তারা হলেন- একলাশপুর ইউনিয়নের পোড়া মুন্সির ছেলে মো. সোহাগ এবং সোলেমানের ছেলে নুর হোসেন।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল একলাশপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৩২ দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
দুর্বৃত্তরা গৃহবধূর পোশাক খুলে নির্যাতন করে ফোনে ধারণ করে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
ঘটনার ৩৩ দিন পর রবিবার ৯ জনকে আসামি করে দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী।
এদিকে, নোয়াখালীর একটি আদালত মঙ্গলবার এ মামলার প্রধান আসামি বাদল মিয়াকে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এছাড়া স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনকেও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
এদিকে নোয়াখালীর নারী নির্যাতনের ঘটনায় আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নোয়াখালীতে নারী নির্যাতনের পর ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া এক জঘন্য ঘটনা। আমরা তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতোমধ্যে অপরাধীদের প্রায় বেশির ভাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, সিলেট এমসি কলেজের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। নোয়াখালী ও এমসি কলেজের ঘটনায় নির্ভুল তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে যাতে আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পায়।
নোয়াখালীর ঘটনা এক মাস আগের হলেও এত পরে কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই তথ্য পেয়েছি তখনই ব্যবস্থা নিয়েছি। এসব ঘটনা অনেক সময় ভুক্তভোগী জানাতে চায় না। তারপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
ধর্ষণের ঘটনা বিচারহীনতার কারণে ঘটছে কি না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি ঘটনায় সাথে সাথে বিচার হচ্ছে। এখানে বিচারহীনতার কোনো বিষয় নেই।’
‘যতগুলো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তা আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি,’ বলেন আসাদুজ্জামান খান।