জরিমানা
সুইজারল্যান্ড: বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে লাখ ডলার জরিমানার মুখে চালক
সড়কে অতিরিক্ত গতির কারণে সুইজারল্যান্ডে এক অতি ধনী চালককে ৯০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক বা ১ লাখ ১০ হাজার ডলার জরিমানা করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর অনুযায়ী, ওই চালক লোজান শহরের এক রাস্তায় গতিসীমা অতিক্রম করে ২৭ কিলোমিটার (১৭ মাইল) প্রতি ঘণ্টা বেশি গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে এই জরিমানার মুখোমুখি হয়েছেন।
কেন এত বড় পরিমাণ জরিমানা?
জানা গেছে, ওই চালক সুইজারল্যান্ডের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। তিনি গতিসীমা লঙ্ঘনের এই ধরনের অপরাধ বারবার করে আসছেন। ভৌদ অঞ্চলে ব্যক্তির আয়, সম্পদ ও পরিবারের আর্থিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে জরিমানা নির্ধারিত হয়।
পড়ুন: মিয়ানমারের বন্দিশিবিরগুলোতে নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ
এ অঞ্চলের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, দারিদ্র্যগ্রস্তরা কেউ এই অপরাধের জন্য জরিমানার বদলে এক রাতের কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়, আর অতি ধনী চালকদের ক্ষেত্রে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক থেকে শুরু করে জরিমানা গুণতে হয়। সম্প্রতি এই অঞ্চলের একটি আদালত রায় অনুযায়ী, গতিসীমা লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের প্রথমে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক (১২ হাজার ৩০০ ডলার) জরিমানা বহন করতে হবে এবং পরবর্তী তিন বছরে অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে আরও ৮০ হাজার ফ্রাঙ্ক জরিমানা হতে পারে।
সুইজ সংবাদপত্র ‘টুয়েন্টি ফোর হিউয়ারস’ প্রথমে এই ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই চালক একজন ফরাসি নাগরিক, সুইজারল্যান্ডের শীর্ষ ৩০০ ধনী ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম এবং তার শত মিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে।
পুলিশের স্বয়ংক্রিয় রাডার চালককে প্রতি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) গতিসীমায় ৭৭ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতি রেকর্ড করতে দেখেছে। এরপরই আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ জরিমানা হিসাব করা হয়।
পড়ুন: সেই ‘সুপারম্যান’ এখন মার্কিন অভিবাসন এজেন্ট
ভৌদ অঞ্চলের পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসের মুখপাত্র ভিনসেন্ট ডেরৌয়া জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাননি। ঘটনা ঘটেছে গত বছরের আগস্টে এবং চলতি বছরের জুনে জরিমানার রায় দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওই চালককে ৮ বছর আগেও একই ধরনের অপরাধের জন্য ১০ হাজার ফ্রাঙ্ক জরিমানা করা হয়েছিল।
সুইজারল্যান্ডে গতিসীমা লঙ্ঘনের জরিমানা সবার জন্যই কঠোর, এমনকি পুলিশের জন্যও। ২০১৬ সালে জেনেভা শহরের এক পুলিশকর্মী চোর ধারার প্রায় দ্বিগুণ গতিতে গাড়ি চালানোর অপরাধে জরিমানা গুণেছিলেন।
১১৩ দিন আগে
তথ্য গোপন করলে পাঁচগুণ জরিমানা: সংশোধন হচ্ছে তথ্য অধিকার আইন
‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, সরকারি তথ্য গোপন (withhold) করলে বা তথ্যপ্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি করলে আগের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি জরিমানার বিধান থাকছে। পাশাপাশি, আইনটির চারটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা সংশোধনের মাধ্যমে তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সংশোধিত আইনে কেউ সরকারি তথ্য গোপন করলে প্রতিদিন ২৫০ টাকা হারে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে, যেখানে আগে এটি ছিল প্রতিদিন ৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ, জরিমানার পরিমাণ বাড়ছে পাঁচ গুণ।
প্রস্তাবিত খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, কেউ যদি দুর্নীতি বা অপরাধ আড়াল করার উদ্দেশ্যে তথ্য গোপন করে, তাহলে জরিমানা আরোপ বাধ্যতামূলক হবে।
চারটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, আইনটির ৫, ৬, ৭ ও ২৭ ধারায় সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
এতে বলা হয়, নাগরিকরা যাতে সহজে ও অবাধে চাহিদামতো সরকারি সেবা-সংক্রান্ত তথ্য পেতে পারে, সে লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন পর্যালোচনা ও সংশোধন করা যেতে পারে।
ধারা ৫: তথ্য সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক ও ডিজিটাল রূপান্তর
সংশোধিত ধারায় বলা হয়েছে, প্রতিটি সরকারি সংস্থাকে তাদের সব তথ্যের শ্রেণিবিন্যাস ও সূচি প্রস্তুত করতে হবে এবং তা কম্পিউটার বা অন্যান্য উপযুক্ত প্রযুক্তির মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে হবে। এসব তথ্য একটি জাতীয় ই-নেটওয়ার্কের (e-network) মাধ্যমে যুক্ত করে নাগরিকদের জন্য সহজে প্রবেশযোগ্য করে তুলতে হবে।
‘রেকর্ড’ বলতে বোঝাবে ফাইল, পাণ্ডুলিপি, মাইক্রো ফিল্ম, চিত্র, অডিও বা ডিজিটাল তথ্যের যেকোনো রূপ।
ধারা ৬: তথ্য প্রকাশ ও প্রচার বাধ্যতামূলক
প্রত্যেক সরকারি কর্তৃপক্ষকে গৃহীত, চলমান ও প্রস্তাবিত কার্যক্রমের তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করতে হবে। এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে—প্রস্তাবিত বাজেট, প্রকৃত আয় ও ব্যয়, সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, দরপত্রের ফলাফল, চুক্তি, নিরীক্ষা (অডিট) প্রতিবেদন, প্রকল্প ব্যয় এবং সরকারি অর্থ ব্যবহারের বিবরণ।
এসব তথ্য নিয়মিতভাবে প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতা থাকবে, যাতে নাগরিকরা সহজেই তা জানতে পারেন।
ধারা ৭: জনস্বার্থে তথ্য গোপনের ব্যতিক্রম
বর্তমানে এই ধারায় কিছু তথ্য গোপনের সুযোগ থাকলেও, সংশোধনীতে জনস্বার্থ বিবেচনায় এই সীমা আরও নির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
দুটি উপধারা যোগ করে বলা হয়েছে, কোন পরিস্থিতিতে এবং কীভাবে তথ্য গোপন করা যাবে, তা স্বচ্ছ ও নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।
ধারা ২৭: জরিমানা বাড়ছে পাঁচগুণ
বর্তমানে কেউ সরকারি তথ্য গোপন করলে প্রতিদিন ৫০ টাকা হারে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। সংশোধিত আইনে তা বাড়িয়ে প্রতিদিন ২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
তাছাড়া, যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে তথ্য গোপনের মাধ্যমে দুর্নীতি বা অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে, তাহলে জরিমানা বাধ্যতামূলক হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহেরা ববি ইউএনবিকে বলেন, ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আইনটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। এখন সংশোধিত খসড়া নিয়ে মতামত গ্রহণ চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ৩১ জুলাই পর্যন্ত জনমত গ্রহণ চলবে। এরপর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সংশোধিত আইনটি দ্রুত জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
১৩৮ দিন আগে
রংপুরে ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল সিলগালা-জরিমানা
রংপুরে একটি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় একটি শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় আরোগ্য হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সিলগালা ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া একটি নাম সর্বস্ব প্যাথলজি সালমা ব্লাড ট্রান্সমিউটেশন সেন্টারের একজনের ৭ দিনের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকালে এ অভিযানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান মিশু সিলগালা ও জরিমানার আদেশ দেন।
এই নিয়ে গত এক মাসে ভুল চিকিৎসায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু হলো বলে জানান সিভিল সার্জন ডাক্তার শাহিনা সুলতানা। তিনি বলেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে যেসব ক্লিনিকে চলছে, সেখানেই ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছেন রোগীরা। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
এর আগে আরোগ্য হাসপাতালে ভর্তিচ্ছু বদরগঞ্জ লালদিঘি সরকার পাড়ার জমির উদ্দিনের মেয়ে মোকহার জাহান জুঁই (১১) পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। মঙ্গলবার রাতে আরোগ্য হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ তুলে স্বজনরা ওই শিশুর লাশ হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে রেখে আন্দোলন করে।
পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় ২ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্তে কমিটি
রোগীর স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে মোকহার জাহান জুঁই (১১) নামে এক শিশুকে ভর্তি করা হয় আরোগ্য হাসপাতালে। ওই রাতেই অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন করা হয়। একদিন পরে রবিবার আবারো একটা অপারেশন করা হয়। তবে রবিবার কি অপারেশন করা হয়েছে সেটি জানানো হয়নি রোগীর লোকজনকে। এরপর রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটলে সোমবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।
ওই শিশুর অপারেশনের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. মো. মুজিব জানান, অপারেশনের পর কিডনি বিকল হওয়ার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসায় কোনো ধরনের গাফিলতি ছিল না।
এদিকে একই সময়ে সালমা ব্লাড ট্রান্সমিউটেশন সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একজনের ৭ দিনের জেল দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান মিশু জানান, হাসপাতাল ও অপারেশন থিয়েটার অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট ছিল না। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে অপারেশনের সময় জরুরি ওষুধ না থাকা। এসব কারণে হাসপাতাল ও অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে এবং হাসপাতালের মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন বলেন, ওই হাসপাতাল এবং অপারেশন থিয়েটার পুরোপুরি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ওই হাসপাতাল চালু করতে পারবে না। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ওই হাসপাতালে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৪৮ দিন আগে
