্ষ করা গেছে।
৩০ টাকা দরে স্যান্ডউইচ বিক্রি করছেন শফিকুর রহমান। আজই প্রথম এসেছেন কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্যদিন আসব কী করতে? এত মানুষ এখানে আছে বলেই আজ এসেছি।’
অনেকে শুধু দেখতে এসেছেন। কেউ বলছেন, ছবি তুলতে এসেছেন।
লুটপাটের মাঝে কেউ কেউ চুরি, পকেটমারিও করছে। সব মিলিয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছিল ধানমণ্ডি ৩২ এ শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটিতে।
৪৫ দিন আগে
গাইবান্ধায় গ্যারেজের নৈশ প্রহরীকে হত্যা করে ৫টি অটোরিকশা চুরি
পলাশবাড়ীতে গ্যারেজের নৈশ প্রহরী দুদু মিয়াকে (৬০) শ্বাসরোধে হত্যার পর পাঁচটি অটোরিকশা চুরি করেছে দৃর্বৃত্তরা।
রবিবার (১৪ জুলাই) ভোরে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর শহরের সুইগ্রামের নুরে আলম জিল্লু মিয়ার গ্যারেজে এই ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। দুদু মিয়া পলাশবাড়ী পৌর শহরের সুইগ্রামের মৃত আমির আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, জিল্লু মিয়ার গ্যারেজে প্রতিদিনের মতো রাতের বেলায় দায়িত্বে ছিলেন দুদু মিয়া। রবিবার ভোরে একদল দুর্বৃত্ত গ্যারেজে ঢুকে দুদু মিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর গ্যারেজে থাকা পাঁচটি অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান বলেন, ‘দুদু মিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই হত্যার ঘটনা পরিকল্পিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন: জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
খুলনায় ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
২৫২ দিন আগে
পাবনায় কবরস্থান থেকে আরও ৫ কঙ্কাল চুরির অভিযোগ
পাবনায় আবারও কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি হয়েছে।
এবার জেলার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে একরাতে পাঁচটি কঙ্কাল চুরি হয়।
শুক্রবার (৭ জুন) দিবাগত রাতে সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে পাঁচটি কঙ্কাল চুরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: চার মাস আগে চুরি হওয়া ২ লাশের কঙ্কাল উদ্ধার
এদিকে শনিবার সকালে কবরস্থান খোঁড়া দেখে এলাকার মানুষ সেখানে ভিড় জমায়। তারা জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা ও চিনাখড়া উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে কয়েকজন শ্রমিক ওই কবরস্থানে লতাপাতা পরিষ্কার করতে গেলে কয়েকটি কবর খোঁড়া দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের খবর দেন।
লোকজন এসে পাঁচটি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। যেখানে কোনো লাশ ও কঙ্কালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
দুলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার সকালে তিনি কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির খবর পান। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচটি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান তিনি। পরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। যেসব কবর থেকে কঙ্কাল উধাও হয়েছে, সেগুলোর সবগুলোই কয়েক বছরের পুরোনো।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় কবরস্থান থেকে ১৫টি কঙ্কাল উধাও
শিবালয়ে কবর থেকে কঙ্কাল চুরি, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ
২৮৮ দিন আগে
চিরকুটে মোবাইল নম্বর দিয়ে ১০টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি
নাটোরে লালপুরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১০টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা যোগাযোগের জন্য চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছেন। তবে চিরকুটে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করলে ভুক্তভোগীদের কাছে টাকা দাবি করেছে তারা।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরের দিকে উপজেলার চাঁদপুর, কলসনগর, সাতপুকুরিয়া, ভবানীপুর, কালুপাড়া, শালেশ্মর ও বিভাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে রিয়ালসহ প্রবাসীর ব্যাগ চুরি, আরেক প্রবাসী আটক
এভাবে চুরির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন- আমিরুল ইসলাম, বাচ্চু বিশ্বাস, আব্দুল লতিফ, সেকান্দার আলী, আব্দুর রহমান, মিজানুর রহমান, মুক্তার আলী, খোয়াজ হাজী ও আমির।
ভুক্তভোগীরা জানান, চুরি হওয়া মিটারের ফাঁকা জায়গায় একটি চিটকুট লিখে রেখে যায় তারা। এতে লেখা ছিল 'এই মিটার নিতে হলে ০১৯৪০-৯৭৪৮৯৭ নাম্বারে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
ওই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে মিটারের জন্য ৮ হাজার টাকা বিকাশ করলে মিটার ফেরত দেওয়ার কথা জানায় দুর্বৃত্তরা।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, মিটার চুরির অভিযোগ আসেনি তার কাছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি, মূলহোতাসহ আটক ৫
শিবালয়ে কবর থেকে কঙ্কাল চুরি, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ
৩৬২ দিন আগে