কক্সবাজারের লং বিচ হোটেলে গত বুধবার এ সম্মেলন শুরু হয়।
তরুণদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারদর্শিতা অর্জন, দীর্ঘ মেয়াদে বিকাশ ও বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ভূমিকা রাখতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য উপযোগী প্ল্যাটফর্ম হলো জাতীয় যুব সম্মেলন। এছাড়া, এ সম্মেলনের মাধ্যমে তরুণরা ভিন্ন পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভের পাশাপাশি প্রায়োগিক বিষয়গুলো সম্পর্কেও ধারণা লাভ করে।
এ বছর সম্মেলনে সারা দেশ থেকে আগত ৬ শ তরুণ অংশ নেয়। ছিল ৩০টিরও বেশি কর্মশালা। এগুলোতে উপস্থিত ছিলেন ৭৫ জনের বেশি বক্তা।
দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান, এগুলো থেকে আগত প্রতিনিধি, দেশের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব, মন্ত্রী, কূটনীতিক এবং সমাজের শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারক ও সারা দেশ থেকে আগত তরুণদের অংশগ্রহণ সম্মেলনটি এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।
ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশের তরুণ ভলান্টিয়াররা সম্মেলনে তাদের ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি, পরিকল্পনা এবং মানুষের উন্নয়নে তাদের কর্মকাণ্ডগুলো সবার সামনে তুলে ধরেন।
অন্যদিকে, সম্মেলনে আগত অতিথিরা তাদের অভিজ্ঞতা, আইডিয়া, ভবিষ্যতে দেশকে যারা নেতৃত্ব দেবেন সেসব তরুণ সমাজের কাছে তাদের প্রত্যাশার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

সম্মেলনে অংশ নেয়া সক্রিয় তরুণ নাগরিকরা নিজের জেলায় ফিরে গিয়ে নিজেদের কমিউনিটির বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবেন এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সামনের দিনগুলোতে কাজ করবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সুপরিচিত ব্যবসায়ী নেতা ও প্রতিনিধিরা বিভিন্ন কর্মশালায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তাদের মতামত দেন। এর মধ্যে ছিল নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন, সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, অর্থিক বিষয়ে ধারণা লাভ, তরুণদের উদ্বুদ্ধকরণ, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন, কার্যকরী যোগাযোগ, মানব সম্পদ ও সাফল্য গাঁথা।
সম্মেলনের বিষয়ে জাগো ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক করভি রাকসান্দ বলেন, ‘তরুণ জনগোষ্ঠীই সমাজের মেরুদণ্ড। তাদের বিভিন্ন বিষয়ে সম্পৃক্ত করা ও তাদের ক্ষমতায়নে কাজ করা আমাদের দায়িত্ব। এ তরুণরাই তাদের নিজেদের কমিউনিটির পরিবর্তনে এবং বাংলাদেশের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’