দেলোয়ারকে প্রধান আসামি ও তার সহযোগী আবুল কালামকে আসামি করে মঙ্গলবার রাতে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, এক বছর আগে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে দেলোয়ার।
এদিকে অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং বিষ্ফোরক আইনে আরও দুটি মামলা দায়ের করেছে র্যাব।
পুলিশ জানায়, দেলোয়ার ও তার সহযোগী আবুল কালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ।
মামলা তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১১টার সময় দেলোয়ার হোসেন দেলু জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের খাল পাড়ের তার বসত ঘরে প্রবেশ করে। দেলোয়ার ঘরে প্রবেশ করে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক না করলে তার বাহিনীর ছেলেদের দিয়ে তাকে গনধর্ষণ করাবে বলে হুমকি দেয়। গনধর্ষণ হওয়ার ভয়ে তিনি দেলোয়ারের কু-প্রস্তাবে রাজি হলে দেলোয়ার তাকে ধর্ষণ করে। এসময় তিনি ঘরে একাই ছিলেন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা দিকে আবুল কালাম তার ঘরে এসে বলে দেলোয়ার তাকে দেখা করতে বলছে। পরে আবুল কালাম তাকে একটি নৌকা যোগে বাড়ির পাশের একটি বিলে নিয়ে যায়। পরে নৌকায় থাকা দেলোয়ার ও আবুল কালাম তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে তিনি কাকুতিমিনতি করলে কালামকে টাকা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় বার তাকে ধর্ষণ করে দেলোয়ার।
যোগাযোগ করা হলে জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এসব ঘটনায় গত রাতে দুজনসহ এ পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃত দেলোয়ারকে আগামী ১৩ অক্টোবর নোয়াখালী আদালতের হাজির করা হবে।
অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে জানিয়ে পুরিশ সুপার বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত কোনো ব্যক্তিকে ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর আগের স্বামী তার সাথে দেখা করতে তার বাবার বাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে তাদের ঘরে ঢুকেন। বিষয়টি দেখে পেলে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। পরে রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পর পুরুষের সাথে অনৈতিক কাজ ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করেন।
এক পর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারন করে এবং দুদিন পর ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েল দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।