বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় গত সাত মাসে ২৩টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গত সাত মাসে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ২১ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
তথ্যমতে, এসময়ে ১৭টি দস্যুতা, ২টি ডাকাতি এবং ১টি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এই সময়ে বিভিন্ন এলাকায় দলীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েকটি পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় বেশ কয়েজন আহত হয়েছে। এমনকি প্রতিপক্ষ এবং তাদের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ নানাভাবে দায়িত্ব পালন করছে বলে জানান পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ।
জেলা পুলিশ অফিসের তথ্য মতে, বাগেরহাটে আগস্ট মাসে ৬টি হত্যা, ১টি ডাকাতি, একটি ধর্ষণ, ১টি দস্যুতা, সেপ্টেম্বর মাসে ১টি হত্যা, ৪টি ধর্ষণ, ২টি দস্যুতা, অক্টোবর মাসে ৪টি হত্যা, ৬টি ধর্ষণ, ১টি দস্যুতা,নভেম্বর মাসে ৭টি হত্যা, ৩টি ধর্ষণ, ১টি দস্যুতা, ডিসেম্বর মাসে ১টি হত্যা, ১টি ডাকাতি, ৩টি ধর্ষণ, ২টি দস্যুতা, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ২টি হত্যা, ১টি ধর্ষণ এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২টি হত্যা, ৩টি ধর্ষণ, ২টি দস্যুতার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই সময়ে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। এসব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এবং গৃহবধুও রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৮
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ জানান, জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কাজ করছে। অভিযান, টহল এবং চেকপোস্টে তল্লাশির পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট নানাভাবে দায়িত্ব পালন করছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে এবং অপরাধীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলেও তিনি জানান।
পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ আরও জানান, প্রতিটি অপরাধমূলক ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। মামলার যেসব আসামি পালিয়ে আছে- তাদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। আগের চেয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে।