ইতোমধ্যে বসতভিটা, গাছপালা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার পূর্ব গোলমুন্ডা ঘোড়ামারা এলাকায় ধুম নদীর ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে ওই গ্রামের ১২টি পরিবারের ঘরবাড়ি, বাঁশ ঝাড়, গাছপালা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতি নিয়তই নতুন নতুন এলাকা ভাঙনের কবলে পড়ছে। এছাড়া পূর্ব গোলমুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মসজিদ চরম হুমকির মুখে পড়েছে। যে কোনো সময় এই দুটি স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। এদিকে ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না থাকায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন।
ঘোড়ামারা গ্রামের সফিকুল ইসলাম, তৈয়ব আলী, আফজাল হোসেনসহ অনেকের অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পরেও ভাঙন রোধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় প্রতিদিনই বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।
গোলমুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসেন জানান, ঘোড়ামারা গ্রামের ধুম নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বলেন, ‘ঘোড়ামারা গ্রামে নদী ভাঙনের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি লোক পাঠিয়ে বিষয়টি দেখছি।’