রাঙ্গামাটি
রাঙ্গামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত, আহত ২৩
রাঙ্গামাটির বাঙ্গালহালিয়া-চন্দ্রঘোনা সড়কে বাসের ধাক্কায় সিএনজি অটোরিকশার এক নারী যাত্রী নিহত হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে আরও ৪ জন।
অন্যদিকে রাঙ্গামাটির মানিকছড়ি শালবাগান এলাকায় তীর্থ যাত্রীদের গাড়ি উল্টে ১৯ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে পর্যটকবাহী একটি বাস চন্দ্রঘোনা থেকে যাওয়ার পথে বাঙ্গালহালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পাশে মোড় ঘুরতে গিয়ে বান্দরবন থেকে রাঙ্গামাটি গামী সিএনজি অটোরিশকাকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই নারী নিহত হন।
নিহত ওই নারী বান্দরবান বালাঘাটা এলাকার প্রয়াত মংক্য মারমার স্ত্রী বলে জানা গেছে। বাঙ্গালহালিয়া পুলিশ সদস্যরা গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি
অন্যদিকে সকালে রাঙ্গুনিয়া থেকে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে আসার সময় তীর্থ যাত্রীদের নিয়ে আসা গাড়িটি মানিকছড়ি শালবাগান এলাকায় হঠাৎ উল্টে যায়। এতে গাড়িতে থাকা ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় দুই জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাড়িতে থাকা তীর্থ যাত্রীরা জানায়, সকালে রাঙ্গামাটি রাজ বন বিহারে একটি সংঘদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে আসার সময় শালবাগান এলাকায় আসলে বাসটি হঠাৎ উল্টে যায়। এ সময় আমাদের গাড়িতে থাকা সকল যাত্রীরা আহত হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি হাসপাতালে পাঠায়।
রাঙ্গামাটি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, জরুরি বিভাগে আহত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত ২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর কয়েকজন গুরুতর আহতকে রাঙ্গামাটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি
৩ সপ্তাহ আগে
প্রায় ৩ মাস পর ভেসে উঠল রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু
বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ার ফলে ডুবে যাওয়া রাঙ্গামাটির পর্যটন ঝুলন্ত সেতু ২ মাস ২৩ দিন পর ভেসে উঠেছে।
সে কারণে সেতুতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটকদের দেখায় যায়নি। স্থানীয় কিছু লোকজনকে সেতুটিতে ঘুরতে দেখা গেছে।
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় গত ২৪ জুলাই কাপ্তাই হ্রদে সেতুর পাটাতন প্রায় ১ ফুট পরিমাণ পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ২ মাস ২৩ দিন পর কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে থাকার পর আবারও ভেসে উঠে। আর সেতুটির উপরে পযটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সেতু।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু পানির নিচে, হতাশ পর্যটকরা
পর্যটন বোট ঘাটের ইজারাদার রমজান আলী জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় সঙ্গে সঙ্গে প্রতি বছরই সেতুটি হ্রদের পানিতে ডুবে যায়। এতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ। আর পর্যটক না আসায় প্রায় ২ মাসের বেশি সময় ধরে পর্যটকবাহী বোটগুলোর চালকদের ঘাটে বসে দিন পার করতে হয়েছে। তবে সেতুটি ডুবে থাকার কারণে ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছে তা এবার শীত মৌসুমে পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা জানান, এ বছরও হ্রদে পানি বাড়ায় চলতি বছরের ২৪ জুলাই সেতুটি ডুবে যায়। হ্রদের পানি কমায় ২ মাস ২৩ দিন ডুবে থাকার পর আবারও ভেসে উঠেছে ঝুলন্ত সেতুটি। আর সেতুটি আবারও ভেসে উঠায় সেতুটিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, রং করাসহ প্রাথমিক মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেতুতে পর্যটক প্রবেশে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটক ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে এবং পানি কমে যাওয়ায় ঝুলন্ত সেতুটি আবারও ভেসে ওঠায় নতুন করে ব্যবসার পসার করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দিনে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি
২ মাস আগে
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে হওয়া সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দীঘিনালায় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত লারমা স্কয়ার বাজার পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরীর নেতৃত্বে পরিদর্শনে ছিলেন খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজলিন শহীদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. তফিকুল আলম, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুনুর রশীদসহ তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
আগুনে পুড়ে যাওয়া বাজার পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
পরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে পাহাড়ি ও বাঙালি নেতা ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
এসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করার অনুরোধ জানান তদন্ত কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দীঘিনালায় যুবকের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, নিরাপত্তা জোরদার
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য, সুধীজনের মতামত, ঘটনার ভিডিও ও পত্রপত্রিকার রিপোর্ট দেখে ঘটনার কারণ উদঘাটন করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় গঠিত এই তদন্ত কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে চুরির অভিযোগে এক যুবককে হত্যাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়। আহত হয় আরও অনেকে।
এছাড়াও পুড়ে গেছে অনেক দোকানপাট, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকের ঘর-বাড়ি।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সহায়তার আশ্বাস তথ্য উপদেষ্টার
২ মাস আগে
১৫ দিন পর বন্ধ হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ গেইট
টানা ১৫ দিন পানি ছাড়ার পর বন্ধ করা হয়েছে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি গেইট।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় একসঙ্গে কেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি গেইট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট
পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার ওপরে অর্থাৎ ১০৮ ফুট মীন সি লেভেল অতিক্রম করায় পরদিন ২৫ আগস্ট সকাল ৮টায় কেন্দ্রের ১৬টি গেইট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছিল। হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মীন সি লেভেল। এতে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হয়।
কর্ণফুলী পানি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা কমতে থাকায় স্পিলওয়ের ১৬টি গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পিডিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দৈনিক ৫টি ইউনিটে সর্বোচ্চ গড়ে ২১০ হতে ২২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৪ মাস ৭ দিন পর রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু
আবারও বেড়েছে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি, ২ ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে ১৬টি জলকপাট
৩ মাস আগে
৪ মাস ৭ দিন পর রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু
৪ মাস ৭ দিন পর রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু হচ্ছে। সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক শনিবার (৩১ আগস্ট)দিবাগত রাত ১২টা থেকে হ্রদের জাল ফেলা শুরু করা হবে।
এদিকে ৪ মাস পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু হওয়ায় রাঙ্গামাটির ব্যবসায়ীদের মাঝে কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাবে।
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণসহ কাপ্তাই হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশকে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের আদেশে দীর্ঘ ৪ মাস বন্ধ থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের মাছ শিকার শুরু হচ্ছে। সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলার ব্যবসায়ীরা শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে হ্রদের জাল ফেলা শুরু করবে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় রাঙ্গামাটির বিএফডিসির ৪টি অবতরণ ঘাটে মাছ অবতরণ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ ধরা শুরু
আর মাছ শিকার শুরু হওয়ায় সকাল থেকে রাঙ্গামাটির বিএফডিসির অবতরণ ঘাটে মৎস্য ব্যসায়ী ও কর্মচারীদের মাঝে কর্ম তৎপরতা ও প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরবে। খুলে দেওয়া হবে শহরের সকল বরফ কল। জেলে ও মাছ ব্যসায়ীদের কর্ম তৎপরতা শুরু হওয়ায় রাঙ্গামাটি শহরের মাছের বাজারগুলোতেও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। অবতরণ ঘাটে মাছের শুল্কহারসহ প্রয়োজনীয় কাজ শেষে দেশের বিভিন্নস্থানে বাজারজাতকরণ করা হবে।
এ বিষয়ে কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি নবী হোসেন বলেন, কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু হতে যাচ্ছে। এতে করে দীর্ঘ চার মাসের বেশির সময় পর কাজে ফিরছেন আমাদের জেলে-ব্যবসায়ীরা।
আমরা প্রত্যাশা করছি, এ বছর কাপ্তাই হ্রদের মাছের গুনগত মান ভালো হবে। গত কয়েক বছর ধরে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি না পাওয়ায় হ্রদে সকল ধরনের মাছের আকার ছোট ছিল ও প্রথম এক মাসের মধ্যে সব মাছ আহরণ শেষ হয়ে যেত। এবার হ্রদের পানি বৃদ্ধি হওয়ায় পুরো বছর জুরে মাছ আহরণ করতে সক্ষম হবেন। এতে লাভবান হবেন ব্যবসায়ীরা।
রাঙ্গামাটি বিএফডিসির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূইয়া বলেন, ইতোমধ্যেই বিএফডিসির পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। রাঙ্গামাটি শহরের প্রধান বিপণনকেন্দ্রসহ অন্যান্য বিপণনকেন্দ্রগুলোর অবতরণ ঘাটগুলো আগেই প্রস্তুত করা হয়েছে। রবিবার ভোর থেকে অবতরণ ঘাটে মাছ নিয়ে আসবেন জেলেরা। এরপর এই মাছের শুল্কহার আদায় শেষে বাজারজাত করবেন ব্যবসায়ীরা।
এবার রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বিস্তারের কারণে মাছের উৎপাদন আগামী দিনের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলেও জানান রাঙ্গামাটি বিএফডিসির ব্যবস্থাপক।
এশিয়ার বৃহত্তম এই কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদে ৬৬টি দেশিও প্রজাতির ও ৬টি বহিরাগত প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। আর হ্রদের মিঠা পানির মাছ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই রাঙ্গামাটি এই কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রকৃতিক প্রজনন ধরে রাখতে কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য সম্পদ রক্ষাসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে দ্রুত কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে জল বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষে কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে সৃষ্টি করা হয় ২৫৬ বর্গমাইল আয়তনের কৃত্রিম এই কাপ্তাই হ্রদ। পরবর্তীতে এই হ্রদ হয়ে উঠে মিঠাপানির মাছের সবচেয়ে বড় ভান্ডার। দেশের বৃহৎ এই কৃত্রিম হ্রদে দেশীয় রুই প্রজাতির মাছের বড় একটি অংশ দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগান দেওয়া হয় এখান থেকে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু, জেলেদের মাঝে ফিরছে স্বস্তি
মাছ ধরা শুরু, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পেয়ে খুশি বরগুনার জেলেরা
৩ মাস আগে
আবারও বেড়েছে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি, ২ ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে ১৬টি জলকপাট
কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারও বেড়েছে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি। এতে হ্রদের পানির স্তর বিপৎসীমায় পৌঁছালে বাঁধের ১৬টি জলকপাট দুই ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতি সেকেন্ডে ৩৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে নির্গত হচ্ছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) থেকে দুই ফুট করে জলকপাট খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে পানির স্তর ১০৮ দশমিক ৮২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। এর আগে শুক্রবার জলকপাট এক ফুট খোলা থাকলেও রাতেই পানি বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেট খুলবে আজ রাতেই
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের বলেন, পানি বেড়ে যাওয়ায় দুই ফুট করে গেইট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ৩৯ হাজার কিউসেক। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু রেখে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে ছাড়া হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি। তবে পানি ছাড়লেও ভাটি অঞ্চলের কোনো ক্ষতি হবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছেন, হ্রদের পানির স্তর আবারও বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে হ্রদের নিম্নাঞ্চলের মানুষ। প্রায় ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট বিকাল ৩টায় কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটি জরুরি নোটিশের মাধ্যমে পানি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। ওইদিন রাত ১০টায় পানি ছাড়ার কথা থাকলেও পর্যবেক্ষণ করার পর সময় পরিবর্তন করে ২৫ আগস্ট সকাল ৮টা ১০মিনিট থেকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেইট ৪ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। এজন্য ভাটি অঞ্চলকে আগে জরুরি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট
কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেট খুলবে আজ রাতেই
৩ মাস আগে
কাপ্তাই হ্রদে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু। এতে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে কাপ্তাই হ্রদে সেতুর পাটাতনে প্রায় ১ ফুট পরিমাণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে সেতুটি। এ সময় বেড়াতে আসা পর্যটকদের পারাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন্ধ করে দিয়েছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু, ১১ জেলায় ৪৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনের ওপর পানি উঠেছে প্রায় ১ ফুটের কাছাকাছি। পানির চাপে অনেক স্থানেই খুলে গেছে সেতুর পাটাতনের কাঠ। ফলে সেতুতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের। তবে অনেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচল করছেন সেতুতে। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ঝুলন্ত সেতু ডুবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ কারণে পর্যটকদের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে ঝুলন্ত সেতু পারাপারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হ্রদের পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঝুলন্ত সেতুটি চলাচলের উপযোগী হলে আবার চলাচলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল
‘৫০ বছরে ফটিকছড়িতে এমন বন্যা দেখিনি’
৩ মাস আগে
রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১
রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলায় ভাসান্যাদম ও আটারকছড়া ইউনিয়নে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এই বজ্রপাতের ঘটনায় চারজনের লাশ পাওয়া গেলেও নৌকাচালক আক্কাস আলীর নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার (১৫ জুন) ভাসান্যাদম ও আটারকছড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে প্রবাসী যুবকের মৃত্যু
নিহতরা হলেন, রাঙ্গামাটির রিনা বেগম, জিয়াউল হক, ওবায়দুল্লাহ ও বাচ্চু মিয়া। এছাড়া নৌকাচালক আক্কাস আলীর লাশ এখনো পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, লংগদু উপজেলার মিনা বাজারে কাজ শেষে নৌকায় করে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
এ সময় নৌকাচালক আক্কাস নিখোঁজ হন।
অন্যদিকে একই দিনে মাইনী বাজার থেকে ভাসান্যাদম নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বজ্রপাতে রিনা বেগম নামে এক গৃহবধূ মারা যান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে ২ জন নিহত
লংগদু উপজেলার নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান বাবুল দাশ বাবু বলেন, নৌকা করে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতের শিকার হয় তারা।
তিনি বলেন, বজ্রপাতের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকাচালকের লাশ উদ্ধারের তৎপরতা চলছে।
চেয়ারম্যান বলেন, ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রযোজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, একই দিনে ভাসান্যাদম ও আটারকছড়া ইউনিয়নের পৃথক ঘটনায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এছাড়া থানায় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বজ্রপাতে ৬ গবাদিপশুর মৃত্যু
৬ মাস আগে
রাঙ্গামাটিতে সীমান্ত সড়কে পিকাপ খাদে পড়ে নিহত ১
রাঙ্গামাটির রাজস্থলীর সীমান্ত সড়কে পিকাপ খাদে পড়ে এক যুবক নিহত হয়েছে। এসময় আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ১২টায় বিলাইছড়ি-শুক্কছড়ি ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে রাজস্থলীর সীমান্ত সড়ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুব পালন গ্রামের বাসিন্দা জাপর আহম্মদের ছেলে নবী হোসেন (২৮)।
এ ছাড়া আহতরা হলেন- মোহাম্মদ কালামিয়া ও মোহাম্মদ ইয়াসিন।
আরও পড়ুন: যশোরে বাস উল্টে নিহত ২, আহত ৪
স্থানীয়রা জানায়, বিলাইছড়ি-রাজস্থলীর সীমান্ত সড়কের কাজ শেষ করে পিকআপ ভ্যানটি রাজস্থলীর উদ্দেশে যাচ্ছিল। শুক্কুরছড়ির ৪ কিলো নামে এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে গাড়িটি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই গাড়িতে থাকা একজনের মৃত্যু হয়।
রাজস্থলী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা থেকে তিনজন রোগী আনা হলে একজনকে মৃত পাওয়া যায়। অপর দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছেন। হতাহতদের উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি জেলার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে নিহত ৭
৬ মাস আগে
সাজেকের সড়ক দুর্ঘটনা: নিহতদের ৫ লাখ; আহতদের ২ লাখ ক্ষতিপূরণ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের বিআরটিএর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার।
তিনি জানান, নিহত প্রতি ৫ লাখ টাকা এবং আহতদের ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও মরদেহ পরিবহনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সাজেক থানা থেকে ৫ জনের মরদেহ খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।
নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি পুলিশ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল চৌধুরী।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে আহির উদ্দিন এবং তার ছেলে সামিউলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সকালে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রিপল বাপ্পি চাকমা জানিয়েছে, হাসপাতালটিতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪ জন।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিভিন্ন এলাকা থেকে সীমান্ত সড়কের কাজ করতে মালামাল ও শ্রমিকসহ উদয়পুরে যাচ্ছিল। ৯০ ডিগ্রি এলাকার একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ট্রাক ও জিপে করে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা দূরত্বের খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য ৬ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহির উদ্দিন ও তার ছেলে সামিউলকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
৭ মাস আগে