রবিবার দুপুরে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে জামিন বাতিলের আবেদনের পরবর্তী শুনানির এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
এছাড়াও এদিন এ মামলায় দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত।
মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, গত ৮ জানুয়ারি মিন্নির জামিন বাতিলের জন্য আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর মিন্নির জামিন কেন বাতিল হবে না জানতে চেয়ে আসামিপক্ষকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। ১৫ জানুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশের লিখিত জবাব আদালতে দাখিল করা হয়।
তিনি বলেন, ওইদিন মিন্নির জামিন বাতিল আবেদনের শুনানির জন্য ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করে আদালত। রবিবার মিন্নির জামিন বাতিল আবেদনের শুনানির জন্য রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাইলে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে আদালত।
এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মুজিবুল হক কিসলু বলেন, রবিবার মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে তিন সাক্ষীর সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক সাক্ষী সৌদি-আরবে থাকায় দুজনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত।
গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। একই সাথে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
চলতি বছরের প্রথম দিনে মামলায় মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এবং ৮ জানুয়ারি থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
গত বছরের ২৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রিফাতকে ওইদিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
গত ১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে প্রধান সাক্ষী মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে মিন্নির বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও বর্তমানে তিনি হাইকোর্টের আদেশে জামিনে আছেন।