মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর আখালিয়ায় রায়হান আহমদের বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন সিলেট-১ আসনের এ সংসদ সদস্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আকবর এখনও দেশের বাইরে যায়নি। কারণ সীমান্তগুলোকে আমরা সাথে সাথে সতর্ক করে দিয়েছি। তবে আকবর বিদেশে পালিয়ে গেলেও তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
এর আগে সিলেটের রাজন হত্যার আসামিকে সৌদি আরব থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন ড. মোমেন।
‘সিলেটের মাটিতে কেউ কোনো অপরাধ করে বাঁচতে পারেনি, তাদের বিচার হয়েছে। রায়হান হত্যার বিচারও হবে। রায়হান হত্যার ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রীর নজরেও রয়েছে,’ বলেন তিনি।
পলাতক থাকা এসআই আকবরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আকবরের কোনো তথ্য কারো কাছে থাকলে সাথে সাথে পুলিশকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।
এর আগে দুপুরে রায়হানের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন সিলেট-১ আসনের এই সাংসদ। এসময় রায়হান হত্যার ন্যায়বিচারেরও আশ্বাস দেন তিনি।
এসআই আকবর পুলিশের জন্য লজ্জ্বা উল্লেখ করে ডি. মোমেন বলেন, ‘এরকম দুএকজন কুলাঙ্গারের কারণে পুলিশ বাহিনীও লজ্জ্বিত। পুলিশের কেউ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে না। সুষ্ঠু তদন্ত চলছে।’
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবক। পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।
এই ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।
এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।
স্ত্রীর দায়ের করা মামলাটির তদন্ত করছে পিবিআই। মামলার প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর পলাতক রয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।