শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কুলফা গোষ্ঠীকে ২ উইকেটে পরাজিত করে বন্ধু একাদশ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান করে কুলফা গোষ্ঠী। দলের পক্ষে সতেজ ৪২ এবং হাসান ৩৮ রান করে। বন্ধু একাদশের চান ৪টি উইকেট নেয়।
জবাবে ৫ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান করে জয় তুলে নেয় বন্ধু একাদশ। দলের পক্ষে রিয়াজুল ৪৯, সাগর ৩০ এবং মামুন ২০ রান করেন।
কুলফা গোষ্ঠীর পক্ষে রাব্বি, মাইনুল, ও সম্রাট ২টি করে উইকেট লাভ করে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করায় বন্ধু একাদশের রিয়াজুলকে ম্যান অব দ্য ফাইনালের পুরস্কার দেয়া হয়।
খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে ট্রফি বিতরণ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ফৌজিয়া খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মহীউদ্দীন, পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, ক্রিকেট উপ-কমিটির সদস্য-সচিব প্রদীপ কুমার শিকদার রিপন প্রমুখ।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট অংশ নেয় জেলার শীর্ষস্থানীয় ৬টি ক্রিকেট দল।
সাবেক কৃতি খেলোয়ার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত এ. এম. সায়েদুর রহমানের নামে এই টুর্নামেন্টটি গত বছর ধরে চলছে। তিনি মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ক্রিকেটার ও এমপি এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বাবা এ. এম. সায়েদুর রহমান মানিকগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এবং একজন কবিও ছিলেন।