স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টির সাথে মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে উঠে। এ সময় জোয়ারে ইলিশা লঞ্চ ও ফেরিঘাট প্লাবিত হয়। ঢেউয়ের আঘাতে ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেমনি লঞ্চঘাটের পল্টুন ধসে ডুবে যায়।
নদী উত্তাল থাকায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানান ঘাটের ব্যবস্থাপক কেএম এমরান। ফেরি চলাচলবন্ধ হয়ে যাওয়ায় উভয় প্রান্তে কয়েক শ যানবাহন আটক পড়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘নদী উত্তাল হওয়ায় ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। আর বিধ্বস্ত ইলিশা লঞ্চঘাটের পল্টুন সংস্কারে বিআইডব্লিউটিএ’র একটি টিম ইতোমধ্যে ইলিশা চলে এসেছে। আবহাওয়া ভালো হলে তারা কাজ শুরু করবেন।’
এদিকে, পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ সাত দিনেও মেরামত শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। যার ফলে বুধবার সকালে অতি জোয়ারের পানিতে ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়।
সাজিকান্দি গ্রামের বাঁধ গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভেঙে যায়। এর ৫০ মিটারের মধ্যে ৪০ মিটারের মেরামত সম্পন্ন হলেও ১০ মিটার স্থান দিয়ে অতি জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহামুদ বলেন, ‘আজ বৈরী আবহাওয়ার কারণে মেঘনা নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধ মেরামতের জন্য বালির জাহাজ তীরে আসতে না পারায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে আশা করছি বাতাস ও পানির চাপ কমলে ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত করতে পারব।’