সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের প্রাণ কেন্দ্র চাষাঢ়া থেকে ২নং রেল গেট পর্যন্ত এ অবস্থা দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পুলিশের একটি দল ক্রমাগত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের সামনেই সড়ক দখল করে ব্যক্তিগত গাড়ি রাখা হলেও সেখানে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় শহরে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এ প্রসঙ্গে ইসদাইরের বাসিন্দা মো. সবুজ মিয়া বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সড়কে তেমন চাপ থাকে না। যে কারণে কোনো সমস্যাও হয় না। কিন্তু বিকাল থেকে শহরে যান চলাচল বাড়তে থাকে। তখন ভয়াবহ যানজট তৈরি হয়।’
তিনি জানান, গত শনিবার থেকে ফুটপাত ফাঁকা কিন্তু সড়কে আগের মতোই গাড়ি পার্ক করে রাখা হয়েছে। অথচ ফুটপাত দখলমুক্ত করার মতোই জরুরি সড়ক দখলমুক্ত করা। প্রশাসনের এই দিকেও নজর দেয়া প্রয়োজন।
এদিকে প্রশাসনের এমন কাজকে ‘শুধু গরিবের পেটেই লাথি’ বলে উল্লেখ করছেন হকাররা। তাদের অভিযোগ, শহরে তাদের থেকেও বেশি সমস্যা হয় অবৈধভাবে সড়ক দখল করে পার্ক করা গাড়ির জন্য।
এ প্রসঙ্গে শহীদ মিনারের পেছনে চায়ের দোকান বসিয়ে হকারি করা সোহাগ বলেন, ‘সব আইন শুধু গরিবের পেটে লাথি মারার জন্য। কোথাও দেখলাম না বড় লোকগো ধরতে। ফুটপাতে বসার জন্য পুলিশ আইসা দৌড়ানি দেয়। রাস্তা দখল কইরা গাড়ি রাখে তাদের কিছু বলে না। ব্যাংক থেইকা ঋণ নিয়া টাকা দেয় না। তাদের কিছু হয় না। ১০ হাজার টাকা কিস্তি নিয়া টাকা জমা দিতে ১ মাস দেরি হইলেও মামলা খাইতে হয়। রাস্তায় লাইসেন্স ছাড়া বাস চলাচল করে তাতে সমস্যা নাই। আমরা ফুটপাতে বসলে সমস্যা। সব আইন শুধু গরিবের জন্য, গরিবের পেটে লাথি মারার জন্য।’
এ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গত শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের নির্দেশনায় শহরের ফুটপাত ও সড়কগুলো দখল মুক্ত করতে ‘অপারেশন ক্লিন সুইপ’ অভিযান শুরু হয়।