অপারেশন ডেভিল হান্টের দ্বিতীয় দিনে সিরাজগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম ও গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা সরকার আনুসহ গাজীপুরে ১০০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এর আগে প্রথম দিনে গাজীপুর জেলা ও মহানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা আওয়ামী লীগ ও দলটির বিভিন্ন সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ মানুষ চাচ্ছেন সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা যে দলেরই হোক, তাদের গ্রেফতার অব্যাহত থাকুক।
গাজীপুরের দাক্ষিণখান এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়ে ১৮ জনকে আহত করা হয়।
আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: গাজীপুরে গ্রেপ্তার ৪০
পরদিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলনে নামে। এরপরই রাত থেকে শুরু হয় অপারেশন ডেভিল হান্ট। দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চলে গতকাল রাতে। সাধারণ মানুষ এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দলমত বিবেচনার ঊর্ধে ওঠে অভিযান অব্যাহত রাখার কথা বলছেন।
গাজীপুর জেলার পাঁচটি থানা থেকে দ্বিতীয় দিনে রবিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত ২১ জন এবং মহানগর এলাকা থেকে ৭৯ জন গ্রেফতার হয়।
জেলার পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক বলেন, এদের মধ্যে জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় আত্মগোপনে থাকা সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামও গ্রেপ্তার হন। সিরাজগঞ্জের তার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় এবং গাজীপুরে কোনো মামলা না থাকায় সেখানেই তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
গ্রেফতার হওয়ার সময় ওই বাসায় থাকা তার স্ত্রীকেও থানায় আনা হয়েছিল। তাকেও সিরাজগঞ্জে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে এ ধরনের আত্মগোপনকারী লোকজনসহ জেলার অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় নারীকে ভয়াবহ নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার চার