বুধবার বিকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ি এ ঘটনা ঘটান। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শহিদুল ইসলামকে বিচারের নামে দুই হাত বেঁধে জুতার মালা পরিয়ে ছবি তুলেন ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন মেম্বার। ইউনিয়ন পরিষদে এ শাস্তি দেয়ার পর বিকাল পর্যন্ত তাকে আটকে রাখাও হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, জুতার মালা গলায় দেয়ার পর তার মাথার টুপিও খুলে নেয়া হয়।
চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ি জানান, মেম্বার শফি দেওয়ান ও ফিরোজসহ স্থানীয় গণ্যমান্য বজলু আকন, আবুল বয়াতি ও কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে এ বিচার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শহিদুল ইসলাম উপবৃত্তির ৪ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া বিমার ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাকে প্রাথমিকভাবে উপবৃত্তির টাকা ফেরত দিতে বলা হয়। না দিলে তাকে জুতার মালা পরানো হবে বলে বিচারের রায় হলে তিনি জুতার মালা পরতে স্বেচ্ছায় রাজি হন।
আইনের আশ্রয় না নিয়ে তারা কেন এ ঘটনা ঘটালেন এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ‘যা করে ফেলেছি তা বলে আর লাভ কী?’
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবিদুর রহমান বলেন, তারা অভিযোগ পাননি, তবে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন।