শনিবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সালেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে এ অভিযানে অর্ধশতাধিক পুলিশ, ট্রাফিক ও ডিবি পুলিশের সদস্য অংশ নেন।
এ সময় ফুটপাত দখল করে বসানো অবৈধ অস্থায়ী দোকানগুলো উচ্ছেদ করার পাশাপাশি ফুটপাতে পার্কিং করে রাখা মোটরসাইকেল ও সড়কের পাশে পার্কিং করে রাখা প্রাইভেটকারসহ গাড়ির বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সালেহ উদ্দিন জানান, এ অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে। ফুটপাত দখল হলেই অ্যাকশন। কোনো অযুহাতে ফুটপাতে হকার, মোটরসাইকেল, গাড়ি কোনো জিনিস রাখা যাবে না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের নির্দেশনায় ‘অপারেশন ক্লিন সুইপ’ অভিযানের আওতায় নারায়ণগঞ্জ শহর জুড়ে ফুটপাত মুক্ত করা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের চলছে।
তিনি আরও বলেন, ফুটপাত সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য। এখানে কোনো স্থাপনা থাকবে না। প্রথমবার সতর্ক করে দিচ্ছি। পরবর্তীতে মামলা হবে এবং গ্রেপ্তার করা হবে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যপারে সকল পেশাজীবী মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে কারা টাকা নেয় সেটা বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযান চলবে নিয়মিত। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে সহযোগিতায় ডিবি পুলিশ কাজ করবে। জনসাধারণ চলাচলে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, এ সড়কে কোনোভাবেই দখল করে হকার বসা যাবে না। সড়কের পাশে অবৈধ পার্কিং করা যাবে না। অনিয়ম হলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।