সাভারে ১১ অবৈধ বালু বিক্রির প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা পরিবেশ অধিদপ্তরের
ঢাকার সাভারের আমিনবাজার ও বালুরঘাট এলাকায় বায়ুদূষণের দায়ে অবৈধ বালু বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১১টি প্রতিষ্ঠানকে মোট সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
সোমবার (৭ জুলাই) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে রয়েছে আনাবিয়া ট্রেডার্স, কনফিডেন্ট ট্রেডার্স, নিউ ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ, শাহাদাত এন্টারপ্রাইজ, ফাহিম এন্টারপ্রাইজ, খান এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ, শ্যামল এন্টারপ্রাইজ, শ্যামল এন্টারপ্রাইজ, মা ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ এবং ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজ।
প্রতিষ্ঠানগুলো আমিনবাজার, বালুরঘাট, সাভার, ঢাকায় অবস্থিত এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব কিশোর কুমার দাসের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এছাড়া, প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক নয়ন কুমার রায়। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ ও র্যা-০৪ এর একটি চৌকস দল প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়েছে।
বায়ুদূষণ রোধে এ ধরনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
১৫০ দিন আগে
বার্সেলোনাসহ ৫ ইউরোপীয় ক্লাবকে বড় অঙ্কের জরিমানা
আর্থিক নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে বার্সেলোনা, চেলসি, অ্যাস্টন ভিলা, অলিম্পিক লিওঁ ও রোমাকে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। পাশাপাশি এই ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে উয়েফার প্রতিযোগিতায় নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
উয়েফার ক্লাব ফিন্যান্সিয়াল কন্ট্রোল বডি (সিএফসিবি) এই জরিমানা করেছে। উয়েফা বলছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্লাব ফুটবলে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চায় সংস্থাটি।
উয়েফার আর্থিক নিরীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের উয়েফার নির্ধারিত আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ক্লাবগুলো এই জরিমানার মুখে পড়েছে। পরের মৌসুমে ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি হলে আরও বড় জরিমানা গুনতে হতে পারে ক্লাবগুলোকে।
এক বিবৃতিতে সিএফসিবি জানিয়েছে, ‘সম্পদ বিক্রি, খেলোয়াড় বিনিময় এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে খেলোয়াড় স্থানান্তরের মাধ্যমে যে আয় হয়, তা ক্লাবের হিসাব-নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।’
ক্লাব বিশ্বকাপে আজ ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি। এমন খুশির দিনেও ক্লাবটিকে দুঃসংবাদ শুনতে হলো।
এই জরিমানার সবচেয়ে বড় অঙ্ক গুনতে হচ্ছে চেলসিকে। ক্লাবটিকে সর্বোচ্চ ৩১ মিলিয়ন ইউরো (৩৬.৫ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আয়ের বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২০ মিলিয়ন ইউরো এবং স্কোয়াড গড়তে ব্যয়ের নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে আরও ১১ মিলিয়ন জরিমানা করা হয়েছে। এটি এক মৌসুমে কোনো ক্লাবকে উয়েফার করা সর্বোচ্চ জরিমানা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে শান্তির বার্তা দিলেন রোনালদো
তবে এই শাস্তি এখানেই শেষ নয়; নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্লাবের আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত না করতে পারলে তাদের আরও ৬০ মিলিয়ন ইউরো (৭১ মিলিয়ন ডলার) অতিরিক্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
অন্যদিকে, গত কয়েক বছর ধরে আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা বার্সেলোনার ঘাড়ে চেপেছে ১৫ মিলিয়ন ইউরো (১৭.৭ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা খড়্গ।
এর আগেও একবার উয়েফার জরিমানার কবলে পড়েছিল বার্সেলোনা। ২০২৩ সালে আয়ের তথ্য গোপন করার অভিযোগে কাতালান ক্লাবটিকে ৫ লাখ ইউরো জরিমানা করেছিল সংস্থাটি।
এ ছাড়া অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকতে থাকা ফরাসি ক্লাব লিওঁকে জরিমানা করা হয়েছে সাড়ে ১২ লাখ ইউরো। নির্দিষ্ট আর্থিক লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে আরও বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হতে পারে এই ক্লাবটিকেও।
আমেরিকান ব্যবসায়ী জন টেক্সটরের মালিকানাধীন লিওঁ বর্তমানে আর্থিক দুরবস্থার কারণে ফরাসি ঘরোয়া লিগ ‘লিগ আ’ থেকে অবনমনের বিরুদ্ধে লড়ছে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে ক্লাবটির করা আপিলের শুনানি হওয়ার কথা। তাছাড়া, উয়েফা-নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে লিওঁ আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগ থেকেও বাদ পড়তে পারে।
এই ক্লাবগুলোর পাশাপাশি আরেক ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলাকে ১১ মিলিয়ন ইউরো এবং ইতালির রোমাকে ৩ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা গুনতে হবে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় পর্তুগিজ ফুটবলার দিয়াগো জোতা নিহত
উয়েফার শর্ত অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলোকে দুই থেকে চার বছরের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উয়েফার আয়ের নীতিমালার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্য ফেরাতে হবে।
১৫২ দিন আগে
সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক ব্যবসা, মাসুরা টুনিকে কারাদণ্ড-জরিমানা
সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মাদক সেবন ও ব্যবসার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মাসুরা টুনিকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে জীবননগর পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে কথিত সাংবাদিক মাসুরা টুনিকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে সাতদিনের কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
আটক মাসুরা টুনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তেঘরী গ্রামের মো. আব্দুল হালিমের মেয়ে। তিনি সাংবাদিক পরিচয়ে ‘জনতার ইশতেহার’ ও ‘দৈনিক তুলশীগঙ্গা’ প্রেস কার্ড ব্যবহার করতেন।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয়রা সন্দেহজনক অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ঘরে তল্লাশি করে ভারতীয় মদের খালি বোতল ও ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাসুরা টুনি দীর্ঘদিন ধরে জীবননগরে মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন মাদক কারবারির কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে টাকা আদায় করতেন।
আরও পড়ুন: ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করা হয়। বাসা থেকে মাদকের আলামত উদ্ধার করা হয়।’
জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দজাদী মাহবুবা মনজুর মৌনা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় মাসুরা টুনিকে সাতদিনের কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়ে বলে জানান ওসি।
২১৫ দিন আগে
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মোবাইল কোর্ট, ৪৫০০০ টাকা জরিমানা আদায়
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ধানমন্ডি ও বাড্ডায় পৃথক দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু এবং সিনিয়র সহকারী সচিব ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া ইসলাম লুনার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডুর নেতৃত্বে ধানমন্ডি ২ নম্বর রোডে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সংলগ্ন সিটি কলেজের বিপরীত দিকে বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি নির্মাণাধীন ভবনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। নির্মাণ সামগ্রী উন্মুক্ত অবস্থায় রাখার দায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং দুই ঘণ্টার মধ্যে সামগ্রী সরিয়ে ফেলার নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ সময় আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মাপাড়ে অবৈধ ব্যাটারি রিসাইকেলিং কারখানাকে লাখ টাকা জরিমানা
একই দিনে সাদিয়া ইসলাম লুনার নেতৃত্বে বাড্ডার আফতাবনগর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। নির্মাণ সামগ্রী উন্মুক্ত অবস্থায় রাখার অপরাধে ৬টি নির্মাণাধীন ভবনের কর্তৃপক্ষকে সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।
২২৪ দিন আগে
সালিশে জরিমানার টাকা না দেওয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
সালিশে জরিমানার টাকা না দেয়াকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের খাল পাড় ও পীরবাড়ি এলাকার মধ্যে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এ সময় বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, লুডু খেলা নিয়ে বিরামপুর বাজারে ওই গ্রামের পীরবাড়ি এলাকার জুয়েলের সঙ্গে খালপাড় এলাকার হাদিস মিয়ার ঝগড়া হয়। এতে জুয়েল আহত হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা সালিশের মাধ্যমে সমাধান করে। শালিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১০ এপ্রিল হাদিস মিয়া জরিমানার এক লাখ ২০ হাজার টাকা জুয়েলকে দেওয়ার কথা। তবে তা না দেওয়ায় রবিবার রাতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা হয়। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে সোমবার সকালে পীরবাড়ি এলাকার পক্ষে হুমায়ুনের নেতৃত্বে ও খালপাড়ের পক্ষের আনিছ মেম্বার ও সাচ্ছু মিয়ার নেতৃত্বে দুপক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছুঁড়া হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘর-দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়।
