সাতক্ষীরায় ফেসবুক লাইভে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদের অত্যাচারের বর্ণনার পর ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক গৃহবধূ। সোমবার দুপুর ৩টার দিকে কলারোয়ায় ব্রজবাকসা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ সাথী খাতুন (২৫) উপজেলার ব্রজবাকসা গ্রামের ইসলাম সরদারের মেয়ে ও কলারোয়া পৌর সদরের গদখালি গ্রামের সাইফুল ইসলাম বাপ্পীর স্ত্রী।
লাইভে এসে গৃহবধূ সাথী খাতুন বলেন, ‘আমি আমার স্বামীকে প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে আমার ননদের কথামত বিভিন্ন সময় কারণে অকারণে আমার স্বামী আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমার স্বামীকে ডিভোর্স দেই। পরে আমার স্বামী বিভিন্নভাবে বিরক্ত করে এবং নানা প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে আবারও বিয়ে করেন। এর কিছুদিন পর ওই ননদের কথা শুনে আমাকে আবারও নির্যাতন করতে থাকে। এরই মধ্যে আমার একটি ছেলে সন্তান হয়।’
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রে ৪ তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি আমার শ্বশুর বলে আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসি, ইউএনও আমার বন্ধু। তাদের কাছে গেলে আমি কোন বিচার পাবো না। কলারোয়া থানার ইসমাইল দারোগা এসব ঘটনা জানে এবং অনেকবার বিচার করেছেন। পুলিশ প্রশাসন আমার শ্বশুরের দিকে। কেউ আমাকে সাহায্য করে না। আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমার ছেলেকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। সেকারণে আমি আর বাঁচতে চাই না।’
এভাবে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে নির্যাতনের নানা ঘটনা বর্ণনা করার পর ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে।
তবে এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা ইসলাম সরদার কোন কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কোলের শিশুসহ ট্রেনের নিচে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরউদ্দীন মৃধা জানান, ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা শুনেছি। মেয়েটি এখন কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া তার অভিযোগের বিষয়ে সাক্ষাৎকার নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।