ময়মনসিংহ নগরীর বিদ্যাময়ী স্কুলের পেছনে নতুন বাজার রেলপথ ক্রসিংয়ের আগে আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে একজন নগরীর উজান বাড়েরা গ্রামের আব্দুর রহমান (৬০) ও অন্যজন তার ভাতিজি শেফালী আক্তার (৪০)।
নিহত আব্দুর রহমান সিটি করপোরেশনের উজান বাড়েরা এলাকার নুর হোসেনের ছেলে। আর শেফালী একই বাড়ির রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছেন অটোরিকশার (মিশুক) চালক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত সোয়া ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ময়মনসিংহ-জামালপুর রুটে প্রায় দুই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, আব্দুর রহমান ও তার ভাতিজি শেফালী আক্তার শহর থেকে তাদের এক আত্মীয় (ভাগিনার) বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন।
রাত সোয়া ১০টার দিকে দেওয়ানগঞ্জগামী আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ জংশন স্টেশন ছাড়ার পর বিদ্যাময়ী স্কুলের পেছনের লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় যাত্রীবাহী অটোরিকশা পঁচাপুকুরপাড় সড়কে উঠে পড়ে। এ সময় ওই অটোরিকশার যাত্রীরা ট্রেনে কাটা পড়ে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
রিকশার দুই যাত্রী আব্দুর রহমান ও শেফালী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় বরের মুকুট, কাপড়, মিষ্টি, পান-সুপারিসহ বিয়ে বাড়ির অন্যান্য সামগ্রী।
খবর পেয়ে পুলিশ ও জিআরপি ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত আব্দুর রহমানের ছোট ভাই হাবিব বলেন, ‘তাদের ভাগিনা খোকার বিয়ে ঠিক হয় শহরতলীর আজমতপুর এলাকায়। আগামীকাল (২৪ এপ্রিল) তাদের বাড়িতে গায়ে হলুদ ও বিয়ে। এই বিয়ের বাজার করতেই তারা শহরে যায়। বাজার করে ফেরার পথেই তারা ট্রেনে কাটা পড়ে।’
জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঘটনাটি ময়মনসিংহে হলেও এটা জামালপুর থানার অধীনে। আমরা লাশ দুটি উদ্ধার করেছি। পরে জামালপুর জিআরপির কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় ময়মনসিংহ-জামালপুর রুটে প্রায় দুই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১