অভিযান
কুষ্টিয়ায় অভিযানকালে জাসদ নেতার ভাইয়ের মৃত্যু, ৩ পুলিশ অবরুদ্ধ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পুলিশের অভিযানের সময় রফিকুল ইসলাম দুদু নামে জাসদ নেতার ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় উপপরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এরপর পুলিশক সদস্যদের গ্রামের বাজারের একটি দোকানে জাসদের নেতাকর্মীরা পুলিশ সদস্যদের প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
পরে রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ক্যাপ্টেন লাম ইয়ানুল ইসলামের নেতৃত্বে কুষ্টিয়া থেকে সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে অবরুদ্ধ তিন পুলিশকে উদ্ধার করে।
নিহত ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম দুদু (৪৫)। তিনি একই গ্রামের আজিজ মন্ডলের ছেলে এবং পেশায় একজন চায়ের দোকানদার ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, চাঁদগ্রামের ৪ নম্বর সেতুর কাছে রফিকুলের চায়ের দোকান। সন্ধ্যায় ভেড়ামারা থানা-পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালালে বাঁচতে সেতু থেকে লাফ দেন রফিকুল। পুলিশ সেখানে ধাওয়া করে তাকে আটক করে। পরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, রফিকুল ইসলাম দুদুকে রাত ৭টা ৩৮ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। এসময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জিপগাড়ি উল্টে যুবকের মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রহমান বলেন, একজনকে সেতুর ওপরে মারতে দেখি। এগিয়ে গেলে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাধা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ সেতুর থেকে ১০ ফুট নিচে ফেলে দেয় রফিকুলকে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে দেখে যে, সেতুর নিচে এক পুলিশ রফিকুলের জামার কলার ধরে বসানোর চেষ্টা করে। এরপর পরই বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
নিহতের ছোট ভাই চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, রফিকুল কোনো মামলার আসামি নয়। মামলার কোনো ওয়ারেন্টও দেখাতে পারেনি পুলিশ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন দাবি করেন, রফিকুল ইসলাম দুদু নিরাপরাধ। জনতার রোষে তিন পুলিশের জীবন বিপন্ন হতে পারত। আমি ও নিহতের ভাই দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। পরে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) আবদুল খালেক বলেন, কেন পুলিশ সেখানে গিয়েছিল সেটার তদন্ত করে দেখা হবে।
এছাড়া স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে যাওয়া পুলিশদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এ ঘটনার জন্য যদি কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকেন, তাহলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বগুড়া কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
৬ দিন আগে
মেঘনায় অভিযানের সময় মৎস্য কর্মকর্তার ওপর দৃর্বৃত্তের হামলা
ভোলার মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনার সময় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ পাঁচজন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীর কাঠির মাথা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম মাহামুদুল হাসান, মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী রফিকুল ইসলাম, জামাল, তানজিলা ও জাফর।
আহতদের মধ্যে তানজিলা, জাফর, রফিকুলকে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তানজিলা, জাফর ও রফিকুল জানান, মঙ্গলবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীর কাঠির মাথা এলাকায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় তারা মশারি জাল উদ্ধার করতে গেলে ছকেট জামালের ভাগ্নে প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ী শাহিনের নেতৃত্বে জেলে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাংলাদেশ মিশনে হামলা: গ্রেপ্তার ৭, বরখাস্ত ৩ পুলিশ সদস্য
এ হামলায় সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ পাঁচজন আহত হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান পরিচালনাকরী মৎস্য বিভাগের সদস্যরা প্রাণে রক্ষা পান।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মৎস্য ব্যবসায়ী শাহিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, মৎস্য বিভাগের একটি দল নিয়মিত অভিযানে যায়। এ সময় অবৈধ একটি জাল তাদের নজরে আসলে জেলেদের সঙ্গে কথা বলার সময় একটি চক্র হামলা চালায়।
এছাড়া সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি ও হামলার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান বিশ্বজিৎ কুমার দেব।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাত মো. হাসনাইন পারভেজ জানান, এ ব্যাপারে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হবে।
তবে এখন পর্যন্ত অভিযোগ হাতে পাননি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার নিন্দা ইসলামী ছাত্রশিবিরের
২ সপ্তাহ আগে
অপরাধ-সন্ত্রাস দমনে অভিযান জোরদারের আহ্বান আইজিপির
সন্ত্রাস, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক সংক্রান্ত অপরাধ, কিশোর গ্যাং ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ইস্যুতে চলমান বিশেষ অভিযানে জোরদারে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো.ময়নুল ইসলাম।
সোমবার(২৮ অক্টোবর) এক নির্দেশনায় জননিরাপত্তা রক্ষায় এসব অভিযানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইজিপি।
তিনি উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হত্যা মামলার সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি শেখ আফিলসহ ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা, আটক ৫
