বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
বরগুনার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ভূবন চন্দ্র হাওলদার জানিয়েছেন, গত ৮ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩০ কার্যদিবসে এ মামলার ৭৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। গোলাম সরোয়ার নামে একজন সাক্ষী প্রবাসে থাকায় তার সাক্ষ্যগ্রহণ করতে পারেনি আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে সকালে বরগুনার জেলা কারাগারে থাকা এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এছাড়া আদালতে হাজির হন উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে থাকা নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
প্রসঙ্গত, ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক। পাশাপাশি রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ছয় আসামি জামিনে। বাকিরা কারাগারে।
১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনার শিশু আদালত।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।