মাগুরা, ২৮ মে (ইউএনবি)- প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ফরিদপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে একসাথে বসবাস করে এখন সব কিছু অস্বীকার করায় কথিত স্ত্রী সেতু পর্না বাধ্য হয়ে স্বামীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেছেন।
সেতু পর্ণার দাবি, রানার সাথে তার দীর্ঘ দিনের প্রেম। কালি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে মাথায় সিঁদুরও পরিয়ে দেন রানা। এরপর সম্পর্ক আরও গভীর হয়। ভাড়ার বাসা ফরিদপুরে বেশ ভালই কাটছিল তাদের স্বামী-স্ত্রীর সাংসারিক জীবন।
আরও পড়ুন: বিয়ের দাবিতে সিরাজগঞ্জে প্রেমিকের ঘরের দরজায় কলেজছাত্রীর অনশন
জানা গেছে, গত ২০ মার্চ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামে সুদেব মন্ডলের মেয়ে কুমারি সেতুপর্নার সাথে হিন্দু শাস্ত্রমতে মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার হাট বাড়িয়া পাড়ুয়ারকুল এলাকার রাম প্রসাদ গোলদারের ছেলে চন্দ্র শেখর গোলদারের বিয়ে সম্পন্ন হয় । বিয়েতে উভয়পক্ষের লোকজনই উপস্থিত থাকেন । ছেলেটি তার পছন্দমত সম্পর্ক করে বিয়ে করলেও ছেলে বাবা রাম প্রসাদ গোলদার কোনমতেই মেয়েটিকে পুত্রবধূ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়, এরপরই শুরু হয় মেয়েটির লাঞ্জনা গঞ্জনা। মেয়েটি নিরুপায় হয়ে ছেলের কথামত কিছুদিন আগে ছেলের বাড়িতে আসলে তাকে তাড়িয়ে দেন বাড়ির লোকজন। পুনরায় ২৭ মে বৃহস্পতিবার সকালে বিয়ের কাগজপত্র হাতে নিয়ে স্বামী স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশনে বসেছেন মেয়েটি।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশনে জাবির দুই শিক্ষার্থী
সেতু পর্ণার অভিযোগ, ছেলেটির সাথে তাকে কোন ধরনের যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না ছেলেটির পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, ছেলেটির বাবা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় মেয়েটিকে কোনভাবেই পূত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে রাজি নয় তিনি।
বাবুখালি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এমন একটা ঘটনার বিষয় শুনেছি বিস্তারিত জানার পর দেখি সামাজিকভাবে কি করা যায়।
ছেলের বাবা রাম প্রসাদ গোলদারের অনেক চেষ্টা করে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে ছেলেটির মা জানান, ওই মেয়েকে কোনভাবেই পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিবেনা তার জন্য যা হয় হবে।
আরও পড়ুন: সিলেট মেয়রের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন রায়হানের মা
এদিকে, ছেলেটির মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তার সাথে কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস জানান, বিষয়টি নিয়ে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশের তদন্ত চলছে।