আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নের পাশাপাশি জনসচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ: সচিব
সরেজমিনে দেখা যায়, টাউনহল মাঠের প্রবেশ মুখে অনেক মোটরসাইকেল জড়ো করা। দেখে মনে হবে বাইক রেখে চালকরা আড্ডায় মেতেছেন। আসলে সেখানে হেলমেট না পড়ার কারণে জরিমানা হিসেবে মোটরসাইকেলগুলো আটক করে চালকদের ট্রাফিক আইন বিষয়ে শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি মৌখিকভাবে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। পরে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আর হেলমেট পড়ার বিনিময়ে মোটরসাইকেলগুলো ছেড়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২৩.২৩ লাখ টাকা জরিমানা
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ব্যতিক্রমী এই কার্যক্রমে জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে। ট্রাফিক আইন মানাতে এ অভিনব পদ্ধতি কুমিল্লা নগরীতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। একে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিককালে কুমিল্লা নগরীসহ পুরো জেলায় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কয়েকজনের প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি চালক ও আরোহীদের আইন অমান্য করার প্রবণতা বেড়ে গেছে। বাইকে দুজন আরোহী থাকার নিয়ম থাকলেও তিনজন অবাধে ঘুরাফেরা করছে। এসব অনিয়ম দূর করতে আর ট্রাফিক আইন মানাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। জরিমানা হিসেবে হেলমেট না থাকা চালক ও আরোহীদের ভ্রাম্যমাণ ট্রাফিক স্কুলে ক্লাস করানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় ৪,১২৭ মামলা
সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, কুমিল্লার এ পদ্ধতি পুরো দেশে ছড়িয়ে দিলে চালক ও আরোহীরা ট্রাফিক আইন মানতে যেমন বাধ্য হবে, তেমনি তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: মাত্র ৫৮ সদস্য নিয়ে চলছে কুমিল্লার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা
কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ বলেন, ‘নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব মোটরবাইকের চালক ও আরোহীদের বিরুদ্ধে এতদিন নগদ অর্থ জরিমানা করা হচ্ছিল। তাতে পুরো সুফল না পাওয়ায় এমন পদ্ধতি গ্রহণ করা হলো। পাশাপাশি তাদের সচেতনও করা হচ্ছে।’