ঠাকুরগাঁওয়ে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগে নিহতের বাবা মামলা করেছেন।
নিহত আসাদুর জামান আসাদ সদর উপজেলার পস্তমপুর (কৃষ্ণপুর) গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
গত ২৬ আগস্ট নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়।
অভিযুক্ত স্ত্রী তারানা জামান লিজা (১৯) একই উপজেলার ছোট বেংরোল গ্রামের ফিরোজ জামানের মেয়ে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ‘মাদক’ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
মামলার বিবরণে জানা যায়, এক বছর আগে উপজেলার পস্তমপুর (কৃষ্ণপুর) গ্রামের আসাদুর জামান আসাদের সাথে ছোট বেংরোল গ্রামের তারানা জামান লিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরই আসাদ জানতে পারেন পার্শ্ববর্তী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কলন্দা মোড়লটুলী গ্রামের হাসান আলীর ছেলে আল আমিনের (২০) সাথে তার স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এনিয়ে সংসারে কলহ লেগেই ছিল।
এর জের গত ১৬ আগস্ট লিজা কলহ মিমাংসার কথা বলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কলন্দা মোড়লটুলী গ্রামের মৃত দারুল মাস্টারের ছেলে রব্বানীর (৪০) বাড়িতে আসাদকে যেতে বলে। কথা অনুযায়ী আসাদ তার স্ত্রীসহ রব্বানীর বাসায় যায়।
কিছুক্ষণ পর মোবাইলে আসাদ তার বড় ভাবিকে জানায় যে, তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। পরে রব্বানী আসাদের ছোট ভাইকে মোবাইলে জানায়, আসাদ কিছু খেয়ে গুরুতর অসুস্থ। প্রথমে তাকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেলে পাঠায়। সেখানে নেয়ার পথে আসাদ মারা যান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নাশকতা মামলায় বিএনপির ১৫ নেতার জামিন
এঘটনায় আসাদের বাবা বাদী হয়ে স্ত্রী তারানা জামান লিজা, আল আমিন, রব্বানী, রুমা বেগম ও শফিকুল ইসলামকে আসামি করে এ মামলাটি করেন।
পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের স্বার্থে পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হয়।