এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাঙ্গামাটি জেলা শহরের বনরূপা, রিজার্ভ বাজার তবলছড়ি এলাকায় ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে।
বিএম শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী প্রগতি সুর মালিক মোজাম্মেল হক বলেন, করোনায় সরকারি ঘোষণার কারণে অনেকদিন মার্কেট বন্ধ ছিল। এতদিনে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। ব্যবসা না চললেও খরচ কিন্তু থেমে থাকেনি। দোকান ভাড়া, স্টাফ বেতন, সংসার খরচ ঋণের কিস্তি ও সুদ চালিয়ে যেতে হয়েছে। পহেলা বৈশাখ ও বৈসাবীর বেচাকেনাটাও করতে পারিনি। এখন ঈদ মৌসুম সেটাও প্রায় শেষের পথে।
তিনি আরও বলেন, ‘দোকানের পণ্যগুলো স্টকলট হয়ে পড়বে, হাতে নগদ টাকা প্রায় শেষ। নিরূপায় হয়ে রাঙ্গামাটি ব্যবসায়ী ফেডারেশন নেতৃবৃন্দের সার্বিক সহায়তা এবং ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত মতে ব্যবসায়ীরা দোকান খুলছে।’
রাঙ্গামাটি ব্যবসায়ী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দীন বলেন, ব্যবসায়ীদেরও জীবনের মায়া আছে। আমরাও সচেতন। রাষ্ট্রের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকার ১০ মে থেকেই দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছিল। আমরা ১৩ মে থেকে সীমিত পরিসরে খোলার সুযোগ করে দিয়েছি। সরকারের স্বাস্থ্য বিধিগুলো মেনে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা আছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। ফেডারেশন এবং সমিতির নেতারাও এসব স্বাস্থ্য বিধিগুলো পালনে নির্দেশনা এবং সহযোগিতা করছে। দোকানিরা অবশ্যই মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পরবে। ব্যবহার করবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ক্রেতাদের দোকানে প্রবেশ করার আগে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। মার্কেটের প্রবেশপথে থাকবে জীবাণুনাশক হাতধোয়া ব্যবস্থার সরঞ্জামাদি।
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কেট খোলা হলেও ক্রেতা কম। একদিকে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এবং অন্যদিকে শহরে যান চলাচল বন্ধ, সব মিলে এই বছর যেমন ক্রেতার দেখা পাওয়া কষ্টকর হবে তেমনি ব্যবসা কাটবে মন্দায়।’
ক্রেতা নাসরিন সুলতানা বলেন, ‘করোনার কারণে একটু আতঙ্কে আছি। তবুও পারিবারের প্রয়োজনে কিছু জরুরি কেনাকাটা করতে কয়েকটি মার্কেট ঘুরেছি। নিজের পরিবারের জন্য জামা-কাপড় দেখলাম। পছন্দ হয়নি এখনও। পছন্দ হলে কিনে নিয়ে যাবো।’
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্দেশনা মেনে দোকান-পাট খুলবে। সকাল ১০টা থেকে শুরু করে বিকাল ৪টার মধ্যে দোকান বন্ধ করবে। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে ব্যবসায়ীদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা সেই নির্দেশনা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করবে।’