তারা হলেন- পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের হাসানুর রহমান (২৫), আবদুর রহিম (২২), সোহেল রানা (২০) ও মাইনুল ইসলাম (২৬)।
শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক রবিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন।
জুয়েল হত্যার পৃথক তিনটি মামলায় এ পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য ৯ আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
এছাড়া, হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেনকে (৪৫) পাটগ্রাম থানা পুলিশের কাছে হস্তন্তর করেছে ডিএমপি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে যুবককে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা: প্রধান আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন্ত কুমার মোহন্ত জানান, প্রধান আসামি আবুলকে সোমবার আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে খাদেমসহ দুজন আমলি আদালত-৩-এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌসী বেগমের আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এছাড়া রিমান্ড ছাড়াই জবানবন্দি দিয়েছেন আব্দুল গণি নামে এক ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা: খাদেমসহ ৪ আসামি রিমান্ডে
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজারের বাসকল এলাকায় শহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। তিনি রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে এবং রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।