আইজিপি বলেন, স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় ধরনের চেকপোস্টের সহায়তায় বেশি অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ১৫০টি চেকপোস্টের পাশাপাশি ৩০০টি মোটরসাইকেল টিম এবং ২৫০টি টহল টিম পরিচালনা করছে। গোয়েন্দা নজরদারি ও ভ্রাম্যমাণ টহলদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চলমান অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষ ২০০ ডাকাত ও চাঁদাবাজ, ১৬ জন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং বৈষম্যবিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত ১ হাজার ১৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়া, অবৈধ অস্ত্রসহ ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদক সম্পর্কিত অপরাধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ফলে যথেষ্ট পরিমাণে মাদকদ্রব্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
আইজিপি দলমত নির্বিশেষে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
এই জোরদার প্রচেষ্টার মাধ্যমে সকল নাগরিকের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষে কাজ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ক্রসফায়ারের ৮ বছর পর র্যাবের সাবেক ডিজির বিরুদ্ধে মামলা
১ মাস আগে
সিলেটে অভিযানকালে পুলিশের মোটরসাইকেলে আগুন, যুবক গ্রেপ্তার
সিলেটের বিয়ানীবাজারে আসামি ধরতে অভিযান চালানোর সময় পুলিশের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন রুহুল আমিন মিছবাহ নামের এক যুবক।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আরিজঁখাটিলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিসংযোগের হোতা রুহুলকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে। রুহুল আমিন ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, আরিজঁখাটিলা গ্রামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এক আসামি ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ওই আসামির প্রতিবেশী বসতঘরে শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া করছিলেন রুহুল আমিন।
তখন শ্বশুড় বাড়ির লোকজন পুলিশকে ডেকে এনেছেন মনে করে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তিনি। একপর্যায়ে পুলিশের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
পরে থানা থেকে আরও পুলিশ সদস্য গিয়ে রুহুলকে গ্রেপ্তার করেন। এ ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) মনির বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তার এমন কাণ্ডের নেপথ্যে কী আছে, তা জানার চেষ্টা করা হবে বলে জানান ওসি এনামুল হক।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার সুমন গ্রেপ্তার
১ মাস আগে
১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু: ফারহিনা আহমেদ
১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
এরজন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর ও খাদ্য অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মিলে টিম গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
সচিব বলেন, জনগণের সহযোগিতায় সরকার পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধ করবে। পলিথিন শপিং ব্যাগ পুরোপুরি বন্ধ করতে হলে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: যেতে না পারা প্রায় ১৮০০০ কর্মীকে মালয়েশিয়া পাঠানোর বিষয়ে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা
শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর শান্তিনগর বাজার কমিটি ও ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন সচিব।
তিনি বলেন, গত ২২ বছর ধরে পলিথিন ব্যবহার চলছে, যা সঠিক নয়। পলিথিনের কারণে ক্যান্সার ও লিভারসহ অন্যান্য অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে। জনস্বাস্থ্য এবং জনস্বার্থ রক্ষায় পলিথিন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত মানতে হবে।
সচিব আরও বলেন, পলিথিন পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে হলে সরকারি বিধিনিষেধ মানতে হবে। বিক্রেতা ও ক্রেতাদের পলিথিন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
শান্তিনগর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ফকির। সভা শেষে সচিব ও বাজার কমিটির নেতারা শান্তিনগর বাজারের বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করেন এবং বিকল্প পরিবেশবান্ধব ব্যাগের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শুরু আজ
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৮ কোটি টাকা প্রদান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
২ মাস আগে
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ১
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে দেশীয় অস্ত্র জব্দসহ মোতাব্বের হোসেন জনি নামে এক যুবকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সুন্দুরিয়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার জেনেভা ক্যাম্প থেকে 'পিচ্চি রাজা'সহ ৩৪ জন গ্রেপ্তার, অস্ত্র জব্দ
এসময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশি এয়ারগান, ১৪টি তলোয়ার, ১টি লোহার চাকতি, ৩টি চাকু, ৫টি হকিস্টিক ও নগদ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, অস্ত্রসহ জনিকে শুক্রবার বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, জনির বিরুদ্ধে আগেও একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া নতুন করে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশীয় অস্ত্র জব্দ, ৪ যুবক গ্রেপ্তার
কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৮
২ মাস আগে
ডেঙ্গু মোকাবিলা ও মশা নিধন অভিযান বাস্তবায়নে ১০ টিম গঠন
ডেঙ্গু মোকাবিলা ও মশা নিধন অভিযান বাস্তবায়ন, সমন্বয় ও নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য ১০টি টিম গঠন করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ থেকে নাগরিকদের রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি, মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা এবং লার্ভা ও মশা নিধন ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, চাপ সৃষ্টি হচ্ছে ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর
তদারকির জন্য ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে তাদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কাজ করবে ৪টি টিম। উত্তর সিটি করপোরেশনে কাজ করবে ৩টি টিম। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশনে কার্যপরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছে একটি টিম।
এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ পৌরসভাসমূহ যেমন- সাভার, দোহার, তারাব, রূপগঞ্জ ও অন্যান্য পৌরসভার জন্য আরও একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার কাজটি সমন্বয় ও তথ্য সংগ্রহের জন্য ৭ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসকল কমিটিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের টিম প্রধান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীও যেন মারা না যায়: উপদেষ্টা হাসান আরিফ
গঠিত টিমগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দিনে কমপক্ষে ৩টি ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব এলাকা পরিদর্শন করবেন। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম মনিটরিং ও তদারকি করবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্য সংগ্রহ কমিটির কাছে নিয়মিতভাবে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ ও অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডেঙ্গু রোগ মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ এবং অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইট, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, এ কে এম তারিকুল আলম, মো. ফজলুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামানসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের সকল কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: নিয়মিত কর্মসূচির মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব: ডিএসসিসি প্রশাসক
২ মাস আগে
মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির ৭ ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান
মশা নিয়ন্ত্রণে দৈনন্দিন নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭টি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানে লার্ভিসাইডিং কার্যক্রমে ১৩ জন, অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে ১৩ জন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২১০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী অংশ নেয়।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সমন্বয়ে ১২, ১৫, ৩১, ৫৩ ও ৫৫-৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযান করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পাঠানো গত ২১ সেপ্টেম্বর তালিকা অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগীর আবাসস্থল ও চারপাশে বিশেষ লার্ভিসাইডিং ও অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয়েছে। এ সময় সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর সারাদেশে মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৮৪৩ জন। এরমধ্যে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকায় রোগীর সংখ্যা ৬৬ জন।
কিন্তু তালিকা অনুযায়ী সরেজমিনে যাচাই-বাচাই শেষে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকার ১৫ জন রোগী পাওয়া যায়।
অন্যান্য রোগীরা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন এলাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকায় নিকট আত্মীয়-স্বজন কিংবা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নাগরিকদের আরও দ্রুত সেবা দেওয়ার চেষ্টা চলবে: ডিএসসিসি প্রশাসক
নাগরিক সেবাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে: ডিএসসিসি প্রশাসক
২ মাস আগে
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১০ দিনে ১৪৪ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬৪
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে সারাদেশে গত ১০ দিনে ১৪৪টি অস্ত্র উদ্ধার ও ৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন: লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভিযানকে স্বাগত জানালো আ. লীগ
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রিভলভার আটটি, পিস্তল ৪১টি, রাইফেল ১১টি, শটগান ১৭টি, পাইপগান পাঁচটি, শুটারগান ১৯টি, এলজি ১০টি, বন্দুক ২২টি, একে-৪৭ একটি, গ্যাসগান একটি, চাইনিজ রাইফেল একটি, এয়ারগান একটি, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার একটি, এসএমজি তিনটি ও এসবিবিএল তিনটি।
যৌথ অভিযানে রয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং র্যাব।
উল্লেখ্য, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে।
আরও পড়ুন: যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ২৫, ৫৩ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথ অভিযানে আশুলিয়ায় শতাধিক কারখানার কার্যক্রম শুরু
৩ মাস আগে
যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ২৫, ৫৩ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দেশব্যাপী যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে ৫৩টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সহায়তার আহ্বান ডিএমপির
সাম্প্রতিক সময়ে থানা, পুলিশ লাইন, পুলিশ ফাঁড়ি ও অন্যান্য স্থান থেকে লাইসেন্স করা যেসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ লুণ্ঠন হয়ে, সেগুলো উদ্ধারে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে সরকার।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে বেসামরিক নাগরিকদের দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে গত ১ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে অবৈধ অস্ত্র, লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব, আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথ অভিযানের নির্দেশ দেয়।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, দেশব্যাপী যৌথ অভিযানে ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত ৫৩টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে চারটি রিভলবার, ১৮টি পিস্তল, দুটি রাইফেল, ১১টি শটগান, একটি পাইপগান, ছয়টি শুটারগান, তিনটি এলজি, ৩টি বন্দুক, একটি একে-৪৭, একটি গ্যাসগান, একটি চাইনিজ রাইফেল, একটি এয়ারগান ও তিনটি স্মুথ বোর বা এসবিবিএল।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে পরিত্যক্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
৩ মাস আগে