আরও পড়ুন: সালিশে নারী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, ২ ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
২৩৪ দিন আগে
দূষণবিরোধী অভিযান: চার মাসে ২৪ কোটি টাকার জরিমানা, বন্ধ ৬৪৮ ইটভাটা
গেল চার মাসে সারা দেশে দূষণবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এতে ২৪ কোটি টাকা জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি ৬৪৮টি ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, গত ২ জানুয়ারি থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত এই অভিযানে যানবাহন, অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য, সীসা কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পোড়ানো এবং খোলা নির্মাণ সামগ্রীর বিরুদ্ধে ৭৭৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
‘এই অভিযানে ১৬৬৩টি মামলার মাধ্যমে মোট ২৪ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একইসাথে ৪৩৮টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সময়ে ২১০টি ইটভাটা বন্ধের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১২৪টি ভাটায় কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে এবং ৭টি ইটভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও, একজনকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ ট্রাক সীসা গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে ১০ এপ্রিল ঢাকা মহানগরের গুলশান, মাতুয়াইল, আমিনবাজার, মোহাম্মদপুর ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বায়ুদূষণ করার দায়ে ৬টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে ৫টি মামলায় ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই ব্রোকার হাউজকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই দিনে আমিনবাজারে অবৈধ সীসা ব্যাটারি গলানোর একটি কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে কারখানাটি উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া গাজীপুরে জলাধার ভরাটের অভিযোগে একজনকে সতর্ক করা হয়েছে এবং ৫ দিনের মধ্যে পুকুর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানিকগঞ্জ ও দিনাজপুরে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে ৮টি মামলায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অভিযানে একটি ইটভাটার চিমনী ও কাঁচা ইট ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ৬টি ইটভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
২৩৭ দিন আগে
দুই ব্রোকার হাউজকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
আইন লঙ্ঘনের দায়ে পুঁজিবাজারের দুই ব্রোকার হাউজকে পৃথকভাবে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁও কমিশন ভবনে বিএসইসির চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, শাহজাহান সিকিউরিটিজ লিমিটেড সিকিউরিটি আইন লঙ্ঘন করায় ৫ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হলো।
একইভাবে বর্তমানে কম্পারেবল কোম্পানি অ্যানালাইসিসে (সিসিএ) ঘাটতি না থাকলেও পূর্বের ঘাটতি থাকায় ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এর বাইরে আরেক কোম্পানি কাত্তালি টেক্সটাইল লিমিটেডের ২৫ কোটি ৪ লাখ টাকার পাবলিক ইনিশিয়াল অফারিং (আইপিও) তহবিল তছরুপ করায় বিষয়টি দুদকে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
এক মাসের মধ্যে কোম্পানিটিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লিস্টিং ফি পরিশোধে নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি পরিশোধে ব্যর্থ হলে কোম্পানির স্বতন্ত্র ও মনোনীত পরিচালক বাদে প্রত্যেক পরিচালককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে চার ইটভাটাকে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা
এছাড়া পুঁজিবাজারে বে-মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড হিসেবে লংকাবাংলা ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের খসড়া ট্রাস্ট ডিড এবং খসড়া ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট এগ্রিমেন্টে অনুমোদন দেয় কমিশন।
অনুমোদিত ট্রাস্ট ডিড আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত হলে তার আওতায় কোম্পানিটিকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সনদ দেবে কমিশন। ফান্ডটির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ কোটি এবং ইউনিট প্রতি ফেইস ভ্যালু বা অভিহিত মূল্য ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কমিশনের তথ্যমতে, নতুন এ ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড এবং ফান্ডের ট্রাস্টি হিসেবে আছে সন্ধানী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এছাড়া ফান্ডের কাস্টডিয়ানের দায়িত্বে আছে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসি।
২৩৯ দিন আগে