বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুইদিন বন্ধ থাকার পর ফল আমদানি পুনরায় শুরু হয়েছে। দেড় ঘণ্টায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ৪০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল বেনাপোল বন্দরে আমদানি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার পর থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে ফল আমদানি শুরু হয়েছে।
অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে বেনাপোলসহ সারা দেশের শুল্ক স্টেশন দিয়ে দুইদিন ফল আমদানি বন্ধ ছিল। এর ফলে সরকারের প্রায় শতকোটি টাকার রাজস্ব আয় কম হয়েছে।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৪০ ট্রাক ফল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে যেসব খাদ্যদ্রব্য আমদানি হয় তার বেশিরভাগই ফল।
দেশে ফলের চাহিদা মেটাতে এবং সাধারণ ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে আমদানিকারকরা আজ থেকে আবারও ফল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমদানি খরচ বেশি হওয়ায় দাম বাড়িয়েছেন খোলা বাজারের বিক্রেতারা।
গত দুইদিন ফল আমদানি বন্ধ থাকায় ইতোমধ্যে বাজারে কেজিতে ফলের দাম বেড়েছে ৫০-৭০ টাকা পর্যন্ত। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আগে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আদায় করত। এতে করে প্রতি কেজি ফলের বিপরীতে সরকারকে ১০১ টাকা রাজস্ব দিতে হতো।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত শুল্কারোপ, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল অমদানি বন্ধ
গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন এক নির্দেশনায় ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে। সেক্ষেত্রে কেজিপ্রতি শুল্ককর ১৫ টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৬ টাকা হয়।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত দুইদিন ফল আমদানি বন্ধ থাকায় দেশের বাজারগুলোতে ফলের দাম কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি রোধে এবং সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে ব্যবসায়ীরা আবার ফল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ফল আমদানিকারকদের দাবি জানিয়ে ঘোষণা করেছে— বর্ধিত শুল্ক আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ রাখবেন তারা।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সুশান্ত পাল জানান, দুইদিন বন্ধ থাকার পর আজ (বৃহস্প্রতিবার) থেকে ফল আমদানি শুরু হয়েছে। দেড় ঘণ্টায় ৪০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল বেনাপোল বন্দরে আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত ফলের চালান দ্রুত ছাড় করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হয়েছে।