রাজশাহীর তানোরে ছোট ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে আদিবাসী শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ভুক্তভোগী শিশুকে উদ্ধার করে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন।
দুই ভাই বোনই চকরহমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার কলমা ইউপির সালবাড়ি সল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে শনিবার রাতে দুইজনকে আসামি করে তানোর থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আদিবাসী পাড়ার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে এবং ১০ বছরের ছেলে শনিবার মাঠে খাড়ির ধারে ঘাস কাটতে যায়। ফাঁকা মাঠে দুপুরে দুই ভাই-বোনেই শুধু ছিল। এ সময় একই গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে জনি ও আবুল কালামের ছেলে আলি ছোট ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ধরে রাখে। জনি ওই শিশুকে মুখের মধ্যে গামছা আটকে দিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষণের শিকার আদিবাসী ওই শিশুকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
এ নিয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম জানান, ধর্ষণের শিকার আদিবাসী ছাত্রী উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাতেই একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আসামি দুইজনকে আটকের চেষ্টা পুলিশ কাজ করছে।