শনিবার সন্ধ্যায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে খাদেমসহ দুজন আমলি আদালত ৩-এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফেরদৌসী বেগমের আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়া তিনজন হলেন বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খাদেম পাটগ্রাম ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের জোবেদ আলী (৬১), বুড়িমারী ইউনিয়নের কামারেরহাট এলাকার জাহেদুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান রাজু (১৯) এবং একই এলাকার আব্দুল গণি (৪৫) রিমান্ড ছাড়াই জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে খাদেমসহ চারজনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন লালমনিরহাট আমলি আদালত-৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌসী বেগম।
শনিবার সকালে আলোচিত এ তিন মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেন ওরফে হোসেন ডেকোরেটরকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ।
এ নিয়ে এ মামলায় ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক। এর মধ্যে ৯ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
শনিবার দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে চার জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে খাদেমসহ দুজন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে রিমান্ড ছাড়াই একজন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ৯ আসামির রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে শহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার অভিযোগে নিহতের চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৩১ অক্টোবর একটি মামলা করেন। একই ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী বাদী হয়ে এবং ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুরের অভিযোগে অপর একটি মামলা করেন বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত। আলোচিত তিন মামলায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
নিহত যুবক শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়ার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হারিয়ে ফেলেন তিনি।