শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের শালতলা হরিসভা মন্দির প্রাঙ্গন থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। ঢাক, ঢোল আর বাদ্যযন্ত্রসহকারে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শতশত নারী-পুরুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এর আগে মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হয়।
হরিসভা মন্দির প্রাঙ্গনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জন্মাষ্টমী উৎসবকে ঘিরে হিন্দুধর্মালম্বীদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয় মন্দির প্রাঙ্গণ।
বাগেরহাট জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন।
জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমিত রায়ের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিব প্রসাদ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিলন কুমার ব্যানার্জি প্রমুখ।
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে জন্মাষ্টমী পালন করছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুসারে, এদিন হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি। পৃথিবী থেকে অশুভ শক্তি দমন, কল্যাণ, ন্যায় ও শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই তাদের মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই দিনে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে।
এই মহাপুণ্য তিথিতে কংসের কারাগারে বন্দি দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত কোল আলো করে এসেছিলেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।
আজকের দিনে অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য শ্রীকৃষ্ণ মথুরার অত্যাচারী রাজা কংসকে হত্যা করে মথুরায় শান্তি স্থাপন করেছিলেন।