চোরাকারবারির সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগে ঝিকরগাছা থানা পুলিশের একজন উপপরিদর্শক ও একজন সহকারী উপপরিদর্শককে ক্লোজড করা হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে যশোর পুলিশ লাইনে তাদের সংযুক্ত করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- ঝিকরগাছা থানার উপপরিদর্শক রাজু ও সহকারী উপপরিদর্শক ওয়ালিদ।
এরআগে এসআই রাজু ও এএসআই ওয়ালিদের বিরুদ্ধে বহুবিধ অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি তারা সাদা পোশাকে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাকারবারিদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নিতো।
পুলিশ জানায়, যশোরের ঝিকরগাছার নাভারণ পুরাতন বাজারের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী চোরাকারবারি সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে চোরাই মোবাইলফোন আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অপরাধে এসআই রাজু ও এএসআই ওয়ালিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দেন।
গত ১৫ আগস্ট ঝিকরগাছার নাভারণ পুরাতন বাজারের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী চোরাকারবারি সাইফুল ইসলামের দোকানে অভিযান চালায় শার্শা ও ঝিকরগাছা থানার পুলিশ। এসময় তার দোকানে তল্লাশি করে ৫৩টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় বিএনপি নেতা লেন্টু হাজীর মধ্যস্থতায় পুলিশ দুইটি মোবাইল ফোন নিয়ে সাইফুলকে ছেড়ে দেয় এবং উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা ও শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিযানের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেছিলেন।
পুলিশ সুপার বিষয়টি জানতে পেরে বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে গত রবিবার দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেলের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ ঝিকরগাছার নাভারণ পুরাতন বাজারের সাইফুলের মোবাইলের দোকানে অভিযান চালায়। এসময় সাইফুল ইসলামকে আটক ও তার স্বীকারোক্তিতে বাড়ি থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৪৪টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আটক সাইফুল ইসলামকে আদালতে হস্তান্তর করা হলে ভারতীয় চোরাই মোবাইলফোন বিক্রির কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে এসআই রাজুর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় কোর্টে হাজিরা দিতে এসেছি। তবে ক্লোজড সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম অ্যাড অপারেশন) আবুল বাসার জানান, ভারতীয় চোরাই মোবাইলফোন আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অপরাধে দুই কর্মকর্তাকে ক্লোজড করে যশোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।