দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার আরোহী একই পরিবারের দুই শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন ওই পরিবারের আরও দুই সদস্য।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার উচিৎপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জেলার পাবর্তীপুর উপজেলার হরিরামপুরের শংকরের ছেলে উত্তম (৩৫), তার স্ত্রী পল্লবী (৩২), শিশু সন্তান অর্নব (৯) ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুরের বাসিন্দা পলাশ মহন্তের ছেলে অপূর্ব মহন্ত (৮)।
এ সময় আহত দু’জন হলেন- পলাশ এবং তার অসুস্হ মা জতিকা। আহত মা-ছেলেকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় স্বজন হারানো এবং প্রাণে বেঁচে যাওয়া পলাশ মহন্ত জানান, তার মা জতিকা মহন্তের (৫০) একটি ভাঙ্গা পায়ের চিকিৎসার জন্য জেলা সদরের শিকদারহাটে একজন কবিরাজের কাছে যাবার সময় চিরিরবন্দর উপজেলার উচিৎপুর এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তারা। একটি বাসকে ওভারটেক করার সময় সিএনজিটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় বাসটি। এতে দুর্ঘটনাস্থলে তার ছেলে অপূর্ব মহন্ত, ভাগিনা অর্নব নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে থেমে থাকা ট্রাককে বাসের ধাক্কা, নিহত ৪
হাসপাতালে পাঠানোর সময় পথিমধ্যে তার বোন পল্লবী এবং ভগ্নিপতি উত্তম প্রাণ হারিয়েছে। বোন ভাগিনা এবং ভগ্নিপতি তাদের সঙ্গে শিকারদারহাটে যাচ্ছিল।
চিরিরবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, খবর পেয়ে চিরিরবন্দর এবং ফুলবাড়ী উপজেলার ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় হতাহতের উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুর্ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা অবরোধ করলে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করতে পারেনি।
বাসটি শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।