জেলা আদালত চত্বর ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েনসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। আদালতের চারপাশে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করে দেয়া হয়েছে।
রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি সকাল ৯টার দিকে আদালতে হাজির হয়েছেন।
এ মামলায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে। পরে আদালত ৩০ সেপ্টেম্বর রায়ের দিন ধার্য করে।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত করে। আহত রিফাত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই দিনই মারা যান।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ১ সেপ্টেম্বর বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। একই সাথে মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অন্যদিকে ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বরগুনার শিশু আদালত।
এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক রয়েছেন। এছাড়া মিন্নিসহ অপ্রাপ্তবয়স্ক ৮ আসামি উচ্চ আদালত এবং বরগুনার শিশু আদালতের আদেশে জামিনে রয়েছে।