তিনি বলেন, জনসচেতনতা করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরের ৬০ ফিট এলাকায় মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে গরিব অসহায় মানুষের মাঝে ঈদের উপহার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে এ রোগের চিকিৎসা সেবার সম্প্রসারণ ও করোনা পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখতে সরকার অত্যন্ত তৎপর রয়েছে।
তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী উৎপাদনমুখী সব খাতের জন্য প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এ বিশাল প্যাকেজ বাস্তবায়নে সরকার কাজ শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে প্যাকেজের আওতায় সুবিধা পেতে পারে সে জন্য নীতিমালা অনুযায়ী কাজ চলছে।
এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রাখার আহ্বান জানান।
‘যত দিন করোনার প্রাদুর্ভাব থাকবে তত দিন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকারের মানবিক ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পক্ষ হতেও ত্রাণ বিতরণ করা হবে,’ যোগ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী করোনার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেয়ার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানান।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতারা এ সময় উপ্পস্থিত ছিলেন।
পরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই হাজার পরিবারের মাঝে সেমাই, চিনি, আটা, আলু, চাল, ডাল, শাড়ি, লুঙ্গি ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।