নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণে সহযোগিতা ও ধর্ষণের দায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে ধর্ষক আতিক হাসানের কারাদণ্ডের মেয়াদ দ্বিগুণ উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
আতিক হাসান তার দ্বিগুণ যাবজ্জীবন সাজা পর্যায়ক্রমে ভোগ করবেন। একই সঙ্গে তাদেরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে ভুক্তভোগীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোকেন উদ্ধার: পেরুর নাগরিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সরকারি কৌসুলি সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট সকালে গুরুদাসপুর শহীদ শামসুজ্জোহা কলেজের ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় অপহরণ করে আতিক। তাকে সহযোগিতা করে সুমন আলী, টিপু সুলতান ও আবু জাফর।
ভুক্তভোগীর বাবা সেসময় সৌদি প্রবাসী হওয়ায় তার চাচা আমিরুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলা করেন। অপহরণের ১০দিন পর ২০ আগস্ট নাটোর শহরের একটি বাসা থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন।
পরে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি অনুযায়ী বিভিন্ন বাসায় আটকে রেখে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটের হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড