কয়েকদিন আগেও তিস্তার বুকে ছিল বালুচর। সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফসল আবাদ করেছিল তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা। কিন্তু ভারতের গজলডোবার গেট খুলে দেওয়ার পর থেকে এখন আর সেই চিত্র নেই। থৈ থৈ করছে পানি। তলিয়ে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। পানিবন্দী হয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে পাঁচ উপজেলার ২৫ হাজার পরিবারের।
শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে ঘরবাড়ি তালিয়ে যাওয়ায় অনেকেই নিঃস্ব হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন সড়কে খোলা আকাশের নিচে।
স্থানীয়রা জানান, ভারতের গজলডোবায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত থেকে পানি ছেড়ে দেওয়ায় বাংলাদেশ প্রান্তে তিস্তার পানি বাড়ছে। তিস্তা ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডারের আমিনগঞ্জ, কাকিনা, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে চলাচলের রাস্তা। দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসি মানুষের। কয়েক হাজার একর আমন ধানের বীজতলাসহ অনেক ফসলি জমি তিস্তার পানিতে ডুবে গেছে। ইতোমধ্যে চর এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে।
আরও পড়ুন: পানি বাড়ায় তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে