বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, এ অঞ্চলে চিকিৎসকসহ ছয়জন করোনাজয় করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন।
তিনি জানান, শনিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে তিন জেলার ১৬৫ নমুনা পরীক্ষা করে ৫৬ জনের করোনা পজিটিভ ও ১০৯ জনের নেগেটিভ এসেছে।
যবিপ্রবি সূত্র জানায়, যশোর জেলার ৩৯ নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জন, চুয়াডাঙ্গার ১০৩ নমুনা পরীক্ষায় ৩৮ ও ঝিনাইদহের তিনজনের নমুনা পরীক্ষা করে একজনের কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যায়। বাকি ১০০ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মেলেনি।
করোনা থেকে মুক্তি পেয়ে যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন তারা হলেন- ঝিকরগাছা এলাকার টুম্পা, যশোর সদর লেবুতলা এলাকার রাশেদুল ইসলাম, শহরের ঘোপ এলাকার শরাফাৎ হোসেন, অভায়নগরের তিলোকা, শার্শার হুমায়ুন কবির ও ডাক্তার বিচিত্র মল্লিক।
করোনাজয়ী শরাফাৎ হোসেন জানান, তিনি ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এমটিইপিআই)। করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহকারী ছিলেন তিনি। ২৩ এপ্রিল তার শরীরে সর্দি, কাশি ও জ্বর দেখা দিলে নমুনা পরীক্ষার জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। ২৫ এপ্রিল নমুনার ফলাফলে করোনা ধরা পড়ে।
এরপর তাকে ১৪ দিনের আইসোলশনে রাখা হয়। ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ৮ মে ও ৯ মে দু’বার তার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। দু’বারই ফলাফল নেগেটিভ আসলে ১২ মে তাকে করোনাজয়ী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।
যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, মানসিক বল এবং করোনামুক্ত হওয়ার স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চললে করোনাজয় করা সম্ভব। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং হাসপাতালের চিকিৎসক ও সহকর্মীদের উৎসাহ ও সাহায্য প্রয়োজন। করোনা মানেই মৃত্যু নয়। খুব সহজভাবেই করোনাকে জয় করা যায়। করোনা পজিটিভ হলে হতাশ হওয়া যাবে না।