সিলেটে গত এক সপ্তাহ ধরে শুরু হয়েছে অসহনীয় লোডশেডিং। প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। এমতাবস্থায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি।
নগরবাসী জানান, গত ৫-৬ দিন ধরে সিলেটে তীব্র লোডশেডিং শুরু হয়েছে। একদিকে প্রচণ্ড রোদে বেড়েছে গরম, তার ওপর প্রতি ঘণ্টায় হচ্ছে লোডশেডিং। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও বাড়তে থাকে। দুপুরে এ অবস্থা প্রকট আকার ধারণ করে। রাতে ঘুমানোর সময়ও লোডশেডিং থেকে রেহাই পাচ্ছে না স্থানীয়রা। এতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, সবার ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ অবস্থা চলতে থাকলে রাস্তায় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বন্যা ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর লোডশেডিং তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিগগির এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সিলেট মহানগরের বন্দর-জিন্দাবাজারের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণী বিতান ঘুরে দেখা গেছে, লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। জেনারেটর দিয়ে বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সচল রাখার চেষ্টা চলছে। রাতে অনেক স্থানে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ভুতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছে।
লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে বাসা বাড়িতেও লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও পড়েছেন বিপাকে।
সিলেটে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সঙ্গে কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অন্যদিকে, অনেক গ্রাহক এ বিষয়ে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করেছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ অঞ্চল সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে বলে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সিলেট অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২১০ মেগাওয়াট, এর বিপরীতে সরবরাহ ছিল মাত্র ১৫৪ মেগাওয়াট। আর জেলায় ১৪৮ মেগাওয়াটের বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ১০৩ মেগাওয়াট। এই ঘাটতির কারণেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
সমস্যার দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।