বুধবার দুপুরে জেলার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১১ জন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি দুজন আসামি পলাতক রয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা যায়। মামলার বাকি ১৪ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মান্নান খান, সুরমান খা, মাজেদ খা, ওয়াজেদ খা, রাশেদ খা, সিদ্দিক ফকির, সোহরাব ফকির, আফসার ফকির, ফজলু ফকির, রহমান খা, রেজাউল খা, জিকির খা ও ওসমান ফকির।
এদিকে সাজাপ্রাপ্ত ১১ আসামিকে আদালত থেকে জেল হাজতে নেয়ার সময় দায়িত্ব প্রাপ্ত এসআই শাহ আলমের কাছ থেকে আফসার ফকির (৪৬) নামে একজন আসামি পালিয়েছে। এছাড়াও রায় ঘোষণার সময় অনুপস্থিত ছিলেন সোহরব ফকির ও জিকির খা।
এ বিষয়ে ফরিদপুর বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী বাবু মৃধা জানান, ২০০৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টায় জেলার সালথা উপজেলার নটখোলা গ্রামে পেঁয়াজের দানা তোলাকে কেন্দ্র করে একটি সালিশ বৈঠক হয়। ওই সালিশ বৈঠক চলাকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামি পক্ষ গঞ্জর খাঁ ও মুশা মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
ওই দিনই নিহত মুশা মোল্লার ভাই আলাল মোল্লা বাদী হয়ে মোট ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করে সালথা থানায়।
আদালত চত্বর থেকে আসামি পালয়নের বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এফ এম নাছিম জানান, আদালত থেকে আসামিদের জেল হাজতে নেয়ার সময় স্বজনদের প্রচুর ভিড় ছিল। অসাবধানতাবসত আফসার ফকির নামের এক আসামি পালায়ন করে। ‘আমরা পালিয়ে যাওয়া আসামিকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে আইনের আওতায় আনতে পারবো,’ বলেন তিনি।